শাবি ১১ জন শিক্ষার্থী হাসপাতালে

  • Update Time : ০৪:১৬:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জানুয়ারী ২০২২
  • / 155

শাবি প্রতিনিধি:

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ শিক্ষার্থী। ৪৮ ঘণ্টা পরও অনশন ভাঙেননি কেউ। উপাচার্যের পদত্যাগে অনড় অনশনরত শিক্ষার্থীরা।

উপাচার্যের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত তারা অনশন ভাঙবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এদিকে অনশনে থাকা শিক্ষার্থীদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ১১ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ১২ শিক্ষার্থীকে অনশনস্থলেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে এ পর্যন্ত ১১ শিক্ষার্থীকে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শে কিছুক্ষণ পর পর অ্যাম্বুলেন্সযোগে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাদের অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ভর্তি করা হয় বিভিন্ন হাসপাতালে। এর মধ্যে একজনের অবস্থা কিছুটা উন্নতি হওয়ায় সে আবার আন্দোলনস্থলে ফিরে এসেছেন।

জানা যায়, অসুস্থ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৯ জন, জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজে একজন এবং মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে একজন ভর্তি রয়েছেন।

অনশনরতদের মধ্যে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে ১১ জন হাসপাতালে এবং ১২ শিক্ষার্থীকে আন্দোলনস্থলেই স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে অ্যাম্বুলেন্সও।

মেডিকেল টিমের সদস্য মো. নাজমুল হাসান বলেন, এখানে অনশনরত শিক্ষার্থীদের অবস্থা ক্রমশই খারাপের দিকে যাচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থীর অবস্থা গুরুতর। তবে এ সংখ্যাটা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করছি। তারা ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় কিছু খায়নি। তারা সবাই পানি স্বল্পতায় ভুগছেন।

তিনি বলেন, এখানে যাদের অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে, তাদের জন্য স্যালাইনসহ ওষুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানেই স্যালাইন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর যদি কোনো জরুরি অবস্থার সৃষ্টি হয়, তা হলে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এবং ওসমানী মেডিকেল কলেজে বেডের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সাত সদস্যের একটি মেডিকেল টিম এসে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করছে। এ ছাড়া সবসময় একটি মেডিকেল টিম শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


শাবি ১১ জন শিক্ষার্থী হাসপাতালে

Update Time : ০৪:১৬:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জানুয়ারী ২০২২

শাবি প্রতিনিধি:

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ শিক্ষার্থী। ৪৮ ঘণ্টা পরও অনশন ভাঙেননি কেউ। উপাচার্যের পদত্যাগে অনড় অনশনরত শিক্ষার্থীরা।

উপাচার্যের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত তারা অনশন ভাঙবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এদিকে অনশনে থাকা শিক্ষার্থীদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ১১ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ১২ শিক্ষার্থীকে অনশনস্থলেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে এ পর্যন্ত ১১ শিক্ষার্থীকে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শে কিছুক্ষণ পর পর অ্যাম্বুলেন্সযোগে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাদের অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ভর্তি করা হয় বিভিন্ন হাসপাতালে। এর মধ্যে একজনের অবস্থা কিছুটা উন্নতি হওয়ায় সে আবার আন্দোলনস্থলে ফিরে এসেছেন।

জানা যায়, অসুস্থ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৯ জন, জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজে একজন এবং মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে একজন ভর্তি রয়েছেন।

অনশনরতদের মধ্যে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে ১১ জন হাসপাতালে এবং ১২ শিক্ষার্থীকে আন্দোলনস্থলেই স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে অ্যাম্বুলেন্সও।

মেডিকেল টিমের সদস্য মো. নাজমুল হাসান বলেন, এখানে অনশনরত শিক্ষার্থীদের অবস্থা ক্রমশই খারাপের দিকে যাচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থীর অবস্থা গুরুতর। তবে এ সংখ্যাটা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করছি। তারা ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় কিছু খায়নি। তারা সবাই পানি স্বল্পতায় ভুগছেন।

তিনি বলেন, এখানে যাদের অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে, তাদের জন্য স্যালাইনসহ ওষুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানেই স্যালাইন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর যদি কোনো জরুরি অবস্থার সৃষ্টি হয়, তা হলে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এবং ওসমানী মেডিকেল কলেজে বেডের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সাত সদস্যের একটি মেডিকেল টিম এসে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করছে। এ ছাড়া সবসময় একটি মেডিকেল টিম শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে।