ঢাবির রেস্তোরাঁয় একই প্লেটে খাচ্ছে মানুষ ও কুকুর ; ব্যবসা বন্ধের হুশিয়ারি

  • Update Time : ০৯:৫০:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ মে ২০২৩
  • / 260

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি:

একই থালায় প্রথমে খাচ্ছে মানুষ, তারপর খাচ্ছে কুকুর। এমন দৃশ্যই চোখে পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেস্টুরেন্ট ডিইউ কফি হাট এ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও সামাজিক বিজ্ঞানের অনুষদের সামনে গেলেই চোখে পড়বে ডিইউ কফি হাট (DU Coffee HUT) নামের একটি রেস্টুরেন্ট।

সকাল-বিকেলের হালকা নাস্তা কিংবা দুপুর-রাতের খাবার খেতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্য ও ক্যাম্পাসে আগত অনেক দর্শনার্থীদের ভরসা করতে হয় এই রেস্টুরেন্টের ওপর।রেস্টুরেন্টটির খাবারের মান নিয়ে কোন প্রশ্ন না থাকলেও খাবার পরিবেশনের পাত্র নিয়ে সম্প্রতি তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

দেখা গেছে, সুপরিচিত এ রেস্টুরেন্টটিতে স্ন্যাকস কিংবা খাবারের জন্য যে থালা দেওয়া হয় তা কেউ খাওয়ার পর আবার কুকুরগুলো সেই থালাতেই চেটে চেটে খাবার খাচ্ছে।

এ বিষয়টি শিক্ষার্থীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ জন্ম দিয়েছে। তারা বলছেন, কুকুর খাওয়ার এ ঘটনা প্রায়ই ঘটেছে।

শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, ডিইউ হাট রেস্টুরেন্টে প্রায়ই এরকম চিত্র দেখা যায়। এ নিয়ে রেস্টুরেন্ট পরিচালনাকারীর কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। বিষয়টি প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছে অস্বস্তিকর। পাশাপাশি রয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকির শঙ্কাও। তাছাড়া খাবার খাওয়ার পর পাত্রটি যথাস্থানে রাখা হলে এরকম ঘটনাগুলো এড়ানো যাবে বলে মনে করেন তারা।

এ বিষয়ে ডিইউ কফি হাট রেস্টুরেন্টের পরিচালক মামুন রিয়াজ গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করি। সেজন্য আমাদের দুটো ছেলে নিয়োজিত সেকাজে নিয়োজিত থাকে।

কাস্টমারদের অসচেতনতার জন্য এরকম ঘটনা ঘটে উল্লেখ করে মামুন রিয়াজ বলেন, কাস্টমাররা খেয়ে যদি থালাটি নির্দিষ্ট জায়গা রাখে, তাহলে কুকুরের খাওয়ার সুযোগটা থাকতেছে না। অনেকে খাবার নিয়ে সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে চলে যায়। আবার কেউ কেউ সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সামনে চলে যায়। তারা খাবার খাওয়ার সেখানেই সেগুলো রেখে আসে। তখন এরকম ঘটনা ঘটে থাকে।

বিষয়টি খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান। তিনি বলেছেন, এটা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। কুকুর খাবার খাওয়া পাত্রে কেউ খেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। যেহেতু আমরা বিষয়টি জেনেছি আমাদের পক্ষ থেকে নোটিশ পাঠানো হবে।

ঢাবি প্রক্টর আরও বলেন, যদি নোটিশ পাঠানোর পরেও এরকম ঘটনা ঘটে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দেবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ঢাবির রেস্তোরাঁয় একই প্লেটে খাচ্ছে মানুষ ও কুকুর ; ব্যবসা বন্ধের হুশিয়ারি

Update Time : ০৯:৫০:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ মে ২০২৩

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি:

একই থালায় প্রথমে খাচ্ছে মানুষ, তারপর খাচ্ছে কুকুর। এমন দৃশ্যই চোখে পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেস্টুরেন্ট ডিইউ কফি হাট এ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও সামাজিক বিজ্ঞানের অনুষদের সামনে গেলেই চোখে পড়বে ডিইউ কফি হাট (DU Coffee HUT) নামের একটি রেস্টুরেন্ট।

সকাল-বিকেলের হালকা নাস্তা কিংবা দুপুর-রাতের খাবার খেতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্য ও ক্যাম্পাসে আগত অনেক দর্শনার্থীদের ভরসা করতে হয় এই রেস্টুরেন্টের ওপর।রেস্টুরেন্টটির খাবারের মান নিয়ে কোন প্রশ্ন না থাকলেও খাবার পরিবেশনের পাত্র নিয়ে সম্প্রতি তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

দেখা গেছে, সুপরিচিত এ রেস্টুরেন্টটিতে স্ন্যাকস কিংবা খাবারের জন্য যে থালা দেওয়া হয় তা কেউ খাওয়ার পর আবার কুকুরগুলো সেই থালাতেই চেটে চেটে খাবার খাচ্ছে।

এ বিষয়টি শিক্ষার্থীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ জন্ম দিয়েছে। তারা বলছেন, কুকুর খাওয়ার এ ঘটনা প্রায়ই ঘটেছে।

শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, ডিইউ হাট রেস্টুরেন্টে প্রায়ই এরকম চিত্র দেখা যায়। এ নিয়ে রেস্টুরেন্ট পরিচালনাকারীর কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। বিষয়টি প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছে অস্বস্তিকর। পাশাপাশি রয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকির শঙ্কাও। তাছাড়া খাবার খাওয়ার পর পাত্রটি যথাস্থানে রাখা হলে এরকম ঘটনাগুলো এড়ানো যাবে বলে মনে করেন তারা।

এ বিষয়ে ডিইউ কফি হাট রেস্টুরেন্টের পরিচালক মামুন রিয়াজ গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করি। সেজন্য আমাদের দুটো ছেলে নিয়োজিত সেকাজে নিয়োজিত থাকে।

কাস্টমারদের অসচেতনতার জন্য এরকম ঘটনা ঘটে উল্লেখ করে মামুন রিয়াজ বলেন, কাস্টমাররা খেয়ে যদি থালাটি নির্দিষ্ট জায়গা রাখে, তাহলে কুকুরের খাওয়ার সুযোগটা থাকতেছে না। অনেকে খাবার নিয়ে সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে চলে যায়। আবার কেউ কেউ সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সামনে চলে যায়। তারা খাবার খাওয়ার সেখানেই সেগুলো রেখে আসে। তখন এরকম ঘটনা ঘটে থাকে।

বিষয়টি খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান। তিনি বলেছেন, এটা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। কুকুর খাবার খাওয়া পাত্রে কেউ খেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। যেহেতু আমরা বিষয়টি জেনেছি আমাদের পক্ষ থেকে নোটিশ পাঠানো হবে।

ঢাবি প্রক্টর আরও বলেন, যদি নোটিশ পাঠানোর পরেও এরকম ঘটনা ঘটে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দেবে।