ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা প্রাঙ্গণে শুরু হলো জয়নুল উৎসব

  • Update Time : ০৬:২১:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 135

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি:

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ১০৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী জয়নুল উৎসব।

আজ, বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় আয়োজিত উৎসবের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক আহমেদ উল্লাহ এবং শিল্পাচার্য-পুত্র খায়রুল আবেদিন।

এর আগে শিল্পাচার্যের সমাধিতে ফুল দিয়ে শুরু হয় প্রথমদিনের অনুষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, চারুকলা অনুষদ, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর দুই প্রখ্যাত শিল্পী ভারতের বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিব কুমার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুস শাকুর শাহকে জয়নুল সম্মাননা-২০২১ দেওয়া হয়। অধ্যাপক শিব কুমারের পক্ষে সম্মাননা দেন সঞ্জয় কুমার চক্রবর্তী।

পরে চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে তিন দিনব্যাপী জয়নুল মেলার উদ্বোধন করেন যৌথভাবে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর। প্রতিদিন সকাল ১০ থেকে শুরু হয়ে মেলা চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।

এছাড়া বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটায় চারুকলা অনুষদের ওসমান জামাল মিলনায়তনে জয়নুল স্মারক বক্তৃতা-২০২১ অনুষ্ঠিত হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, চারুকলা শিক্ষার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য ১৯৪৮ সালে ঢাকা আর্ট ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন। এ আর্ট ইনস্টিটিউট বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদ হিসেবে সুপরিচিত। তার অনবদ্য সৃষ্টি এ প্রতিষ্ঠানটি শুধু বাংলাদেশেই নয়, ভারতীয় উপমহাদেশে চারুকলা শিক্ষা প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। অনাগত ভবিষ্যতের প্রজন্মকেও নানাভাবে অনুপ্রেরণা দিচ্ছে এ প্রতিষ্ঠান।

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর বলেন, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শিল্পকর্মের উন্নতি সাধনে আমাদের শিল্পীরা অনন্য অবদান রেখে চলছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা প্রাঙ্গণে শুরু হলো জয়নুল উৎসব

Update Time : ০৬:২১:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি:

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ১০৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী জয়নুল উৎসব।

আজ, বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় আয়োজিত উৎসবের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক আহমেদ উল্লাহ এবং শিল্পাচার্য-পুত্র খায়রুল আবেদিন।

এর আগে শিল্পাচার্যের সমাধিতে ফুল দিয়ে শুরু হয় প্রথমদিনের অনুষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, চারুকলা অনুষদ, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর দুই প্রখ্যাত শিল্পী ভারতের বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিব কুমার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুস শাকুর শাহকে জয়নুল সম্মাননা-২০২১ দেওয়া হয়। অধ্যাপক শিব কুমারের পক্ষে সম্মাননা দেন সঞ্জয় কুমার চক্রবর্তী।

পরে চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে তিন দিনব্যাপী জয়নুল মেলার উদ্বোধন করেন যৌথভাবে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর। প্রতিদিন সকাল ১০ থেকে শুরু হয়ে মেলা চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।

এছাড়া বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটায় চারুকলা অনুষদের ওসমান জামাল মিলনায়তনে জয়নুল স্মারক বক্তৃতা-২০২১ অনুষ্ঠিত হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, চারুকলা শিক্ষার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য ১৯৪৮ সালে ঢাকা আর্ট ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন। এ আর্ট ইনস্টিটিউট বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদ হিসেবে সুপরিচিত। তার অনবদ্য সৃষ্টি এ প্রতিষ্ঠানটি শুধু বাংলাদেশেই নয়, ভারতীয় উপমহাদেশে চারুকলা শিক্ষা প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। অনাগত ভবিষ্যতের প্রজন্মকেও নানাভাবে অনুপ্রেরণা দিচ্ছে এ প্রতিষ্ঠান।

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর বলেন, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শিল্পকর্মের উন্নতি সাধনে আমাদের শিল্পীরা অনন্য অবদান রেখে চলছে।