সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে হলছাড়া করায় অপরাধীদের বিচার দাবি
- Update Time : ০১:৫৯:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩
- / 205
জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্য সেন হলের চার শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জোরপূর্বক মুচলেকা নিয়ে হলছাড়া করার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ও তাদের বিচারের দাবি জানানো হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদ আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ দাবি জানানো হয়। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধনে দাঁড়ায় এ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আসিফ মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আহনাফ সাঈদ খানের সঞ্চালনায় এসময় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আখতার হোসেন বলেন, নানা ছুতোয় হলের শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করে ছাত্রলীগ। সালাম দেওয়া হয়নি কেন, নির্যাতন। প্রোগ্রামে যায়নি, নির্যাতন। গেস্টরুমে আসেনি কেন, নির্যাতন। আর এবার সূর্য সেন হলের ছাত্রদের মারা হলো উন্নয়ন বিরোধী বলে। তিনদিন পার হলেও এখনো নির্যাতকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।
এ সময় তিনি তিন দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো- ছাত্র নির্যাতনের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় হতে বহিষ্কার করতে হবে; দেশীয় আইনে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে; ছাত্রদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং নির্যাতকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় হল প্রভোস্টকে অব্যাহতি দিতে হবে।
পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোকে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে রূপান্তরিত করেছে। সূর্যসেন হলে চার ছাত্র নির্যাতনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। আমরা অবিলম্বে নির্যাতনকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
সভাপতির বক্তব্যে আসিফ মাহমুদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্র নির্যাতন যেন একটি স্বাভাবিক ঘটনা। সূর্যসেন হলে চার শিক্ষার্থীকে বুকে লাথি মেরে ফেলে স্ট্যাম্প দিয়ে মারধরের মত নির্মম নির্যাতন করে হল ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমান, হামিদ কারাজাই এবং মোহাইমিনুল ইসলাম ইমন। এই নির্যাতনকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।