শরীয়তপুরে লিজা হত্যা মামলায় দুই আসামীর মৃত্যুদন্ড

  • Update Time : ১১:১১:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / 245
শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
শরীয়তপুর ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার সরদারকান্দি গ্রামের কিশোরী লিজা আক্তারকে (১৩) দলবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
.
বুধবার দুপুরে শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুস ছালাম খান এ আদেশ দেন। মরদেহ গুম করার অপরাধে দুজনকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে ছয় মাসের সাজা দিয়েছে আদালত।
.
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই শনিবার বিকেলে স্কুল ছুটির পর সাইকেল নিয়ে বাড়ির সামনের রাস্তায় বের হয় লিজা। সন্ধ্যা হয়ে গেলে বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি করে তার পরিবার। পরে সখিপুর থানায় একটি অভিযোগ করা হয়। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সখিপুর ইউনিয়নের ছৈয়ালকান্দি গ্রামের একটি পাটখেতের পানিতে লিজার মরদেহটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা।সখিপুর থানায় খবর দিলে লিজার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে লিজার বাবা লেহাজ উদ্দিন সরদার বাদী হয়ে মামলা করেন।
.
জানা যায়, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। কিন্তু ময়নাতদন্তের জন্য লিজার মরদেহ মর্গে নিয়ে গেলে লিজার জরায়ু, লিভার, ফুসফুস, কিডনি ও হৃদ্যন্ত্রসহ শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ পাননি ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক।
.
পরে ডিএনএ টেস্ট করার জন্য শরীরের কিছু অংশ ঢাকা মেডিকেল ও মহাখালীতে পাঠায়। তদন্ত শেষে সখিপুর থানার পুলিশ দুইজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। দুজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়।রায় ঘোষণার পর তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
.
অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী শাহ আলম জানান, তারা রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


শরীয়তপুরে লিজা হত্যা মামলায় দুই আসামীর মৃত্যুদন্ড

Update Time : ১১:১১:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১
শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
শরীয়তপুর ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার সরদারকান্দি গ্রামের কিশোরী লিজা আক্তারকে (১৩) দলবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
.
বুধবার দুপুরে শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুস ছালাম খান এ আদেশ দেন। মরদেহ গুম করার অপরাধে দুজনকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে ছয় মাসের সাজা দিয়েছে আদালত।
.
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই শনিবার বিকেলে স্কুল ছুটির পর সাইকেল নিয়ে বাড়ির সামনের রাস্তায় বের হয় লিজা। সন্ধ্যা হয়ে গেলে বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি করে তার পরিবার। পরে সখিপুর থানায় একটি অভিযোগ করা হয়। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সখিপুর ইউনিয়নের ছৈয়ালকান্দি গ্রামের একটি পাটখেতের পানিতে লিজার মরদেহটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা।সখিপুর থানায় খবর দিলে লিজার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে লিজার বাবা লেহাজ উদ্দিন সরদার বাদী হয়ে মামলা করেন।
.
জানা যায়, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। কিন্তু ময়নাতদন্তের জন্য লিজার মরদেহ মর্গে নিয়ে গেলে লিজার জরায়ু, লিভার, ফুসফুস, কিডনি ও হৃদ্যন্ত্রসহ শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ পাননি ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক।
.
পরে ডিএনএ টেস্ট করার জন্য শরীরের কিছু অংশ ঢাকা মেডিকেল ও মহাখালীতে পাঠায়। তদন্ত শেষে সখিপুর থানার পুলিশ দুইজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। দুজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়।রায় ঘোষণার পর তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
.
অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী শাহ আলম জানান, তারা রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।