ফিলিস্তিনের পক্ষে কুবি শিক্ষার্থীদের সংহতি প্রকাশ

  • Update Time : ০২:৪৭:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৩
  • / 239

কুবি প্রতিনিধি:

দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনের জনগণের পক্ষে সংহতি প্রকাশ করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (১৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে সংহতি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশ শেষে ফিলিস্তিনের ও বাংলাদেশের পতাকা হাতে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে তারা।

এ সময় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের পতাকা, বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে অবস্থান করেন। ‘সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র ইজরায়েল নিপাত যাক, আল আক্বসা থেকে নামাজের দিক পরিবর্তন করেছি মনের দিক না, যে কাঁদে কাঁদুক তবু লিখি ফুটনোট, ফুল তুই তেলাবিবে বোমা হয়ে ফুট, আল আক্বসায় হামলা কেন জবাব চাই, আমরা আত্মসমর্পণ করবো না আমরা জয়ী হবো অথবা মৃত্যুবরণ করবো, ফিলিস্তিন আমাদের হৃদয়ে আছে, আমরা ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিচ্ছি, বিশ্বের মুসলিম এক হও, স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলো, আল আক্বসা আমাদের, সকল মুসলিম এক হও, গাজা স্বাধীন হোক ফিলিস্তিন স্বাধীন হোক, গাজাকে রক্ষা করুন মানবতাকে রক্ষা করুন, গাজায় গণহত্যা বন্ধ করুন, ফিলিস্তিনকে রক্ষা করুন, মানবতা রক্ষায় আপনার কণ্ঠস্বর উঁচু করুন, আমাদের আক্বসা আমাদের ফিরিয়ে দিতেই হবে, তুমি কখনোই ফিলিস্তিনকে ধ্বংস করতে পারবে না’ এমন অসংখ্য ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে শিক্ষার্থীরা সংহতি সমাবেশে অবস্থান করেন।

লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইউসুফ ইসলাহী বলেন, আপনারা একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন এই পৃথিবীর ইতিহাস মুসলমানদের নির্যাতিত হওয়ার ইতিহাস। যুগে যুগে যখনি মুসলমানদের উপর এমন সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে তখন সারা পৃথিবীর সমস্ত অমুসলিম শক্তি একত্রিত হয়ে মুসলমানদের উপর হামলা করেছে। সেইসব হামলার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস প্রতিশোধের আগুন নিয়ে জিহাদের ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছে। আমরা সেই নির্যাতিত মুসলমানদের পক্ষে সংহতি প্রকাশ করার জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে দাঁড়িয়েছি। আমরা আজকে আমাদের এই সংহতি সমাবেশ থেকে জানিয়ে দিতে চাই পৃথিবীর যে প্রান্তেই যখন কোন মুসলমান নির্যাতিত হবে আমাদের অবস্থান সব সময়েই সকল নির্যাতিত মানুষের পক্ষেই থাকবে।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ফিলিস্তিন মুসলিমদের ভূমি, কুরআনে বর্ণিত পবিত্র ভূমি, আক্বসা মুসলিমদের কেবলা। ইজরায়েলি সন্ত্রাসবাদ থেকে আমরা এই ভূমির স্বাধীনতা চাই। মুসলিমদের ভূমি মুসলিমদের ফিরিয়ে দেওয়া হোক। ইজরায়েলের ওপর ফিলিস্তিনিদের এই আঘাত নিজেদের ভূমিকে স্বাধীন করার লড়াই, স্বাধীনতার লড়াই। আজাদী লড়াই। স্বাধীনতার লড়াই কখনো সন্ত্রাসবাদ হতে পারেনা।

সমাবেশে আইসিটি বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সায়েম মুহাইমিন বলেন, আপনারা জানেন ফিলিস্তিন ও ইজরায়েলের মধ্যকার এই সংঘর্ষ এক পাক্ষিক। আমাদের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই একটি বিশ্ববিদ্যালয় ‘গাজা বিশ্ববিদ্যালয়’ সন্ত্রাসী ইজরায়েল বোমা মেরে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। আমরা শিক্ষার্থী হিসেবে বলতে চাই আমরা গাজার সকল ভাই ও বোনদের পাশে আছি। আমরা গাজার প্রতিটি শিশুর অদম্য স্বপ্নের ভিতর বাঁচি। আমরা বলতে চাই আমরা ইব্রাহিমের ঈমান, ইসমাঈলের ইখলাস নিয়ে বাঁচি।

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সোহাগ আহমেদ বলেন, ফিলিস্তিনে আমাদের ভাই-বোনদের উপর সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র ইজরায়েল যে বর্বর হামলা চালিয়েছে তাতেও আমরা নিশ্চুপ। ২৩ লক্ষ মানুষকে দীর্ঘ ৭৫ বছর ধরে দখলদার ইজরায়েল নিরীহ ফিলিস্তিনের উপর নির্যাতন করে আসছে। নেতানিয়াহু নিষ্পাপ শিশুদের হত্যা করছে। একজন মুসলিম হিসাবে আপনি, আমি চুপ থাকতে পারি না। কাল হাশরের ময়দানে আপনাকে জবাবদিহি করতে হবে। ইজরায়েলকে উদ্দেশ্য বলতে চাই তোমরা এই পবিত্র ভূমি থেকে চলে যাও, ফিলিস্তিনকে স্বাধীনতা দাও।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ফিলিস্তিনের পক্ষে কুবি শিক্ষার্থীদের সংহতি প্রকাশ

