দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের এক তৃতীয়াংশ সরবরাহ হয় পেঁয়াজভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত পাবনা থেকে। গত বছর ভালো দাম পাওয়ায় এবার উৎপাদন হয়েছে বেশি। ভালো দামও পাচ্ছিলেন কৃষকরা। এরইমধ্যে বাজারে এসেছে দেশীয় আগাম জাতের মুড়িকাটা পেঁয়াজ। কিন্তু আমদানি হওয়া ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে আসছে এমন খবরে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৪০ থেকে ৪২ টাকার পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ২৮ থেকে ৩০ টাকায়।
.
ভরা মৌসুমে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করায় লোকসানের শঙ্কায় আছেন কৃষকরা। তবে ভালো চাহিদা থাকায় লোকশানের ভয় নেই- বলছে কৃষি বিভাগ।
.
পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল কাদের বলেন, “আমাদের এখানে যেভাবে পেঁয়াজ চাষ হয় সেভাবে আমরা এখানকার চাহিদা পূরণের পর বিভিন্ন জেলায় পাঠাতে পারি।”
.
বেশি দামে বীজ কিনতে হলেও ফলন ভালো হওয়ায় স্বস্তিতে ছিল পেঁয়াজ উৎপাদনে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ফরিদপুরে কৃষকরা। তবে, পেঁয়াজ আমদানির খবরে চিন্তার ভাজ কৃষকের কপালে। এ অবস্থায় আমদানি বন্ধের পক্ষে কৃষি কর্মর্কতাও।
.
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ হযরত আলী বলেন, “আমরা সরকারের কাছে বলবো যাতে কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় পেঁয়াজের আমদানির বিষয়টি বিবেচনা করা হয়। এতে কৃষকেরাও লাভবান হবেন, বাণিজ্যও ঠিকমত চলবে।”
.
এদিকে, গেল মৌসুমে দাম ভালো পাওয়ায় এবার মেহেরপুরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এক হাজার একর বেশি জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। যা বিগত বছরগুলোর তুলনায় দ্বিগুন। গত সপ্তাহে এখানে যে পেয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকার উপরে, ভারতীয় পেঁয়াজ আসার খবরে তা নেমে এসেছে ২২ থেকে ২৫ টাকায়।
পেঁয়াজ আমদানি: চিন্তিত কৃষকরা
- Update Time : ১২:৪৫:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী ২০২১
- / 151
নিজস্ব প্রতিবেদক:
গত বছর দাম ভালো পাওয়ায় এবার পেঁয়াজের চাষ বাড়িয়েছিলেন কৃষকরা, কিন্তু এখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে চিন্তিত তারা।
.
Tag :