ঢাবিতে চিকিৎসকের বাসা থেকে শিশু গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধার

  • Update Time : ০৭:২০:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩
  • / 114

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক এলাকা ঈশা খাঁ রোডে অবস্থিত এক চিকিৎসকের বাসা থেকে শিশু গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার(২৫ নভেম্বর) ভোর ৪টার দিকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত ঐ গৃহকর্মীর নাম ফাতেমা মীম (১৫)।

তিনি ইশা খাঁ রোডে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ জামিল আহমদ শাহেদীর বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন।

ডা. মোহাম্মদ জামিল আহমদ শাহেদী বলেন, গত এক বছর তিন মাস ধরে আমার বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করে আসছিল ফাতেমা। তার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়। তার বাবা-মা দুজনই আলাদা থাকেন। তাই আমরা আমাদের বাসায় নিয়ে আসি।

ডা. মোহাম্মদ জামিল আহমদ বলেন, ভোর ৪টার দিকে বাসায় ফাতেমাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান আমার স্ত্রী। পরে আমরা বিষয়টি শাহবাগ থানা এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিমকে জানাই। পরে তারা এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই কর্তব্যরত চিকিৎসক ফাতেমাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এসময় এটিকে আত্মহত্যা হিসেবে উল্লেখ করেন ডা. শাহেদী। তিনি বলেন, আমরা যতটুকু জানি, একটি ছেলের সঙ্গে ফাতেমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তার সঙ্গে নিয়মিত কথা বলত এবং মাঝেমধ্যেই ছেলেটি বাসার সামনে এসে দাঁড়িয়ে থাকত। প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যা করতে পারে।

এ প্রসঙ্গে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ বলেন, ফামেতার মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে বলেই আমরা প্রাথমিকভাবে জেনেছি ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ঢাবিতে চিকিৎসকের বাসা থেকে শিশু গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধার

Update Time : ০৭:২০:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক এলাকা ঈশা খাঁ রোডে অবস্থিত এক চিকিৎসকের বাসা থেকে শিশু গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার(২৫ নভেম্বর) ভোর ৪টার দিকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত ঐ গৃহকর্মীর নাম ফাতেমা মীম (১৫)।

তিনি ইশা খাঁ রোডে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ জামিল আহমদ শাহেদীর বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন।

ডা. মোহাম্মদ জামিল আহমদ শাহেদী বলেন, গত এক বছর তিন মাস ধরে আমার বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করে আসছিল ফাতেমা। তার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়। তার বাবা-মা দুজনই আলাদা থাকেন। তাই আমরা আমাদের বাসায় নিয়ে আসি।

ডা. মোহাম্মদ জামিল আহমদ বলেন, ভোর ৪টার দিকে বাসায় ফাতেমাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান আমার স্ত্রী। পরে আমরা বিষয়টি শাহবাগ থানা এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিমকে জানাই। পরে তারা এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই কর্তব্যরত চিকিৎসক ফাতেমাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এসময় এটিকে আত্মহত্যা হিসেবে উল্লেখ করেন ডা. শাহেদী। তিনি বলেন, আমরা যতটুকু জানি, একটি ছেলের সঙ্গে ফাতেমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তার সঙ্গে নিয়মিত কথা বলত এবং মাঝেমধ্যেই ছেলেটি বাসার সামনে এসে দাঁড়িয়ে থাকত। প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যা করতে পারে।

এ প্রসঙ্গে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ বলেন, ফামেতার মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে বলেই আমরা প্রাথমিকভাবে জেনেছি ।