অর্থনীতি বিভাগের প্রথম পুনর্মিলনী জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত
- Update Time : ০৯:১০:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / 182
শাহিন রাজা, ইবি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অর্থনীতি বিভাগের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে।
শনিবার (৪ঠা ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বর্নাঢ্য আনন্দ র্যালির মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। র্যালিটি মীর মোশাররফ হোসেন ভবন থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে মিলিত হয়।
এসময় অনুষ্ঠানে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তফা আরীফের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনূর রহমানসহ বিভাগের ১৯৮৭-৮৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় কর্তৃপক্ষ। পরে জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং প্রয়াত অধ্যাপক ড. রহমত আলী সিদ্দিকী ও ড. আবুল কালাম আজাদসহ প্রয়াত ছাত্রছাত্রীদের স্বরণে এক মিনিটের নিরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের সভাপতি ও ১ম পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির ২০২৩ এর আহ্বায়ক।
পরে বক্তব্য রাখেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘অর্থনীতি বিভাগ চৌকস মানুষ তৈরীর একটি বিভাগ। আমাদের এমন কোন সামাজিক কাজ নেই, যেখানে অর্থনীতির ছোঁয়া নেই। সুতরাং অর্থনীতি বিভাগ থেকে এরকম একটি আয়োজন কাম্য ছিল এবং তা হয়েছে। এমন আয়োজন শুধু অর্থনীতি বিভাগ থেকে না, প্রত্যেকটি বিভাগ থেকে হোক এই প্রত্যাশা করি।
তিনি আরও বলেন, যারা বিশ্ববিদ্যালয় হতে শিক্ষা জীবন শেষ করে চলে গেছে, তারা যদি বিভাগ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে অবদান রাখতে চাই সে ক্ষেত্রে এলামনাই এসোসিয়েশন বড় ধরনের কাজ করবে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কারুকলামে অনেকটা পরিবর্তন ঘটেছে। এখানে এলামনাইদের একটি বড় ভূমিকা আছে। শুধু আর্থিক সহযোগিতা নয়, আগামীতে কারুকলামে যে পলিসিগুলো থাকছে সেখানেও এলামনাইদের ভূমিকা রাখতে হবে আমরা চাই প্রতিটি বিভাগ এলামনাই এসোসিয়েশন গঠন করবে এবং সেই এসোসিয়েশনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশ ও জাতী উপকৃত হবে’
উল্লেখ্য, এর আগে ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মীর মোশাররফ হোসেন ভবন চত্বরে পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানকে ঘিরে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের পদচারণায় ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে উঠে।