কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরীর কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে মোস্তফা আহমদ চৌধুরী!

  • Update Time : ০৩:৫৪:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / 157
অন্তর দে বিশাল,কক্সবাজার :
অবশেষে দীর্ঘ ১২ বছর পর নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে আবারো আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে কক্সবাজার ইনস্টিটিউট কাম পাবলিক লাইব্রেরী। কক্সবাজার জেলা পরিষদের পরিকল্পনার ধারাবাহিক অংশ হিসেবে, তুলির আঁচড় ও নানা সাজ-সজ্জায় আধুনিকায়ন করা হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী শহীদ সুভাষ হল। আর সেই নব আঙ্গিকে শুরু হওয়া পাবলিক লাইব্রেরীর কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে কক্সবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা আহমদ চৌধুরী।
.
৪ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার,বিকাল ৩টার দিকে কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে গেলে তিনি জানান, আগামী ১০ দিনের মধ্যেই শেষ হচ্ছে কাজ । এটা জেলা পরিষদের ধারাবাহিক কাজের অংশ হিসেবে দীর্ঘদিন পর আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। সেই সাথে এখানে রয়েছে বিভিন্ন অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা। পাবলিক লাইব্রেরী আবারো পুরুদমে চালু হলে কক্সবাজারের সাহিত্য সাংস্কৃতিক অঙ্গন পূর্নজীবিত হবে বলে আশাবাদী তিনি।
.
এই সময় সাংস্কৃতিক কর্মী রেজাউল করিম জানান, কক্সবাজার ইনস্টিটিউট ও পাবলিক লাইব্রেরি বহু জ্ঞানী-গুণী ও বরণ্য ব্যক্তিদের স্মৃতি বিজড়িত। এটি জেলার রাজনীতি ও সংস্কৃতি চর্চার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র। এটা পূর্নজীবিত করার মাধ্যমে আবারো কক্সবাজারের মানুষ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতি আকৃষ্ট হবে।
.
তথ্য সূত্র জানা যায়, ১৯০৫ সালে বিপিন বিহারী রক্ষিত এই পাবলিক লাইব্রেরীর জমি দান করেন। সেই থেকে এই পাবলিক লাইব্রেরী কাম ইনস্টিটিউট হয়ে উঠে কক্সবাজারের রাজনীতি,সাহিত্য,সাংস্কৃতির মুল স্থান। এই পাবলিক লাইব্রেরীর মাঠকে ঘিরেই কক্সবাজারের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ঐতিহ্য আন্দোলন সংগ্রামের শুরু এছাড়া স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলনের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু ছিল এই পাবলিক লাইব্রেরী। সর্বোপরি কক্সবাজারের রাজনীতিক, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, লেখক, নাট্য বক্তিত্ব ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের পরিচিতি এবং বেড়ে উঠা এই মাঠ থেকে।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরীর কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে মোস্তফা আহমদ চৌধুরী!

Update Time : ০৩:৫৪:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১
অন্তর দে বিশাল,কক্সবাজার :
অবশেষে দীর্ঘ ১২ বছর পর নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে আবারো আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে কক্সবাজার ইনস্টিটিউট কাম পাবলিক লাইব্রেরী। কক্সবাজার জেলা পরিষদের পরিকল্পনার ধারাবাহিক অংশ হিসেবে, তুলির আঁচড় ও নানা সাজ-সজ্জায় আধুনিকায়ন করা হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী শহীদ সুভাষ হল। আর সেই নব আঙ্গিকে শুরু হওয়া পাবলিক লাইব্রেরীর কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে কক্সবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা আহমদ চৌধুরী।
.
৪ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার,বিকাল ৩টার দিকে কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে গেলে তিনি জানান, আগামী ১০ দিনের মধ্যেই শেষ হচ্ছে কাজ । এটা জেলা পরিষদের ধারাবাহিক কাজের অংশ হিসেবে দীর্ঘদিন পর আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। সেই সাথে এখানে রয়েছে বিভিন্ন অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা। পাবলিক লাইব্রেরী আবারো পুরুদমে চালু হলে কক্সবাজারের সাহিত্য সাংস্কৃতিক অঙ্গন পূর্নজীবিত হবে বলে আশাবাদী তিনি।
.
এই সময় সাংস্কৃতিক কর্মী রেজাউল করিম জানান, কক্সবাজার ইনস্টিটিউট ও পাবলিক লাইব্রেরি বহু জ্ঞানী-গুণী ও বরণ্য ব্যক্তিদের স্মৃতি বিজড়িত। এটি জেলার রাজনীতি ও সংস্কৃতি চর্চার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র। এটা পূর্নজীবিত করার মাধ্যমে আবারো কক্সবাজারের মানুষ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতি আকৃষ্ট হবে।
.
তথ্য সূত্র জানা যায়, ১৯০৫ সালে বিপিন বিহারী রক্ষিত এই পাবলিক লাইব্রেরীর জমি দান করেন। সেই থেকে এই পাবলিক লাইব্রেরী কাম ইনস্টিটিউট হয়ে উঠে কক্সবাজারের রাজনীতি,সাহিত্য,সাংস্কৃতির মুল স্থান। এই পাবলিক লাইব্রেরীর মাঠকে ঘিরেই কক্সবাজারের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ঐতিহ্য আন্দোলন সংগ্রামের শুরু এছাড়া স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলনের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু ছিল এই পাবলিক লাইব্রেরী। সর্বোপরি কক্সবাজারের রাজনীতিক, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, লেখক, নাট্য বক্তিত্ব ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের পরিচিতি এবং বেড়ে উঠা এই মাঠ থেকে।