ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন
- Update Time : ০৩:৪৫:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩
- / 263
জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ আখতারুজ্জামান এর প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগ কর্তৃক পরীক্ষা, ভাইভা ও প্রেজেন্টেশনের সময় কানসহ মুখমণ্ডল খোলা রাখার নোটিশের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করায় এ অনাস্থা জ্ঞাপন করা হয় ।
আজ সোমবার (৫ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এ অনাস্থা জ্ঞাপন করা হয়। সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের নারী শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, হিজাব পরিহিতাদের শিক্ষার পরিবেশকে বিঘ্নিত করার প্রয়াসে বাংলা ডিপার্টমেন্টের দেওয়া নোটিশের বিষয়ে উপাচার্যের পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থতা আমাদের হতাশ ও ক্ষুব্ধ করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ কর্তৃক পরীক্ষা, ভাইভা ও প্রেজেন্টেশনের সময় কানসহ মুখমণ্ডল খোলা রাখার নির্দেশ দিয়ে যে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছিল, সেদিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করার লক্ষ্যে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর আমরা ৫ দফা দাবি নিয়ে ভিসি স্যারের সাথে সাক্ষাত করেছিলাম। তিনি আমাদের দাবিগুলো শুনেছিলেন এবং এগুলোর যৌক্তিকতা উপলব্ধি করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছিলেন। আমাদের উপস্থিতিতেই বাংলা ডিপার্টমেন্টের কোনো একজন কর্মকর্তাকে কল করে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান করতে বলেছিলেন।
ঢাবি উপাচার্য অভিভাবকত্বের দায়িত্ববোধ প্রদর্শন করবেন বলে ভেবেছিলেন উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা নিশ্চিন্ত হয়ে ক্লাসরুমেও ফিরে গিয়েছিলাম। কিন্তু পরীক্ষা ঘনিয়ে আসতেই আমরা দেখতে পেলাম আমাদের সেই বিশ্বাস ও ভরসা ভেঙে খানখান হয়ে গেছে। বাংলা বিভাগ তার পূর্বের সিদ্ধান্তেই অটল রয়েছে এবং আবারও বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে আমাদের বোনদের শিক্ষাজীবন হুমকির মুখে পড়েছে। আমরা স্পষ্টভাবে আমাদের হতাশা ও ক্ষোভের কথা জানাচ্ছি এবং অভিভাবকত্বের জায়গায় ভিসি স্যারের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করছি।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, মেধার স্বাক্ষর রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর একজন হিজাব পরিহিতা শিক্ষার্থীকে ধর্মীয় অধিকার থেকে বঞ্চিত করার এবং এটাকে উপলক্ষ্য করে তার একাডেমিক লাইফকে দুর্বিষহ করে তোলার এই ঘটনাগুলো মানবাধিকার ও ধর্মীয় অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন নয় কি?
সমাবেশে এটাকে মানবতাবিরোধী এবং দেশীয় আইন ও ইউনিভার্সিটি অর্ডারের লঙ্ঘন বলেও অভিহিত করেন অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।