মাছ ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশে আসামি ধরল পুলিশ

  • Update Time : ০৭:৫৫:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / 219
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আলোচিত অঞ্জনা (তৃতীয় লিঙ্গ) হত্যা মামলার আসামিকে মাছ ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশে গ্রেপ্তার করেছে মৌলভীবাজার পুলিশ। টানা ২৯ ঘণ্টার ওই অভিযানে কাজ করেছে মৌলভীবাজার পুলিশের দুটি টিম।

সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মৌলভীবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জিয়াউর রহমান।
.
তিনি জানান, ২০২০ সালের ২৮ নভেম্বর মৌলভীবাজার শহরের চাঁদনীঘাট এলাকায় সন্ধ্যায় তৃতীয় লিঙ্গের ওই অঞ্জনাকে (২৮) মো. মাসুক মিয়া মারধর করে গুরুতর আহত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রাখে।
.
পরবর্তীতে অন্ধকারের মধ্যে তার শরীরের ওপর গাড়ি উঠিয়ে পৃষ্ট করে দেয়ায় ঘটনাস্থলেই মারা যায় অঞ্জনা। ওই হত্যাকান্ডে মো. মাসুক মিয়া জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। এরপর থেকেই আত্মগোপনে চলে যায় মো. মাসুক মিয়া।
.
মৌলভীবাজার পুলিশ খবর পায়, সে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার সাইজদাপুর গ্রামে অবস্থান করছে। এতে পুলিশের দুটি বিশেষ টিম পৃথকভাবে অভিযান পরিচালনা করে। এ অভিযানে বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করেও আসামিকে ধরতে ব্যর্থ হয়। অবশেষে পুলিশের এ টিম মাছ ব্যবসায়ী ও রিকশা চালকের ছদ্মবেশ ধারণ করে।
.
টানা ২৯ ঘণ্টার অভিযান চালিয়ে সোমবার আসামি মো. মাসুক মিয়াকে আটক করা হয়। তার গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারের মাহতাবপুর বলেও জানায় পুলিশ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


মাছ ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশে আসামি ধরল পুলিশ

Update Time : ০৭:৫৫:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আলোচিত অঞ্জনা (তৃতীয় লিঙ্গ) হত্যা মামলার আসামিকে মাছ ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশে গ্রেপ্তার করেছে মৌলভীবাজার পুলিশ। টানা ২৯ ঘণ্টার ওই অভিযানে কাজ করেছে মৌলভীবাজার পুলিশের দুটি টিম।

সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মৌলভীবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জিয়াউর রহমান।
.
তিনি জানান, ২০২০ সালের ২৮ নভেম্বর মৌলভীবাজার শহরের চাঁদনীঘাট এলাকায় সন্ধ্যায় তৃতীয় লিঙ্গের ওই অঞ্জনাকে (২৮) মো. মাসুক মিয়া মারধর করে গুরুতর আহত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রাখে।
.
পরবর্তীতে অন্ধকারের মধ্যে তার শরীরের ওপর গাড়ি উঠিয়ে পৃষ্ট করে দেয়ায় ঘটনাস্থলেই মারা যায় অঞ্জনা। ওই হত্যাকান্ডে মো. মাসুক মিয়া জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। এরপর থেকেই আত্মগোপনে চলে যায় মো. মাসুক মিয়া।
.
মৌলভীবাজার পুলিশ খবর পায়, সে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার সাইজদাপুর গ্রামে অবস্থান করছে। এতে পুলিশের দুটি বিশেষ টিম পৃথকভাবে অভিযান পরিচালনা করে। এ অভিযানে বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করেও আসামিকে ধরতে ব্যর্থ হয়। অবশেষে পুলিশের এ টিম মাছ ব্যবসায়ী ও রিকশা চালকের ছদ্মবেশ ধারণ করে।
.
টানা ২৯ ঘণ্টার অভিযান চালিয়ে সোমবার আসামি মো. মাসুক মিয়াকে আটক করা হয়। তার গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারের মাহতাবপুর বলেও জানায় পুলিশ।