ছাত্রীকে যৌন হয়রানির দায়ে ৩ বছর পদোন্নতি পাবেননা ঢাবি শিক্ষক

  • Update Time : ০৭:৪৪:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩
  • / 2084

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) নিজ বিভাগের ছাত্রীকে যৌন হয়রানির দায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকীকে শাস্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট।প্রাপ্ত শাস্তিনুযায়ী আগামী ৩ বছর তার পদোন্নতি বন্ধ থাকবে।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেটের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তবে এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদানসহ স্বাভাবিক সকল কার্যক্রম করে যাবেন। তবে এটি সক্রিয় কাজ হিসেবে গণ্য করা হবে না।

জানা গেছে, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শুধু তাই নয়, সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকীর ৩ বছর পদোন্নতি বন্ধ থাকবে। এই ৩ বছর তিনি যে সেবা দেবেন, তা সক্রিয় সেবা হিসেবে গণ্য হবে না। অর্থাৎ তিনি যে সময় অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেতেন, শাস্তির কারণে সেটি ৩ বছর পরে পাবেন।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক সিন্ডিকেট সদস্য বলেন, তদন্ত কমিটি তার বিরুদ্ধে দুটি সুপারিশ করে। ৩ বছর তার পদোন্নতি বন্ধ থাকবে অথবা সহযোগী অধ্যাপক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে অবনমন। এর মধ্যে প্রথমটি গৃহীত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৩ ডিসেম্বর সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে উপাচার্যের কাছে যৌন হয়রানির অভিযোগ দেন একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী।

এ ঘটনায় একই বছরের ১৪ ডিসেম্বর সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের তৎকালীন ডিন ড. সাদেকা হালিমকে আহ্বায়ক করে শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান সাইফুদ্দীন আহমদ, বিভাগের তৎকালীন শিক্ষার্থী উপদেষ্টাসহ আরও কয়েকজন নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

পরবর্তীতে তারা অভিযোগ তদন্ত করে যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলে প্রতিবেদন জমা দেন।সেল বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে তার বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ছাত্রীকে যৌন হয়রানির দায়ে ৩ বছর পদোন্নতি পাবেননা ঢাবি শিক্ষক

Update Time : ০৭:৪৪:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) নিজ বিভাগের ছাত্রীকে যৌন হয়রানির দায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকীকে শাস্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট।প্রাপ্ত শাস্তিনুযায়ী আগামী ৩ বছর তার পদোন্নতি বন্ধ থাকবে।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেটের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তবে এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদানসহ স্বাভাবিক সকল কার্যক্রম করে যাবেন। তবে এটি সক্রিয় কাজ হিসেবে গণ্য করা হবে না।

জানা গেছে, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শুধু তাই নয়, সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকীর ৩ বছর পদোন্নতি বন্ধ থাকবে। এই ৩ বছর তিনি যে সেবা দেবেন, তা সক্রিয় সেবা হিসেবে গণ্য হবে না। অর্থাৎ তিনি যে সময় অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেতেন, শাস্তির কারণে সেটি ৩ বছর পরে পাবেন।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক সিন্ডিকেট সদস্য বলেন, তদন্ত কমিটি তার বিরুদ্ধে দুটি সুপারিশ করে। ৩ বছর তার পদোন্নতি বন্ধ থাকবে অথবা সহযোগী অধ্যাপক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে অবনমন। এর মধ্যে প্রথমটি গৃহীত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৩ ডিসেম্বর সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে উপাচার্যের কাছে যৌন হয়রানির অভিযোগ দেন একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী।

এ ঘটনায় একই বছরের ১৪ ডিসেম্বর সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের তৎকালীন ডিন ড. সাদেকা হালিমকে আহ্বায়ক করে শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান সাইফুদ্দীন আহমদ, বিভাগের তৎকালীন শিক্ষার্থী উপদেষ্টাসহ আরও কয়েকজন নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

পরবর্তীতে তারা অভিযোগ তদন্ত করে যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলে প্রতিবেদন জমা দেন।সেল বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে তার বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করে।