নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীর তানোর পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনি পৌর এলাকায় বহিরাগতদের অবস্থানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ১২টার আগে বহিরাগতদের নির্বাচনি এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করে তানোর পৌরসভার চলতি দায়িত্বে রিটানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, ‘ভোটার ব্যতীত অন্য কোনও এলাকার বাসিন্দা তানোর পৌর এলাকার সীমানার ভেতরে অবস্থান নিতে পারবেন না।

এছাড়াও মাইকিং করে এ ব্যাপারে বিস্তারিত প্রচার করা হয়েছে, কারা তানোর পৌরশহরে অবস্থান করতে পারবেন। কারণ অনেকে নিজেদের প্রার্থীদের প্রচারণার কাজে এসে তানোর পৌরশহরে অবস্থান করছেন।

এ ক্ষেত্রে যারা সংশ্লিষ্ট পৌরসভার ভোটার নন, তাদের সবাইকে এলাকা ছাড়তে হবে। এই রিটানিং কর্মকর্তা ও ইউএনও সুশান্ত আরও বলেন, ‘ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে যাতে যাওয়া-আসা করতে পারেন। সেজন্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী- পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ টিমগুলোকে সার্বক্ষণিক টহলে রাখা হয়েছে।

‘১৪ ফেব্রুয়ারি ভোটের দিন তানোর পৌর এলাকায় কোনো ধরনের সমস্যা হবে না’ মন্তব্য করে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান ইউএনও সুশান্ত। চতুর্থ ধাপে তানোর পৌরসভায় আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এ পৌরসভায় মেয়র পদে লড়ছেন বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী জেলা বিএনপি আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ও বর্তমান পৌর মেয়র মিজানুর রহমান মিজান,আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার মেয়র প্রার্থী তানোর পৌর আ’লীগের সভাপতি ইমরুল হক ও নারিকেল গাছ প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আব্দুল মালেক।

তবে ভোটাররা বলছেন, নির্বাচনে মূলত ধানের শীষ ও নৌকা প্রার্থীর মধ্যে চুড়ান্ত লড়াই হবে। আর এ পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৯জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৪জন প্রার্থী ভোটের মাঠে লড়ছেন। ১৯৯৫ সালের পহেলা ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হওয়া তানোর পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ২৪ হাজার ৬৬৭ জন।

এরমধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ৩৮ জন এবং নারী ১২ হাজার ৬২৯ জন। ১৩টি ভোট কেন্দ্রে ৬৮টি বুথ-এ ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।