শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে রাবিতে মানববন্ধন
- Update Time : ০২:৩৮:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২২
- / 190
আসিফ আজাদ সিয়াম, রাবি প্রতিনিধি:
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্বাবিদ্যালয়ে (রাবি) মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সোমবার (১৭ জানুয়ারী) বেলা সাড়ে এগরোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সভাপতি মেহেদী হাসান মুন্না বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা স্বৈরাচারের সহায়াক ভূমিকা একনিষ্ঠ ভাবে পালন করছে। বাংলাদেশে স্বাধীনাতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করতেছি আমরা তারপরো কেনো পঞ্চাশ বছরে আমার ভাইয়ের রক্ত ঝড়বে ক্যাম্পাসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হচ্ছে নীলচাষী আর প্রশাসন হচ্ছে ইংরেজ। নীলচাষীদের ব্রিটিশরা যেরকম নির্যাতন করত সেরকম ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করা হচ্ছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের ছাত্ররা সব সময় সংগ্রামী ভূমিকা পালন করেছে। সেই ভূমিকা যাতে অক্ষুণ্ন থাকে সে জন্য আমাদের এক হয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের ন্যয্য অধিকার, ন্যায্য দাবি এবং সকল রকম গুম, খুন, ভোট চোরদের বিরুদ্ধে আমাদের এক সাথে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রিফাত বলেন, ভিসি হচ্ছে শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ অভিভাবক ক্যাম্পাসে। সেই অভিভাবকের মদদে যখন পুলিশ বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাথীদের উপর হামলা চালায় তখন ই বুঝে নিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান কোথায়। সে দেশ সে জাতির অবস্থা কোথায়। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই ভাষা এনে দিয়েছি, একাত্তরের স্বাধীনাতা এনেছি। বঙ্গবন্ধু, আব্দুর রব সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। এভাবে যুগে যুগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মুক্তি সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। আর সবথেকে নেক্কার জনক একটি ঘটনা ভিসির প্রত্যক্ষ মদদে পুলিশ বাহিনী কিভাবে ছাত্র সমাজের উপর হামলা করল। তারা শুধু দ্বায়িত্ব নিয়ে পড়ে থাকে, শিক্ষার্থীদের বিষয় নিয়ে তারা ভাবে না।
রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ অন্তর বলেন, এই সন্ত্রসী হামলার সাথে যে সন্ত্রাসী সংগঠন, পুলিশ এবং প্রশাসন কর্তাব্যক্তিরা যারা এর সাথে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে তাদের বিচার করতে হবে। যেন ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের উপর কোন মহল আঙ্গুল তুলতে না পারে, শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত দিতে না পারে। শিক্ষার্থীদের উপর চোখ রাঙাতে না পারে। বাংলাদেশের যেকোন প্রান্তে যেকোন শিক্ষার্থীর উপর যখন কোন জুলুম নিপীড়ন করবে, তখন আমরা আমাদের ভাই-বোন-বন্ধু হিসেবে, শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব থেকে আমরা তার প্রতিবাদ করব। সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে যে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চলে, প্রশাসন যে স্বৈরচারী নীতি চলে, তা আর চলতে দেয়া হবে না। আমরা পুরো বাংলাদেশের সমস্ত শিক্ষার্থীরা শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার থাকবো।
এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে ‘ছাত্র সমাজ এক হও। লড়াই করো’ ; ‘সাস্ট এ শিক্ষাথী আন্দোলনে সংহতি’; ‘সাস্ট এ শিক্ষার্থীদের উপর হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাই’; ‘যে ভিসি বুলেট মারে সেই ভিসি চাই না’ লিখা সংবলিত প্লাকার্ড দেখা যায়।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোহব্বত হোসেন মিলনের সঞ্চলনায় প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।