শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান পদক পাওয়ার আট দিনের মাথায় ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

  • Update Time : ১২:০৮:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / 128
এস ইসলাম, নাটোর:
নাটোরের গুরুদাসপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর বরাদ্দে ঘুষ নেওয়ার  অভিযোগে নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শওকত রানা লাবু (৪৬) ও তার পিএস নুরুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
.
সোমববার (৮ ফেব্রুয়ারি)  চীফজুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. গোলাম ফারুকের আদালত  জামিন শুনানী শেষে জেল কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন তাঁকে।
.
এ দিকে এক সপ্তাহ আগে দারিদ্র্য বিমোচন ও সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ঢাকা সাংস্কৃতিক সংগঠন থেকে জেলার ‘শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান পদক’ পান ইউপি চেয়ারম্যান লাবু।
.
আশ্রয়ণ প্রকল্পে হতদরিদ্রদের ঘর দেওয়ার নামে ঘুষ নেওয়ার  এক মামলায়  উচ্চ আদালতের  আদেশে আট সপ্তাহ  জামিনে ছিলেন তিনি।
.
বাদিপক্ষের আইনজীবি মো. নওয়াব আলী জানান,- ২০১৭ সালে সরকারি আশ্রায়ণ প্রল্পের আওতাধীন হতদরিদ্রদের ঘর বরাদ্দ দেয়ার কথা বলে তাঁর ব্যক্তিগত সহকারি (পিএস) মো. নুরুল ইসলামের মাধ্যমে মামলার বাদী মো. জালাল উদ্দিনের কাছ থেকে  ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবু। কিন্তু তাঁকে ঘর বা ঘুষের ৫০ হাজার টাকার কোনটাই দেওয়া হয়নি।
.
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. জালাল উদ্দিন গত বছরের ১২ নভেম্বর গুরুদাসপুর থানায় চেয়ারম্যান শওকত রানা  লাবু ও ব্যাক্তিগত সহকারী নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-৩২২/২০ জিআর গুরু)। এ মামলায় পিএস নরুল ইসলাম গ্রেপ্তার হয়ে জেল খাটলেও চেয়ারম্যান উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন।
.
সোমবার নাটোর চীফজুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবুর জামিন শুনানীর দিন  ধার্য ছিল। বিজ্ঞ আদালত শুনানী শেষে তাঁর জামিন আবেদন  বাতিল করে  কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
.
মামলার বাদী জালাল উদ্দিন  মোবাইল ফোনে বলেন, তিনি হতদরিদ্র অভাবী মানুষ। একটি মাথা গোঁজার আশ্রয়ের ঘর পাবার আশায় একটি বে-সরকারি এনজিও থেকে ঋণ করে পিএস নুরুল ইসলামকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। টাকা দেওয়ার ৪ বছর কেটে গেলেও ঘর পাননি তিনি। খেয়ে না খেয়ে ঋণের টাকা শোধ করেছি। ন্যায় বিচার পেতে আদালতের আশ্রয় নিয়েছি।
.
চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবুর ব্যক্তিগত সহকারি (পিএস) মো. নুরুল ইসলাম দাবি করেন তাঁদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে একজন প্রতিপক্ষ তাঁর এক সমর্থককে দিয়ে হয়রানীমুলক মামলাটি করিয়েছিলেন। আদালতের মাধ্যমেই ন্যায় বিচারের অপেক্ষা তাঁদের বলে জানান তিনি।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান পদক পাওয়ার আট দিনের মাথায় ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

Update Time : ১২:০৮:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১
এস ইসলাম, নাটোর:
নাটোরের গুরুদাসপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর বরাদ্দে ঘুষ নেওয়ার  অভিযোগে নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শওকত রানা লাবু (৪৬) ও তার পিএস নুরুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
.
সোমববার (৮ ফেব্রুয়ারি)  চীফজুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. গোলাম ফারুকের আদালত  জামিন শুনানী শেষে জেল কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন তাঁকে।
.
এ দিকে এক সপ্তাহ আগে দারিদ্র্য বিমোচন ও সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ঢাকা সাংস্কৃতিক সংগঠন থেকে জেলার ‘শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান পদক’ পান ইউপি চেয়ারম্যান লাবু।
.
আশ্রয়ণ প্রকল্পে হতদরিদ্রদের ঘর দেওয়ার নামে ঘুষ নেওয়ার  এক মামলায়  উচ্চ আদালতের  আদেশে আট সপ্তাহ  জামিনে ছিলেন তিনি।
.
বাদিপক্ষের আইনজীবি মো. নওয়াব আলী জানান,- ২০১৭ সালে সরকারি আশ্রায়ণ প্রল্পের আওতাধীন হতদরিদ্রদের ঘর বরাদ্দ দেয়ার কথা বলে তাঁর ব্যক্তিগত সহকারি (পিএস) মো. নুরুল ইসলামের মাধ্যমে মামলার বাদী মো. জালাল উদ্দিনের কাছ থেকে  ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবু। কিন্তু তাঁকে ঘর বা ঘুষের ৫০ হাজার টাকার কোনটাই দেওয়া হয়নি।
.
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. জালাল উদ্দিন গত বছরের ১২ নভেম্বর গুরুদাসপুর থানায় চেয়ারম্যান শওকত রানা  লাবু ও ব্যাক্তিগত সহকারী নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-৩২২/২০ জিআর গুরু)। এ মামলায় পিএস নরুল ইসলাম গ্রেপ্তার হয়ে জেল খাটলেও চেয়ারম্যান উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন।
.
সোমবার নাটোর চীফজুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবুর জামিন শুনানীর দিন  ধার্য ছিল। বিজ্ঞ আদালত শুনানী শেষে তাঁর জামিন আবেদন  বাতিল করে  কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
.
মামলার বাদী জালাল উদ্দিন  মোবাইল ফোনে বলেন, তিনি হতদরিদ্র অভাবী মানুষ। একটি মাথা গোঁজার আশ্রয়ের ঘর পাবার আশায় একটি বে-সরকারি এনজিও থেকে ঋণ করে পিএস নুরুল ইসলামকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। টাকা দেওয়ার ৪ বছর কেটে গেলেও ঘর পাননি তিনি। খেয়ে না খেয়ে ঋণের টাকা শোধ করেছি। ন্যায় বিচার পেতে আদালতের আশ্রয় নিয়েছি।
.
চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবুর ব্যক্তিগত সহকারি (পিএস) মো. নুরুল ইসলাম দাবি করেন তাঁদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে একজন প্রতিপক্ষ তাঁর এক সমর্থককে দিয়ে হয়রানীমুলক মামলাটি করিয়েছিলেন। আদালতের মাধ্যমেই ন্যায় বিচারের অপেক্ষা তাঁদের বলে জানান তিনি।