পর্যাপ্ত লাইটিং নেই, সৌন্দর্য হারাচ্ছে ইবির সাদ্দাম হল
- Update Time : ০৩:৫২:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩
- / 224
শাহিন রাজা, ইবি প্রতিনিধি:
নিয়মিত দেখভালের অভাবে দিনে দিনে আলোর সৌন্দর্য হারাচ্ছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রতিষ্ঠাকালীন ও সবচেয়ে পুরনো হল সাদ্দাম হোসেন হল। এ হলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পর্যাপ্ত লাইটিং না থাকায় ভোগান্তিতে পড়ছেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীরা একাধিকবার অভিযোগ করলেও এর কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি হল কর্তৃপক্ষের। রাত নামলেই হলটির চারপাশের এলাকা আঁধারে ডুবে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য হলগুলোতে সোডিয়াম আলোর পর্যাপ্ত ব্যাবস্থা থাকলেও এই হলে নেই সোডিয়ামের ঝলমলে আলোর ব্যাবস্থা।
হলের অভ্যন্তরের ফুলের বাগানে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য আটটি পয়েন্টে ল্যাম্প আছে। এর মধ্যে মাত্র দুটি ব্যাতিত সবগুলোই সংস্কারের অভাবে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। হলের ভিতরের বাগানে ছাত্রদের আড্ডার জায়গাটিও অন্ধকার হয়ে থাকে। হলের বাইরের বাগানের চিত্র একইরকম। সেখানেও সৌন্দর্যবর্ধনের অনেক স্থানে বাতির উৎস থাকলেও নেই কোনো সচল বাতি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৮ সালে হলের সম্মুখভাগে ফুলের বাগানে রাতে সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে ততকালীন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আশরাফুল আলম সোডিয়াম লাইটের ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু কিছুদিন পর ঈদের ছুটিতে লাইটগুলো উধাও হয়ে যায়। কিভাবে লাইটগুলো হারিয়ে যায় এ বিষয়ে জানতে চাইলে হল কর্তৃপক্ষ থেকে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
হলের সহকারী রেজিস্ট্রার জাহিদুল ইসলাম বলেন, প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আশরাফুল আলম সোডিয়াম লাইটের ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু কিছুদিন পর ঈদের ছুটিতে ক্যাম্পাস বন্ধ হওয়ায় লাইটগুলো উধাও হয়ে যায়। আমরা জানিনা কারা লাইট গুলো সরিয়েছে।
এছাড়াও নিরাপত্তার স্বার্থে হলের সীমানাগুলোতে হ্যালোজেন লাইটের ব্যাবস্থা করা হয়। সেগুলো চালু না থাকায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
চারতলা বিশিষ্ট এই হলের সিঁড়িগুলোতেও নেই পর্যাপ্ত আলো। যার ফলে মোবাইলের আলো ব্যবহার করে সিঁড়িতে ওঠানামা করছে আবাসিক শিক্ষার্থীরা। হলের প্রতিটি ফ্লোরের করিডোরগুলোতেও পর্যাপ্ত লাইটিং নেই। অনেকসময় দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন হলের শিক্ষার্থীরা।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আহমেদ বলেন, দিনের বেলাতে সূর্যের আলোতে হল আলোকিত থাকলেও রাত নামলে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে যায় হল ও এর চারপাশের এলাকা। সাপ-বিচ্ছু ও বিষাক্ত পোকা-মাকড়ের ভয়ে আমরা চলাফেরা করতে পারিনা। যার ফলে এখানে আমরা নিরাপত্তার আশংকা করছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, পুরাতন হল হওয়ার কারণে লাইটসহ হলের অনেক কিছু অকার্যকর হয়ে পড়ে আছে। হলের কোষাগারে পর্যাপ্ত টাকা নাই। আগামী শনিবারে হলে এসে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করে ব্যাবস্থা নিব।