২০০০ বছরের পুরোনো কবরে মিলল স্বর্ণের জিভ বসানো মমি

  • Update Time : ০৯:৪৬:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / 130

মিশরের বিখ্যাত তাপোসাইরিস ম্যাগনা মন্দির এলাকার পাশে খননকাজ চালানোর সময় ১৬টি পাথরের কবর খুঁজে পাওয়া গেছে। দুই হাজার বছর পুরোনো এই কবরগুলোর মধ্যে স্বর্ণের জিভ বসানো একটি মমির পাওয়া যায়।

ইউনিভার্সিটি অব সান্তো দমিনগোর অধ্যাপক ক্যাথলিন মার্টিনেজের তত্ত্বাবধানে গবেষকরা এই খননকাজ পরিচালনা করছিলেন। খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের।

গবেষকদের বরাতে গণমাধ্যম জানিয়েছে, এই স্বর্ণের জিভযুক্ত মমিটির কঙ্কাল ও করোটির বেশিরভাগই অটুট রয়েছে। পাশাপাশি আবিষ্কৃত অন্য মমিগুলো এতটা ভালো না থাকলেও এদের সবগুলো পাথরের মুখাবরণ ঠিক রয়েছে। ফলে তাদের জীবদ্দশায় কে কেমন দেখতে ছিলেন তা তাদের মমিগুলো দেখে স্পষ্ট বোঝা যায়।

স্বর্ণের জিভ ছাড়াও একটি মমির মাথায় সাপ-খোদাই করা স্বর্ণের মুকুট মিলেছে। এছাড়া মমির গলায় স্বর্ণের হার পাওয়া গেছে যেখানে বাজপাখি খোদাই করা রয়েছে।

স্বর্ণের জিভযুক্ত মমি নিয়ে গবেষকদের অনুমান, মৃত মানুষটি যেন কবরে গিয়ে মৃত্যুলোকের দেবতা আসিরিসের সঙ্গে কথা বলতে পারে, সে জন্যই তাকে স্বর্ণের জিভ দেয়া হয়েছিল। যখন এই মরদেহটিকে মমি দিয়ে আবৃত করা হয়েছিল, তখন এই জিভ বসিয়ে দেয়া হয়।

প্রসঙ্গত, মিশরের এই এলাকা অনেক বছর ধরেই প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত। ক্লিওপেট্রার প্রতিকৃতি শোভিত স্বর্ণমুদ্রাও এখানে পাওয়া গিয়েছিল।

 

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


২০০০ বছরের পুরোনো কবরে মিলল স্বর্ণের জিভ বসানো মমি

Update Time : ০৯:৪৬:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২১

মিশরের বিখ্যাত তাপোসাইরিস ম্যাগনা মন্দির এলাকার পাশে খননকাজ চালানোর সময় ১৬টি পাথরের কবর খুঁজে পাওয়া গেছে। দুই হাজার বছর পুরোনো এই কবরগুলোর মধ্যে স্বর্ণের জিভ বসানো একটি মমির পাওয়া যায়।

ইউনিভার্সিটি অব সান্তো দমিনগোর অধ্যাপক ক্যাথলিন মার্টিনেজের তত্ত্বাবধানে গবেষকরা এই খননকাজ পরিচালনা করছিলেন। খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের।

গবেষকদের বরাতে গণমাধ্যম জানিয়েছে, এই স্বর্ণের জিভযুক্ত মমিটির কঙ্কাল ও করোটির বেশিরভাগই অটুট রয়েছে। পাশাপাশি আবিষ্কৃত অন্য মমিগুলো এতটা ভালো না থাকলেও এদের সবগুলো পাথরের মুখাবরণ ঠিক রয়েছে। ফলে তাদের জীবদ্দশায় কে কেমন দেখতে ছিলেন তা তাদের মমিগুলো দেখে স্পষ্ট বোঝা যায়।

স্বর্ণের জিভ ছাড়াও একটি মমির মাথায় সাপ-খোদাই করা স্বর্ণের মুকুট মিলেছে। এছাড়া মমির গলায় স্বর্ণের হার পাওয়া গেছে যেখানে বাজপাখি খোদাই করা রয়েছে।

স্বর্ণের জিভযুক্ত মমি নিয়ে গবেষকদের অনুমান, মৃত মানুষটি যেন কবরে গিয়ে মৃত্যুলোকের দেবতা আসিরিসের সঙ্গে কথা বলতে পারে, সে জন্যই তাকে স্বর্ণের জিভ দেয়া হয়েছিল। যখন এই মরদেহটিকে মমি দিয়ে আবৃত করা হয়েছিল, তখন এই জিভ বসিয়ে দেয়া হয়।

প্রসঙ্গত, মিশরের এই এলাকা অনেক বছর ধরেই প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত। ক্লিওপেট্রার প্রতিকৃতি শোভিত স্বর্ণমুদ্রাও এখানে পাওয়া গিয়েছিল।