Update Time : ০২:৪৭:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৩

কুবি প্রতিনিধি:

দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনের জনগণের পক্ষে সংহতি প্রকাশ করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (১৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে সংহতি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশ শেষে ফিলিস্তিনের ও বাংলাদেশের পতাকা হাতে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে তারা।

এ সময় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের পতাকা, বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে অবস্থান করেন। ‘সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র ইজরায়েল নিপাত যাক, আল আক্বসা থেকে নামাজের দিক পরিবর্তন করেছি মনের দিক না, যে কাঁদে কাঁদুক তবু লিখি ফুটনোট, ফুল তুই তেলাবিবে বোমা হয়ে ফুট, আল আক্বসায় হামলা কেন জবাব চাই, আমরা আত্মসমর্পণ করবো না আমরা জয়ী হবো অথবা মৃত্যুবরণ করবো, ফিলিস্তিন আমাদের হৃদয়ে আছে, আমরা ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিচ্ছি, বিশ্বের মুসলিম এক হও, স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলো, আল আক্বসা আমাদের, সকল মুসলিম এক হও, গাজা স্বাধীন হোক ফিলিস্তিন স্বাধীন হোক, গাজাকে রক্ষা করুন মানবতাকে রক্ষা করুন, গাজায় গণহত্যা বন্ধ করুন, ফিলিস্তিনকে রক্ষা করুন, মানবতা রক্ষায় আপনার কণ্ঠস্বর উঁচু করুন, আমাদের আক্বসা আমাদের ফিরিয়ে দিতেই হবে, তুমি কখনোই ফিলিস্তিনকে ধ্বংস করতে পারবে না’ এমন অসংখ্য ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে শিক্ষার্থীরা সংহতি সমাবেশে অবস্থান করেন।

লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইউসুফ ইসলাহী বলেন, আপনারা একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন এই পৃথিবীর ইতিহাস মুসলমানদের নির্যাতিত হওয়ার ইতিহাস। যুগে যুগে যখনি মুসলমানদের উপর এমন সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে তখন সারা পৃথিবীর সমস্ত অমুসলিম শক্তি একত্রিত হয়ে মুসলমানদের উপর হামলা করেছে। সেইসব হামলার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস প্রতিশোধের আগুন নিয়ে জিহাদের ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছে। আমরা সেই নির্যাতিত মুসলমানদের পক্ষে সংহতি প্রকাশ করার জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে দাঁড়িয়েছি। আমরা আজকে আমাদের এই সংহতি সমাবেশ থেকে জানিয়ে দিতে চাই পৃথিবীর যে প্রান্তেই যখন কোন মুসলমান নির্যাতিত হবে আমাদের অবস্থান সব সময়েই সকল নির্যাতিত মানুষের পক্ষেই থাকবে।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ফিলিস্তিন মুসলিমদের ভূমি, কুরআনে বর্ণিত পবিত্র ভূমি, আক্বসা মুসলিমদের কেবলা। ইজরায়েলি সন্ত্রাসবাদ থেকে আমরা এই ভূমির স্বাধীনতা চাই। মুসলিমদের ভূমি মুসলিমদের ফিরিয়ে দেওয়া হোক। ইজরায়েলের ওপর ফিলিস্তিনিদের এই আঘাত নিজেদের ভূমিকে স্বাধীন করার লড়াই, স্বাধীনতার লড়াই। আজাদী লড়াই। স্বাধীনতার লড়াই কখনো সন্ত্রাসবাদ হতে পারেনা।

সমাবেশে আইসিটি বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সায়েম মুহাইমিন বলেন, আপনারা জানেন ফিলিস্তিন ও ইজরায়েলের মধ্যকার এই সংঘর্ষ এক পাক্ষিক। আমাদের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই একটি বিশ্ববিদ্যালয় ‘গাজা বিশ্ববিদ্যালয়’ সন্ত্রাসী ইজরায়েল বোমা মেরে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। আমরা শিক্ষার্থী হিসেবে বলতে চাই আমরা গাজার সকল ভাই ও বোনদের পাশে আছি। আমরা গাজার প্রতিটি শিশুর অদম্য স্বপ্নের ভিতর বাঁচি। আমরা বলতে চাই আমরা ইব্রাহিমের ঈমান, ইসমাঈলের ইখলাস নিয়ে বাঁচি।

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সোহাগ আহমেদ বলেন, ফিলিস্তিনে আমাদের ভাই-বোনদের উপর সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র ইজরায়েল যে বর্বর হামলা চালিয়েছে তাতেও আমরা নিশ্চুপ। ২৩ লক্ষ মানুষকে দীর্ঘ ৭৫ বছর ধরে দখলদার ইজরায়েল নিরীহ ফিলিস্তিনের উপর নির্যাতন করে আসছে। নেতানিয়াহু নিষ্পাপ শিশুদের হত্যা করছে। একজন মুসলিম হিসাবে আপনি, আমি চুপ থাকতে পারি না। কাল হাশরের ময়দানে আপনাকে জবাবদিহি করতে হবে। ইজরায়েলকে উদ্দেশ্য বলতে চাই তোমরা এই পবিত্র ভূমি থেকে চলে যাও, ফিলিস্তিনকে স্বাধীনতা দাও।