নানা আয়োজনে বশেমুরবিপ্রবিতে মহান বিজয় দিবস উদযাপন
- Update Time : ১১:৫০:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২১
- / 203
রাকিবুল হাসান,বশেমুরবিপ্রবি:
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপনের সমাপনী, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মহান বিজয় দিবস-২০২১ উদযাপিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের মুক্তমঞ্চ আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পুরষ্কার বিতরনী, জাতির পিতার সমাধিসৌধ, শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন, দিনব্যাপী প্রীতি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী ও রচনা প্রতিযাগিতার আয়োজন করা হয়।
বিকাল ৪টায় স্যার আচার্য্য জগদীশ চদ্র বসু একাডেমিক ভবনের মুক্ত মঞ্চে উপাচার্য প্রফেসর ড. এ কিউ এম মাহবুবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু।
আলোচনা সভার প্রধান আলোচক বীর মুক্তিযাদ্ধা শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান কৃতজ্ঞচিত্ত স্মরণ করেন। এছাড়াও তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন।
আলাচনা সভার সভাপতি উপাচার্য প্রফেসর ড. এ কিউ এম মাহবুব বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শন এবং চেতনা যদি আমরা বুকে ধারন করি তাহলে আমরা পথ হারাবো না।”
তিনি বাংলাদশকে এগিয়ে নিতে প্রযুক্তিগত শিক্ষা ও গবেষণার জন্য সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান।
এছাড়াও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিব বর্ষ’ উপলক্ষে ৪.৩০ টায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি দেশব্যাপী শপথ বাক্য পাঠ করান।
উক্ত অনুষ্ঠান অত্র বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার অংশগ্রহণ করেন। সন্ধ্যা ৭টায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, বিজয় দিবসের প্রথম প্রহর রাত ১২.১৫ টায় ভাইস-চ্যান্সলর প্রফেসর ড. এ কিউ এম মাহবুবের নেতৃত্বে টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতার মাজার, সকাল ৯.০০ টায় শেখ কামাল স্টেডিয়াম সংলগ শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ এবং সকাল ৯.৩০ টায় ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।
এসময় শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কর্মচারী সমিতিসহ সকল বিভাগ, হলসমূহ, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
এছাড়াও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, একাডমিক ভবন ও হলসমূহ আলাকসজ্জা করা হয়।