ঢাবিতে কুশপুত্তলিকা দাহ করার পর শাবিপ্রবির ‘ছাত্র মারা উপাচার্যে’র পদত্যাগ দাবি

  • Update Time : ০৫:০৪:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২২
  • / 132

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি:

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদ থেকে ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কর্মসূচি পালন করেছে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর মোর্চা প্রগতিশীল ছাত্রজোট এবং শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক একদল শিক্ষার্থী।

উপাচার্যের পদত্যাগের জন্য ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়ে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে ‘ছাত্র মারা উপাচার্য’ আখ্যা দিয়েছে সংগঠনটি৷

সোমবার(১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনের সড়কে ফরিদ উদ্দিন আহমেদের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা। ‘শাবিপ্রবির ছাত্র মারা উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে কুশপুত্তলিকা দাহ’ শীর্ষক এই কর্মসূচিতে পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা উপস্থিত ছিলেন।

কুশপুত্তলিকা দাহ করার আগে বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘নিজের আত্মরক্ষার জন্য যে উপাচার্য সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করতে পারেন, তিনি কোনো গ্রহণযোগ্য শিক্ষক হতে পারেন না। আমরা অবিলম্বে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবি করি। ন্যূনতম সম্মানবোধ থাকলে তিনি নিজেই পদত্যাগ করবেন বলে আমরা আশা করি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে।’

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন করে পাঁচ দফা দাবি জানান শাবিপ্রবির কিছু সংখ্যক সাবেজ শিক্ষার্থী।

একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কতটা বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীবিরোধী হতে পারে, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বর্তমান প্রশাসন তার এক ‘কলঙ্কজনক নজির’ স্থাপন করেছে বলে মনে করে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। অবলিম্বে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালকের পদত্যাগ দাবি করেছেন তাঁরা।

তাঁদের অন্য দাবিগুলো হলো শাবিপ্রবি ক্যাম্পাস ও হল বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাহার, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার তদন্ত, আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ও মানসিক আঘাত নিরাময়ের উদ্যোগ, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়া পূর্ণ দায়িত্বসহ আমলে নেওয়া ও মানা এবং যেকোনো মূল্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ঢাবিতে কুশপুত্তলিকা দাহ করার পর শাবিপ্রবির ‘ছাত্র মারা উপাচার্যে’র পদত্যাগ দাবি

Update Time : ০৫:০৪:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২২

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি:

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদ থেকে ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কর্মসূচি পালন করেছে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর মোর্চা প্রগতিশীল ছাত্রজোট এবং শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক একদল শিক্ষার্থী।

উপাচার্যের পদত্যাগের জন্য ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়ে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে ‘ছাত্র মারা উপাচার্য’ আখ্যা দিয়েছে সংগঠনটি৷

সোমবার(১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনের সড়কে ফরিদ উদ্দিন আহমেদের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা। ‘শাবিপ্রবির ছাত্র মারা উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে কুশপুত্তলিকা দাহ’ শীর্ষক এই কর্মসূচিতে পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা উপস্থিত ছিলেন।

কুশপুত্তলিকা দাহ করার আগে বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘নিজের আত্মরক্ষার জন্য যে উপাচার্য সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করতে পারেন, তিনি কোনো গ্রহণযোগ্য শিক্ষক হতে পারেন না। আমরা অবিলম্বে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবি করি। ন্যূনতম সম্মানবোধ থাকলে তিনি নিজেই পদত্যাগ করবেন বলে আমরা আশা করি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে।’

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন করে পাঁচ দফা দাবি জানান শাবিপ্রবির কিছু সংখ্যক সাবেজ শিক্ষার্থী।

একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কতটা বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীবিরোধী হতে পারে, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বর্তমান প্রশাসন তার এক ‘কলঙ্কজনক নজির’ স্থাপন করেছে বলে মনে করে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। অবলিম্বে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালকের পদত্যাগ দাবি করেছেন তাঁরা।

তাঁদের অন্য দাবিগুলো হলো শাবিপ্রবি ক্যাম্পাস ও হল বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাহার, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার তদন্ত, আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ও মানসিক আঘাত নিরাময়ের উদ্যোগ, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়া পূর্ণ দায়িত্বসহ আমলে নেওয়া ও মানা এবং যেকোনো মূল্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা।