ঢাবির মুহসীন হল : খাবারের মধ্যে পোকা, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

  • Update Time : ১১:৩৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 175

ঢাবি প্রতিনিধিঃ

মেয়াদোত্তীর্ণ হিমায়িত মাছ-মাংস বিক্রির অভিযোগের পর এবার মুহসীন হলের খাবারের মধ্যে পাওয়া গেল বিশালাকার পোকা। গতকাল রাতের খাবারে বেগুন ভর্তার মধ্যে এই পোকা পেয়েছেন হলের একজন আবাসিক শিক্ষার্থী।

পরে ক্যান্টিনের ম্যানেজারকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলেও কোনো সদুত্তর দিতে পারেন নি তিনি । এই ঘটনা জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ হন হলের শিক্ষার্থীরা।

জানতে চাইলে একজন শিক্ষার্থী বলেন,ক্যান্টিন নিয়ে অভিযোগের শেষ নাই। গরুর মাংস থেকে শুরু করে ডাল পর্যন্ত। পানি আর ডালের মধ্যে পার্থক্য খুঁজতে আপনার খুবই কষ্ট হবে। কিন্তু এই অবস্থার স্থায়িত্ব আমরা আর চাচ্ছি না।

তারা অভিযোগ করেন, করোনার পরে, হল খুললে ক্যান্টিনের খাবারের দাম অনেক বাড়ানো হলেও বাড়েনি খাবারের মান।

অনুরূপ অভিযোগ করেছেন মাস্টার দা সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থীরাও ৷ তারা বলেন, হল ক্যান্টিনে বসে খাবার খাওয়ার মতো পরিবেশ নেই। অপরিষ্কার ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার পরিবেশন করা হয়। একারণে বাধ্য হয়ে অন্য হলে গিয়ে খেতে হয় তাদের।

অনেকে হল প্রশাসনের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন। বলছেন, প্রশাসনের কোনো রকম তদারকি নেই বললেই চলে। পাশাপাশি হল সংসদের নেতৃবৃন্দের সুনজর প্রত্যাশা করেছেন শিক্ষার্থীরা৷

এ ধরনের নিন্মমানের খাবার পরিবেশনের যথোপযুক্ত বিচার দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা । তারা বলছেন, যেহেতু অন্যায়টি আমাদের সকলেরই সাথে করা হয়েছে, কারো উচিত নয় তাদেরকে পার পাইয়ে দেয়া। বিচার হতে হবে অবশ্যই খোলামেলা ও সবার সামনে প্রকাশ্যে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী মেয়াদোত্তীর্ণ হিমায়িত মাংস আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান থেকে যারা নিয়মিত মাংস কিনত তাদের মধ্যে রয়েছে ২৬৮টি হোটেল ও রেস্টুরেন্ট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল, মুহসীন হল, এফ রহমান হল ক্যান্টিনও নিয়মিত এই মাংস আনা হয় বলে উল্লেখ করা হয় ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ঢাবির মুহসীন হল : খাবারের মধ্যে পোকা, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

Update Time : ১১:৩৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২১

ঢাবি প্রতিনিধিঃ

মেয়াদোত্তীর্ণ হিমায়িত মাছ-মাংস বিক্রির অভিযোগের পর এবার মুহসীন হলের খাবারের মধ্যে পাওয়া গেল বিশালাকার পোকা। গতকাল রাতের খাবারে বেগুন ভর্তার মধ্যে এই পোকা পেয়েছেন হলের একজন আবাসিক শিক্ষার্থী।

পরে ক্যান্টিনের ম্যানেজারকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলেও কোনো সদুত্তর দিতে পারেন নি তিনি । এই ঘটনা জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ হন হলের শিক্ষার্থীরা।

জানতে চাইলে একজন শিক্ষার্থী বলেন,ক্যান্টিন নিয়ে অভিযোগের শেষ নাই। গরুর মাংস থেকে শুরু করে ডাল পর্যন্ত। পানি আর ডালের মধ্যে পার্থক্য খুঁজতে আপনার খুবই কষ্ট হবে। কিন্তু এই অবস্থার স্থায়িত্ব আমরা আর চাচ্ছি না।

তারা অভিযোগ করেন, করোনার পরে, হল খুললে ক্যান্টিনের খাবারের দাম অনেক বাড়ানো হলেও বাড়েনি খাবারের মান।

অনুরূপ অভিযোগ করেছেন মাস্টার দা সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থীরাও ৷ তারা বলেন, হল ক্যান্টিনে বসে খাবার খাওয়ার মতো পরিবেশ নেই। অপরিষ্কার ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার পরিবেশন করা হয়। একারণে বাধ্য হয়ে অন্য হলে গিয়ে খেতে হয় তাদের।

অনেকে হল প্রশাসনের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন। বলছেন, প্রশাসনের কোনো রকম তদারকি নেই বললেই চলে। পাশাপাশি হল সংসদের নেতৃবৃন্দের সুনজর প্রত্যাশা করেছেন শিক্ষার্থীরা৷

এ ধরনের নিন্মমানের খাবার পরিবেশনের যথোপযুক্ত বিচার দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা । তারা বলছেন, যেহেতু অন্যায়টি আমাদের সকলেরই সাথে করা হয়েছে, কারো উচিত নয় তাদেরকে পার পাইয়ে দেয়া। বিচার হতে হবে অবশ্যই খোলামেলা ও সবার সামনে প্রকাশ্যে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী মেয়াদোত্তীর্ণ হিমায়িত মাংস আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান থেকে যারা নিয়মিত মাংস কিনত তাদের মধ্যে রয়েছে ২৬৮টি হোটেল ও রেস্টুরেন্ট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল, মুহসীন হল, এফ রহমান হল ক্যান্টিনও নিয়মিত এই মাংস আনা হয় বলে উল্লেখ করা হয় ।