বিসিএস শিক্ষা সমিতির নির্বাচনে ‘শাহেদ-রেহেনা’ প্যানেলের ইশতেহার
- Update Time : ০৭:৪৯:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ মার্চ ২০২২
- / 149
ঢাকা কলেজ প্রতিনিধিঃ
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নির্বাচন-২০২২ এ ‘শাহেদ-রেহেনা’ প্যানেল ২৮টি নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে। সোমবার (১৪ মার্চ) ঢাকা কলেজের শহীদ আ.ন.ম. নজীব উদ্দিন খান খুররম অডিটোরিয়ামে এই ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। ইশতেহার ঘোষণা করেন প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা এর পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) প্রফেসর মোঃ শাহেদুল খবির চৌধুরী।
তিনি বলেন, যুগান্তকারী নন-ক্যাডার বিধিমালা ২০১৮, ১৮ মহিলা কলেজের রায় এবং প্রায় ৮ হাজারের মত কর্মকর্তার পদোন্নতিসহ এ সময়ে আমাদের কিছু অর্জন তাে অবশ্যই অতুলনীয়। গত মেয়াদে আপনাদের সহযােগিতা নিয়ে প্রদত্ত ইশতেহারে প্রথম ৪টি সহ মােট ৮টি প্রত্যাশা আমরা পূরণ করেছিলাম। তাই বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির আসন্ন নির্বাচনেও আমরা আপনাদের রায় প্রত্যাশী। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা এবং ভবিষ্যতের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞা – আগামীতে শিক্ষা ক্যাডারকে আরাে সমৃদ্ধ করবে। সেগুলো হলো-
১. প্রতি বছরে সকল স্তরে একাধিক পদোন্নতির উদ্যোগ গ্রহণ।
২. ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতি অব্যাহত রাখা।
৩.সাড়ে ১২ হাজারের অধিক পদ সৃজনের চলমান প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্নকরণ।
৪. সকল অধ্যাপক পদকে (শতভাগ) ৩য় গ্রেডে উন্নীতকরণ।
৫. গ্রেড বিবেচনায় প্রভাষকদের পদোন্নতি চালুকরণ (৯ম থেকে ৬ষ্ঠ গ্রেড)।
৬. সরকারি কলেজে গভনিং বডি বিষয়ে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান।
৭. নবীন ক্যাডার সদস্যদের যােগদানের পরপরই সকল ক্যাডারের সাথে।
অভিন্ন বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ।
৮. অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সকল ক্যাডার কর্মকর্তাদের প্রয়ােজনীয় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও ইন্টারনেট ভাতা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ।
৯. ১০% কোটায় শিক্ষক নিয়ােগ ও প্রদর্শকদের ক্যাডারে প্রবেশ বন্ধের
লক্ষ্যে নিয়ােগ বিধিমালা ১৯৮১ সংশােধনের উদ্যোগ গ্রহণ।
১০. অধিদপ্তর, দপ্তর ও কলেজগুলােতে আনুপাতিক হারে পর্যাপ্ত সংখ্যক
১ম, ২য়, ৩য় গ্রেডের পদসৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ (সুপারিশ প্রেরিত)।
১১. ক্যাডার বৈষম্য নিরসনে ‘৬ স্তর-৬ গ্রেড’ প্রস্তাব বাস্তবায়নে উদ্যোগ
গ্রহণ (সুপারিশ প্রেরিত)।
১২. উপজেলা-জেলা-বিভাগসহ মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন শিক্ষাস্তরের জন্য শিক্ষা
ক্যাডারের পদ সৃষ্টি ও দপ্তর স্থাপনের উদ্যোগ (সুপারিশ প্রেরিত)।
১৩. প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত সকল সাধারণ শিক্ষাস্তরকে বিসিএস
সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের আওতায় আনা (সুপারিশ প্রেরিত)।
১৪. কর্মস্থলে ক্যাডার সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্যাগ গ্রহণ।
১৫. কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠাকল্পে উদ্যোগ গ্রহণ।
১৬. অর্জিত ছুটি নিশ্চিতকরণ।
১৭. শিক্ষা ক্যাডারকে ‘নন ভেকেশন’ করার উদ্যোগ গ্রহণ।
১৮. ক্যাডার সদস্যদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতকল্পে কল্যাণ তহবিল সমৃদ্ধকরণ।
১৯. কলেজগুলােতে উপাধ্যক্ষের ১টি অতিরিক্ত পদ সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ।
২০. সকল অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষদের প্রাধিকারের ভিত্তিতে গাড়ি প্রদানের উদ্যোগ।
২১. বিসিএস সাধারণ শিক্ষা একাডেমি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ।
২২. ঢাকার কেন্দ্রে কৃষিবিদ/ইঞ্জিনিয়ারর্স ইনস্টিটিউটের আদলে শিক্ষাবিদ
ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ।
২৩. শিক্ষক পল্লীর ২য় প্রকল্প চালুকরণ
২৪. মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা অধিদপ্তর/ নায়েম/
বিএমটিটিআই এর নিয়ােগ বিধিমালা পরিবর্তনের উদ্যোগ।
২৫. সকল অধিদপ্তর, দপ্তর, ইনস্টিটিউট, প্রকল্প, প্রােগ্রাম ও স্কিম সমূহের
সকল প্রশাসনিক পদ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের দ্বারা পূরণের উদ্যোগ
গ্রহণ।
২৬. জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি-নির্ধারণী পদ সমূহে আনুপাতিক হারে ক্যাডার সদস্যদের পদায়ন।
২৭. প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনে ক্যাডার সদস্যদের অধিকার নিশ্চিত করা।
২৮. সরকারি কলেজগুলােতে আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন রেস্ট হাউজ-ডরমেটরি নির্মাণ।
গত মেয়াদে এই প্যানেলের অর্জন তুলে ধরেন মহাসচিব পদপ্রার্থী ইডেন মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক রেহানা পারভীন বলেন, এই প্রথমবারের মত মাউশি অধিদপ্তর এর উদ্যোগে সমিতির সহায়তায় ক্যাডারের সকল অংশীজনকে সাথে নিয়ে ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য কর্মজীবন পরিকল্পনার খসড়া রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে যা প্রস্তাব আকারে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। কর্মজীবন পরিকল্পনায় ৬ পদন্তর – ৬ বেতন গ্রেড’-এর সুপারিশ ও প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কর্মজীবন পরিকল্পনায় দেশের সকল বিভাগ-জেলা-উপজেলাসহ মাঠ পর্যায়ে ক্যাডারের পদসৃষ্টি ও দপ্তর স্থাপন এর প্রস্তাব পাঠানাে হয়েছে। সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে সকল ব্যাচকেই সমানভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।