নবাবগঞ্জে আলুর বাম্পার ফলন, দাম নিয়ে শঙ্কা

  • Update Time : ০৯:৫২:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২১
  • / 140
সোবহান আলম,নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর)প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে।অতীতের চেয়ে এবার আলুর উৎপাদন অনেক বেশি হলেও ন্যায্য মূল্য পাওয়া নিয়ে  শঙ্কায় রয়েছে চাষিরা।
.
 উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি রবি মৌসুমে উপজেলায়  এক হাজার ৩৯০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়। এবার উৎপাদনে ফলন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় এক হাজার ৪৪৯ মেট্রিক টন।
.
আলু চাষিরা জানান, জমি থেকে আলু তুলতে শ্রমিকদের খরচ বহন করতে হিমশিম খেতে হয়। এছাড়া উপজেলার বাইরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় স্থানীয় মধ্যস্বত্ব ভোগীদের কাছে আলু বিক্রয় করতে হয়। ফলে কৃষকের চেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছেন মধ্যস্বত্ব ভোগী আলু ব্যবসায়ীরা।
  .
উপজেলার মাহামুদপুরের পদুমহার গ্রামের আলু চাষি ফরিদুল ইসলাম জানান, আমি সাত বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি আলুর গাছ ভালো হয়েছে। আশা করছি ফলন ভালো তবে বাজারের যে অবস্থা আলুর দর নিয়ে চিন্তায় আছি। উপজেলার নলেয়া গ্রামের আলু চাষি মোখলেছার রহমান জানান আমি প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি ভাল ফলনের আশা করছি, বর্তমান বাজার মূল্য মোতাবেক দর থাকলে খরচ ওঠে কিছু লাভ হতে পারে, না হলে লোকশান হবে।
.
১৯ বিঘাতে আলু চাষ করেছি ভালো ফলন হয়েছে। গত সপ্তাহে ৬২ কেজি বস্তা বিক্রি করেছি ১০৩০ টাকা। বর্তমানে সেই আলু ৮৮ কেজি বস্তা ৮৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে । এক সপ্তাহ ব্যবধানে কেজি প্রতি দাম কমেছে ৭ টাকা , এ ভাবে দর কমতে থাকলে, ভালো ফলন হয়েও খরচের টাকা ওঠবে না, বলে জানিয়েছেন উপজেলার নলেয়ার পশ্চিম পাড়া গ্রামের আলু চাষি সোহেল আলম।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


নবাবগঞ্জে আলুর বাম্পার ফলন, দাম নিয়ে শঙ্কা

Update Time : ০৯:৫২:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২১
সোবহান আলম,নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর)প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে।অতীতের চেয়ে এবার আলুর উৎপাদন অনেক বেশি হলেও ন্যায্য মূল্য পাওয়া নিয়ে  শঙ্কায় রয়েছে চাষিরা।
.
 উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি রবি মৌসুমে উপজেলায়  এক হাজার ৩৯০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়। এবার উৎপাদনে ফলন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় এক হাজার ৪৪৯ মেট্রিক টন।
.
আলু চাষিরা জানান, জমি থেকে আলু তুলতে শ্রমিকদের খরচ বহন করতে হিমশিম খেতে হয়। এছাড়া উপজেলার বাইরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় স্থানীয় মধ্যস্বত্ব ভোগীদের কাছে আলু বিক্রয় করতে হয়। ফলে কৃষকের চেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছেন মধ্যস্বত্ব ভোগী আলু ব্যবসায়ীরা।
  .
উপজেলার মাহামুদপুরের পদুমহার গ্রামের আলু চাষি ফরিদুল ইসলাম জানান, আমি সাত বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি আলুর গাছ ভালো হয়েছে। আশা করছি ফলন ভালো তবে বাজারের যে অবস্থা আলুর দর নিয়ে চিন্তায় আছি। উপজেলার নলেয়া গ্রামের আলু চাষি মোখলেছার রহমান জানান আমি প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি ভাল ফলনের আশা করছি, বর্তমান বাজার মূল্য মোতাবেক দর থাকলে খরচ ওঠে কিছু লাভ হতে পারে, না হলে লোকশান হবে।
.
১৯ বিঘাতে আলু চাষ করেছি ভালো ফলন হয়েছে। গত সপ্তাহে ৬২ কেজি বস্তা বিক্রি করেছি ১০৩০ টাকা। বর্তমানে সেই আলু ৮৮ কেজি বস্তা ৮৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে । এক সপ্তাহ ব্যবধানে কেজি প্রতি দাম কমেছে ৭ টাকা , এ ভাবে দর কমতে থাকলে, ভালো ফলন হয়েও খরচের টাকা ওঠবে না, বলে জানিয়েছেন উপজেলার নলেয়ার পশ্চিম পাড়া গ্রামের আলু চাষি সোহেল আলম।