কলকাতায় নজরুলতীর্থ পরিদর্শনে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

  • Update Time : ০৫:৩৬:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ মার্চ ২০২২
  • / 196

মো: শুভ ইসলাম,জাককানইবি প্রতিনিধি:

বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবন ও কর্মের নানা উপকরণ দিয়ে সাজানো পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার অদূরে নিউটাউনে প্রায় ২ একর জমিতে অনন্য সাধারণ স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত “নজরুল তীর্থ” গড়ে উঠেছে। প্রতিদিন হাজারো দর্শনার্থী এই তীর্থ পরিদর্শনে আসেন।মূলত এই “নজরুল তীর্থ” জ্ঞান পিপাসুদের জ্ঞান তৃষ্ণা মিটিয়ে থাকে।

এছাড়া বছরজুড়ে চিত্রকলা প্রদর্শনী, নজরুল গীতি, শ্রতিনাটক, রবীন্দ্রসঙ্গীত ও নৃত্যনাট্য, নাটক, আধুনিক গান, লোকসংগীত, ব্যন্ডের গান এই অঞ্চলের আবাসিকদের মনোরঞ্জনের অফুরন্ত খোরাক যুগিয়ে থাকে।

সম্প্রতি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর ‘নজরুলতীর্থ’ পরিদর্শন করেছেন।

প্রফেসর ড. সৌমিত্র নজরুলতীর্থে পৌঁছুলে তাকে স্বাগত জানান তীর্থের ম্যানেজার (ইনচার্জ) গার্গী বোস ও এসিসট্যান্ট ম্যানেজার জয়ন্ত বিশ্বাস। এরপরে উপাচার্য তীর্থভবনের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন।

এসময় তীর্থের কর্মকর্তারা জানান, নজরুলতীর্থে তিনটি পেক্ষাগৃহ। তারমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় পেক্ষাগৃহে নিয়মিত চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

প্রামাণ্যচিত্র, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র এই অঞ্চলের মানুষকেই শুধু সাংস্কৃতিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছে তাই নয়, কলকাতা, সল্টলেক ও পাশ্ববর্তী এলাকার আবাসিকদের মনন ও চিন্তার জগতকেও পরিশীলিত করে তুলেছে।

তারা বলেন, নজরুলতীর্থ এখন শুধুমাত্র নিউটাউন বা সল্টলেক নয় কলকাতা এবং সারা রাজ্যের সাংস্কৃতিক মানচিত্রে এক উল্লেখযোগ্য স্থান করে নিয়েছে।

উপাচার্য নজরুল তীর্থের বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে ও কর্মকাণ্ডগুলো জেনে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজের সঙ্গে নজরুলতীর্থের পারস্পরিক সহযোগিতার মধ্যদিয়ে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, নজরুলতীর্থের স্থাপনাগুলোর নান্দনিক সৌন্দর্য ও এখানকার শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড দুটোই মুগ্ধ করার মতো। আমাদের জাতীয় কবিকে তারা যে সম্মাননা দিয়েছেন সেটাও শিক্ষণীয়। নজরুল তীর্থে সফর ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মধ্যদিয়ে আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মিয়মান ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজের ভবনে কাজে লাগাতে পারি। সেধরনের পরিকল্পনা ও কার্যব্যবস্থা ভবিষ্যতে নেয়া হবে।

সাক্ষাৎকালে উপাচার্য নজরুলতীর্থের কর্মকর্তাদের হাতে স্মারক হিসেবে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়েরি ও ক্যালেন্ডার তুলে দেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


কলকাতায় নজরুলতীর্থ পরিদর্শনে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

Update Time : ০৫:৩৬:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ মার্চ ২০২২

মো: শুভ ইসলাম,জাককানইবি প্রতিনিধি:

বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবন ও কর্মের নানা উপকরণ দিয়ে সাজানো পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার অদূরে নিউটাউনে প্রায় ২ একর জমিতে অনন্য সাধারণ স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত “নজরুল তীর্থ” গড়ে উঠেছে। প্রতিদিন হাজারো দর্শনার্থী এই তীর্থ পরিদর্শনে আসেন।মূলত এই “নজরুল তীর্থ” জ্ঞান পিপাসুদের জ্ঞান তৃষ্ণা মিটিয়ে থাকে।

এছাড়া বছরজুড়ে চিত্রকলা প্রদর্শনী, নজরুল গীতি, শ্রতিনাটক, রবীন্দ্রসঙ্গীত ও নৃত্যনাট্য, নাটক, আধুনিক গান, লোকসংগীত, ব্যন্ডের গান এই অঞ্চলের আবাসিকদের মনোরঞ্জনের অফুরন্ত খোরাক যুগিয়ে থাকে।

সম্প্রতি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর ‘নজরুলতীর্থ’ পরিদর্শন করেছেন।

প্রফেসর ড. সৌমিত্র নজরুলতীর্থে পৌঁছুলে তাকে স্বাগত জানান তীর্থের ম্যানেজার (ইনচার্জ) গার্গী বোস ও এসিসট্যান্ট ম্যানেজার জয়ন্ত বিশ্বাস। এরপরে উপাচার্য তীর্থভবনের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন।

এসময় তীর্থের কর্মকর্তারা জানান, নজরুলতীর্থে তিনটি পেক্ষাগৃহ। তারমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় পেক্ষাগৃহে নিয়মিত চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

প্রামাণ্যচিত্র, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র এই অঞ্চলের মানুষকেই শুধু সাংস্কৃতিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছে তাই নয়, কলকাতা, সল্টলেক ও পাশ্ববর্তী এলাকার আবাসিকদের মনন ও চিন্তার জগতকেও পরিশীলিত করে তুলেছে।

তারা বলেন, নজরুলতীর্থ এখন শুধুমাত্র নিউটাউন বা সল্টলেক নয় কলকাতা এবং সারা রাজ্যের সাংস্কৃতিক মানচিত্রে এক উল্লেখযোগ্য স্থান করে নিয়েছে।

উপাচার্য নজরুল তীর্থের বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে ও কর্মকাণ্ডগুলো জেনে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজের সঙ্গে নজরুলতীর্থের পারস্পরিক সহযোগিতার মধ্যদিয়ে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, নজরুলতীর্থের স্থাপনাগুলোর নান্দনিক সৌন্দর্য ও এখানকার শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড দুটোই মুগ্ধ করার মতো। আমাদের জাতীয় কবিকে তারা যে সম্মাননা দিয়েছেন সেটাও শিক্ষণীয়। নজরুল তীর্থে সফর ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মধ্যদিয়ে আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মিয়মান ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজের ভবনে কাজে লাগাতে পারি। সেধরনের পরিকল্পনা ও কার্যব্যবস্থা ভবিষ্যতে নেয়া হবে।

সাক্ষাৎকালে উপাচার্য নজরুলতীর্থের কর্মকর্তাদের হাতে স্মারক হিসেবে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়েরি ও ক্যালেন্ডার তুলে দেন।