দেশ-বিদেশে নানা অপপ্রচার চলছে : প্রধানমন্ত্রী

  • Update Time : ০২:৫০:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / 133

সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশে-বিদেশে নানা অপপ্রচার হচ্ছে, শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।’

মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের সমাপ্তি ও রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মুজিবের বাংলায় কেউ গৃহহীন থাকবে না। ইতোমধ্যে ৭০ হাজার গৃহহীনকে ঘর দেয়া হয়েছে। আরও এক লাখ ঘর নির্মাণের কাজ চলছে। মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এই ঘরগুলো হস্তান্তর করা হবে।’

রেওয়াজ অনুযায়ী অধিবেশনে সংসদ নেতার সমাপনী বক্তব্যের আগে বক্তব্য দেন বিরোধীদলীয় নেতা। এবারের অধিবেশনে একদিনও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদেরকে দেখা যায়নি। জিএম কাদের করোনা আক্রান্ত হলেও এখন তিনি করোনামুক্ত।

সমাপনী ভাষণে শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেতার অনুপস্থিতির কথা তুলে ধরে বলেন, ‘এই অধিবেশন করোনার সময়ে চলছে। যার জন্য হয়তো সব সংসদ সদস্যকে একই সঙ্গে আনা সম্ভব হচ্ছে না। আমাদের বিরোধীদলীয় নেতার এখানে আসার কথা ছিল। কিন্তু তার বাসায় একজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে তিনি জনগণের কথা চিন্তা করে এখানে আসেননি। আমরা তার বক্তৃতা শুনতে পারলাম না এজন্য আমি দুঃখিত, কিন্তু তার ভেতর যে জনগণের প্রতি কল্যাণমূলক চিন্তা তার জন্য তাকে ধন্যবাদ। তিনি আসলে ভালো হতো আমরা তার বক্তব্যও শুনতে পেতাম।’

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘পদ্মা সেতু নিয়ে এত কথা অথচ এরকম একটা কাজ নিজস্ব অর্থায়নে করলাম। সেটার প্রশংসা তো দিতেই পারলো না। উল্টো বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছিল, জোড়া তালি দিয়ে পদ্মা সেতু তৈরি করা হয়েছে। জোড়া তালি দিয়ে পদ্মা সেতু করা হচ্ছে কেউ উঠবেন না। তাহলে নদীটা পার হবে কিসে? যদি নৌপথে যেতে হয় তাহলে নৌকায় যেতে হবে। উপায় তো নাই। নৌকায় চড়তে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নৌকা অনেক বড়, কোনো অসুবিধে নাই। আমাদের নৌকা অনেক বড় সবাইকে নেব, তবে দেখে নেব কেউ আবার নৌকায় বসে নৌকা ফুটো না করে।’

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


দেশ-বিদেশে নানা অপপ্রচার চলছে : প্রধানমন্ত্রী

Update Time : ০২:৫০:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২১

সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশে-বিদেশে নানা অপপ্রচার হচ্ছে, শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।’

মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের সমাপ্তি ও রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মুজিবের বাংলায় কেউ গৃহহীন থাকবে না। ইতোমধ্যে ৭০ হাজার গৃহহীনকে ঘর দেয়া হয়েছে। আরও এক লাখ ঘর নির্মাণের কাজ চলছে। মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এই ঘরগুলো হস্তান্তর করা হবে।’

রেওয়াজ অনুযায়ী অধিবেশনে সংসদ নেতার সমাপনী বক্তব্যের আগে বক্তব্য দেন বিরোধীদলীয় নেতা। এবারের অধিবেশনে একদিনও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদেরকে দেখা যায়নি। জিএম কাদের করোনা আক্রান্ত হলেও এখন তিনি করোনামুক্ত।

সমাপনী ভাষণে শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেতার অনুপস্থিতির কথা তুলে ধরে বলেন, ‘এই অধিবেশন করোনার সময়ে চলছে। যার জন্য হয়তো সব সংসদ সদস্যকে একই সঙ্গে আনা সম্ভব হচ্ছে না। আমাদের বিরোধীদলীয় নেতার এখানে আসার কথা ছিল। কিন্তু তার বাসায় একজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে তিনি জনগণের কথা চিন্তা করে এখানে আসেননি। আমরা তার বক্তৃতা শুনতে পারলাম না এজন্য আমি দুঃখিত, কিন্তু তার ভেতর যে জনগণের প্রতি কল্যাণমূলক চিন্তা তার জন্য তাকে ধন্যবাদ। তিনি আসলে ভালো হতো আমরা তার বক্তব্যও শুনতে পেতাম।’

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘পদ্মা সেতু নিয়ে এত কথা অথচ এরকম একটা কাজ নিজস্ব অর্থায়নে করলাম। সেটার প্রশংসা তো দিতেই পারলো না। উল্টো বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছিল, জোড়া তালি দিয়ে পদ্মা সেতু তৈরি করা হয়েছে। জোড়া তালি দিয়ে পদ্মা সেতু করা হচ্ছে কেউ উঠবেন না। তাহলে নদীটা পার হবে কিসে? যদি নৌপথে যেতে হয় তাহলে নৌকায় যেতে হবে। উপায় তো নাই। নৌকায় চড়তে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নৌকা অনেক বড়, কোনো অসুবিধে নাই। আমাদের নৌকা অনেক বড় সবাইকে নেব, তবে দেখে নেব কেউ আবার নৌকায় বসে নৌকা ফুটো না করে।’