পবায় ৩৩৩ নম্বরে কল পেয়ে আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দিলেন ইউএনও

  • Update Time : ০৮:৫৫:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুলাই ২০২১
  • / 226

পবা প্রতিনিধিঃ

পবায় ৩৩৩ নম্বরে কল করে প্রতিদিন আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন করোনাকালে সংকটে পড়া কর্মহীন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নিম্ন আয়ের মানুষ।

জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের মাধমে এসব খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে সুবিধাভোগীদের ঘরে ঘরে।

সোমবার (১২ জুলাই) দুপুর ১ টায় পবার বায়া (বালিয়াডাঙ্গা) ও ভোলাবাড়ী এলাকার ১৫ জন কল প্রদানকারীর বাড়ীতে নগদ অর্থ নিয়ে হাজির হন পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শিমুল আকতার।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শিমুল আকতার বিডি সমাচারকে জানান, প্রতিদিন ৩৩৩ নম্বরে সহায়তা চেয়ে অনেকে কল করেছেন।

রাজশাহী জেলা প্রশাসকের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন বাড়ী বাড়ী গিয়ে তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করছেন। এর ধারাবাহিকতায় উপজেলার ভোলাবাড়ী ও বায়া (বালিয়াডাঙ্গা) এলাকায় করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত কর্মহীন ১৫ জন অসহায় ও দুঃস্থ মানুষকে বাড়ীতে গিয়ে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।

এছাড়াও তিনি আরও জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মধ্যবিত্তসহ সকল শ্রেণীর অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের কথা চিন্তা করে কল সেন্টার নম্বর-৩৩৩ পরিষেবা চালু করেছেন। যারা দ্বিধান্বিত ও বিব্রত, যাঁরা সহায়তা চাইতে পারেন না, এটি মুলত তাঁদের জন্য। এটি একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পের আওতায় ‘৩৩৩ কল সেন্টার’ জাতীয় তথ্য ও সেবা দিতে কাজ করছে, যার সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড।

পবার আর্থিক সহায়তা প্রাপ্ত একজন বিডি সমাচারকে জানান, করোনার লকডাউনের প্রভাবে দীর্ঘ দিন ধরে কর্মহীন হয়ে বাড়ীতে বসে আছি। ঘরে কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত আমার স্ত্রী, অর্থের অভাবে ঔষধ কিনতে পারছিলাম না। তাই বাধ্য হয়ে ৩৩৩ নম্বরে কল করি।

তিনি আরও জানান, এই পরিস্থিতিতে ৩৩৩ নম্বরে কল দেওয়ার এক ঘন্টা পর আর্থিক সহায়তা পেয়েছি। বর্তমান পরিস্থিতিতে এটি আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া। সে জন্য আমি পবা উপজেলার ইউএনও মহোদয়কে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

অপর একজন সুবিধাভোগী বিডি সমাচারকে জানান, আমি শারীরিক প্রতিবন্ধী। লকডাউনের ফলে চায়ের দোকান বন্ধ থাকায় কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছি। ৩৩৩ নম্বরে কল করায় ইউএনও স্যার আমার বাড়ীতে এসে নিজ হাতে টাকা দিয়েছেন, সে জন্য স্যারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই ও তার দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


পবায় ৩৩৩ নম্বরে কল পেয়ে আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দিলেন ইউএনও

Update Time : ০৮:৫৫:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুলাই ২০২১

পবা প্রতিনিধিঃ

পবায় ৩৩৩ নম্বরে কল করে প্রতিদিন আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন করোনাকালে সংকটে পড়া কর্মহীন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নিম্ন আয়ের মানুষ।

জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের মাধমে এসব খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে সুবিধাভোগীদের ঘরে ঘরে।

সোমবার (১২ জুলাই) দুপুর ১ টায় পবার বায়া (বালিয়াডাঙ্গা) ও ভোলাবাড়ী এলাকার ১৫ জন কল প্রদানকারীর বাড়ীতে নগদ অর্থ নিয়ে হাজির হন পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শিমুল আকতার।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শিমুল আকতার বিডি সমাচারকে জানান, প্রতিদিন ৩৩৩ নম্বরে সহায়তা চেয়ে অনেকে কল করেছেন।

রাজশাহী জেলা প্রশাসকের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন বাড়ী বাড়ী গিয়ে তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করছেন। এর ধারাবাহিকতায় উপজেলার ভোলাবাড়ী ও বায়া (বালিয়াডাঙ্গা) এলাকায় করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত কর্মহীন ১৫ জন অসহায় ও দুঃস্থ মানুষকে বাড়ীতে গিয়ে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।

এছাড়াও তিনি আরও জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মধ্যবিত্তসহ সকল শ্রেণীর অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের কথা চিন্তা করে কল সেন্টার নম্বর-৩৩৩ পরিষেবা চালু করেছেন। যারা দ্বিধান্বিত ও বিব্রত, যাঁরা সহায়তা চাইতে পারেন না, এটি মুলত তাঁদের জন্য। এটি একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পের আওতায় ‘৩৩৩ কল সেন্টার’ জাতীয় তথ্য ও সেবা দিতে কাজ করছে, যার সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড।

পবার আর্থিক সহায়তা প্রাপ্ত একজন বিডি সমাচারকে জানান, করোনার লকডাউনের প্রভাবে দীর্ঘ দিন ধরে কর্মহীন হয়ে বাড়ীতে বসে আছি। ঘরে কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত আমার স্ত্রী, অর্থের অভাবে ঔষধ কিনতে পারছিলাম না। তাই বাধ্য হয়ে ৩৩৩ নম্বরে কল করি।

তিনি আরও জানান, এই পরিস্থিতিতে ৩৩৩ নম্বরে কল দেওয়ার এক ঘন্টা পর আর্থিক সহায়তা পেয়েছি। বর্তমান পরিস্থিতিতে এটি আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া। সে জন্য আমি পবা উপজেলার ইউএনও মহোদয়কে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

অপর একজন সুবিধাভোগী বিডি সমাচারকে জানান, আমি শারীরিক প্রতিবন্ধী। লকডাউনের ফলে চায়ের দোকান বন্ধ থাকায় কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছি। ৩৩৩ নম্বরে কল করায় ইউএনও স্যার আমার বাড়ীতে এসে নিজ হাতে টাকা দিয়েছেন, সে জন্য স্যারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই ও তার দীর্ঘায়ু কামনা করছি।