১৬ তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে ঢাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

  • Update Time : ১২:২৪:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জুন ২০২২
  • / 183

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধিঃ

রাজধানীর আদাবরে জাপান গার্ডেন সিটির ১৬ তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১ জুন) বিকেলের দিকে এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ঐ শিক্ষার্থীর নাম জায়না হাবিব প্রাপ্তি (২২)। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। নোয়াখালী সদর উপজেলার হাবিবুল আজিজের দুই সন্তানের মধ্যে ছোট তিনি। তার বাবা হাবিবুল আজিজ স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী ছিলেন।

ভবনের নিরাপত্তা কর্মী মোতালেব জানান, বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বিল্ডিংয়ের নিচতলায় বসে ছিলাম। হঠাৎ করে মনে হলো ছাদ থেকে কোনো কিছু পড়েছে। দ্রুত দৌড়ে এসে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় একজনের মরদেহ পড়ে রয়েছে।

পুলিশের মোহাম্মদপুর অঞ্চলের সহকারী কমিশনার মুজিব আহমেদ পাটোয়ারি গণমাধ্যমকে বলেন, ছাদের ও আশপাশের ভবনের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার (সিসি) ফুটেজে দেখা গেছে, জায়না ছাদে উঠে বৃষ্টির মধ্যে হাঁটাহাঁটি করেন। একপর্যায়ে তিনি তাঁর মুঠোফোনটি একটি পলিথিনে ঢোকান। ছাদে ওই মুঠোফোন ও একটি ‘সুইসাইড নোট’ রেখে তিনি একপর্যায়ে ছাদ থেকে নিচে লাফিয়ে পড়েন।

চিরকুট সম্পর্কে পুলিশ কর্মকর্তা মুজিব বলেন, জায়নার রেখে যাওয়া চিরকুটে লেখা রয়েছে—‘আমার জীবন একটা ব্যর্থ জীবন। না পারলাম মা–বাবাকে খুশি করতে, না পারলাম অন্য কাউকে খুশি করতে। আমি গেলে কিছু আসবে–যাবে না জানি।’

সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


১৬ তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে ঢাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

Update Time : ১২:২৪:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জুন ২০২২

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধিঃ

রাজধানীর আদাবরে জাপান গার্ডেন সিটির ১৬ তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১ জুন) বিকেলের দিকে এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ঐ শিক্ষার্থীর নাম জায়না হাবিব প্রাপ্তি (২২)। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। নোয়াখালী সদর উপজেলার হাবিবুল আজিজের দুই সন্তানের মধ্যে ছোট তিনি। তার বাবা হাবিবুল আজিজ স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী ছিলেন।

ভবনের নিরাপত্তা কর্মী মোতালেব জানান, বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বিল্ডিংয়ের নিচতলায় বসে ছিলাম। হঠাৎ করে মনে হলো ছাদ থেকে কোনো কিছু পড়েছে। দ্রুত দৌড়ে এসে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় একজনের মরদেহ পড়ে রয়েছে।

পুলিশের মোহাম্মদপুর অঞ্চলের সহকারী কমিশনার মুজিব আহমেদ পাটোয়ারি গণমাধ্যমকে বলেন, ছাদের ও আশপাশের ভবনের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার (সিসি) ফুটেজে দেখা গেছে, জায়না ছাদে উঠে বৃষ্টির মধ্যে হাঁটাহাঁটি করেন। একপর্যায়ে তিনি তাঁর মুঠোফোনটি একটি পলিথিনে ঢোকান। ছাদে ওই মুঠোফোন ও একটি ‘সুইসাইড নোট’ রেখে তিনি একপর্যায়ে ছাদ থেকে নিচে লাফিয়ে পড়েন।

চিরকুট সম্পর্কে পুলিশ কর্মকর্তা মুজিব বলেন, জায়নার রেখে যাওয়া চিরকুটে লেখা রয়েছে—‘আমার জীবন একটা ব্যর্থ জীবন। না পারলাম মা–বাবাকে খুশি করতে, না পারলাম অন্য কাউকে খুশি করতে। আমি গেলে কিছু আসবে–যাবে না জানি।’

সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে।