সকাল ১০ টার আগে অসুস্থ হতে পারবেন না বুটেক্স শিক্ষার্থীরা
- Update Time : ১২:৪৫:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২
- / 285
সাবাইম ইসলাম জীম, বুটেক্স প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) প্রতিদিন ক্লাস শুরু হয় সকাল ৮.০০ টায় এবং চলে বিকাল ৫.২০ পর্যন্ত। একারণে শিক্ষার্থীদের সকাল ৮.০০ টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছাতে হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে, সকাল ১০ টার আগে বুটেক্স মেডিকেল সেন্টার কখনো খোলাই হয় না। কিন্তু এই সময়ে কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হলে করণীয় কি? এ যেন অসুস্থতার উপর স্রেফ নিষেধাজ্ঞা!
বুটেক্স শিক্ষার্থী তৃপ্ত জানান, “গত ১৫ জুন, সকাল ৯ টার দিকে ল্যাব করার সময় আমাদের এক সহপাঠী অজ্ঞান হয়ে যায়। এমন আকস্মিক ঘটনায় তৎক্ষণাৎ মেডিকেল সেন্টারে গেলে সেটা বন্ধ পাই।”
ব্যাপারটা এমন, যেন সকাল ১০ টার আগে অসুস্থ হওয়া নিষেধ। এছাড়াও দুপুরের বিরতির সময়সহ অনেক সময়ই মেডিকেল সেন্টার বন্ধ পাওয়া যায়। পর্যাপ্ত ঔষধ এবং এম্বুলেন্স এর অভাব সহ আরো নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত বুটেক্স মেডিকেল সেন্টার। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের শেষ নেই। শিক্ষার্থীদের কাছে ভোগান্তির অপর নাম যেন বুটেক্স মেডিকেল সেন্টার।
বুটেক্সের আরেক শিক্ষার্থী ওয়াশিক তন্ময় বলেন,”কাঁচ দিয়ে হাত-পা কেটে যাওয়ার পর মেডিকেল সেন্টারে গিয়ে যথাযথ সেবা পাইনি, উপরন্তু এম্বুলেন্স না থাকায় হাসপাতালে যেতে অনেক সময় লাগে, এতে অনেক রক্তক্ষরণ হয়।
মেডিকেল সেন্টারের নানাবিধ সমস্যার বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী মেডিকেল অফিসার মোঃ শাহজাহান মিয়া বিডিসমাচার কে বলেন,”জনবলের সমস্যার কারণে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়। মেডিকেল সেন্টারে পর্যাপ্ত জনবল ও সুযোগ সুবিধা কোনটাই নেই। তার একার পক্ষে পুরো সময় সেবা দেয়া অনেক কঠিন হয়ে পড়ে।
দুপুরে খেতে গেলে, নামাযে গেলে কিংবা কোন অসুস্থ শিক্ষার্থীর সেবা দিতে গেলে মেডিকেল সেন্টারে থাকার মতো আর কেউ নেই। যার ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও তিনি আদর্শ মেডিকেল সেন্টারের জন্য একটি এম্বুলেন্স, চারদিকে পর্দা লাগানো সহ আরও অনেক বিষয়ের উল্লেখ করে বলেন, এসবের সমাধান হলে শিক্ষার্থীদের আর ভোগান্তিতে পড়তে হবে না। তিনি আরও বলেন, এসব সমস্যার সমাধান উল্লেখপূর্বক লিখিত আবেদন করলেও কর্তৃপক্ষের কোন সদুত্তর পাননি।”
মেডিকেল সেন্টারের নানাবিধ সমস্যা ও সমাধানের বিষয়ে জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার শাহ আলীমুজ্জামান বেলাল জানান, খুব দ্রুতই একটি এম্বুলেন্স এর ব্যবস্থা করা হবে এবং আগামী ১লা জুলাই থেকে একজন পিয়ন নিয়োগ দেয়া হবে।” এছাড়াও ডাক্তার নিয়োগের জন্য সার্কুলার দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। একজন ডাক্তার নিযুক্ত হলে তিনি পুরো সময় সেবা দিতে পারবেন, ফলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কিছুটা হলেও লাঘব হবে বলে তিনি মনে করেন।