গার্মেন্টস খাতে ব্রিটেন থেকেই বাতিল শত কোটি অর্ডার

  • Update Time : ০২:১১:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ জানুয়ারী ২০২১
  • / 175

 

করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর কারণে ব্রিটেন থেকে বাংলাদেশের গার্মেন্টসগুলোতে ৭৩০ মিলিয়ন পাউন্ডের (প্রায় ১ বিলিয়নের) অর্ডার বাতিল হয়েছে। বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় শত কোটি টাকার সমান।

মহামারীতে প্রথম লকডাউনের মধ্যে শুধু ব্রিটেন থেকেই এই অর্ডার বাতিল হয়েছে। গত জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্ডার বাতিলের ধারা অব্যাহত রয়েছে। ব্রিটেনের টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ব্রিটেনের রিটেইল গেজেটের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ব্রিটেনের প্রাইমার্ক, মাদার কেয়ার, ডেভেনহামসহ বড় পোশাক বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোও অর্ডার বাতিল করেছে।

মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সার, টেসকো, এইচঅ্যান্ডএম, ইনডিটেক্স তাদের কাজ শেষ হওয়া এবং প্রক্রিয়াধীন কার্যাদেশের অর্থ পরিশোধে প্রতিশ্রুতি দেয়। গত জুলাইতে প্রাইমার্কও সব বকেয়া কার্যাদেশের অর্থ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে আরেক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ট্রেডক্রাফট বলেছে, অর্ডারগুলো কখন পৌঁছাবে তা অস্পষ্ট। এরপর বাংলাদেশে গার্মেন্টস মালিকদের অর্থ পরিশোধে কত সময় লাগবে তা এখনই জানাতে পারছে না তারা।

ব্রিটেনে লকডাউনজনিত পরিস্থিতির কারণে এবং জরুরি নয় এমন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় পোশাক বিক্রি কমে আসা এই বিপর্যয়ের মূল কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। ব্রিটেনে করোনার তীব্র প্রাদুর্ভাবের কারণে দফায় দফায় লকডাউন, লাখ লাখ মানুষের কর্মহীনতার কারণে গত বড়দিন ও নতুন বছরেও অন্যান্য বছরের তুলনায় কেনাকাটার পরিমাণ ছিল কম।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


গার্মেন্টস খাতে ব্রিটেন থেকেই বাতিল শত কোটি অর্ডার

Update Time : ০২:১১:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ জানুয়ারী ২০২১

 

করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর কারণে ব্রিটেন থেকে বাংলাদেশের গার্মেন্টসগুলোতে ৭৩০ মিলিয়ন পাউন্ডের (প্রায় ১ বিলিয়নের) অর্ডার বাতিল হয়েছে। বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় শত কোটি টাকার সমান।

মহামারীতে প্রথম লকডাউনের মধ্যে শুধু ব্রিটেন থেকেই এই অর্ডার বাতিল হয়েছে। গত জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্ডার বাতিলের ধারা অব্যাহত রয়েছে। ব্রিটেনের টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ব্রিটেনের রিটেইল গেজেটের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ব্রিটেনের প্রাইমার্ক, মাদার কেয়ার, ডেভেনহামসহ বড় পোশাক বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোও অর্ডার বাতিল করেছে।

মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সার, টেসকো, এইচঅ্যান্ডএম, ইনডিটেক্স তাদের কাজ শেষ হওয়া এবং প্রক্রিয়াধীন কার্যাদেশের অর্থ পরিশোধে প্রতিশ্রুতি দেয়। গত জুলাইতে প্রাইমার্কও সব বকেয়া কার্যাদেশের অর্থ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে আরেক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ট্রেডক্রাফট বলেছে, অর্ডারগুলো কখন পৌঁছাবে তা অস্পষ্ট। এরপর বাংলাদেশে গার্মেন্টস মালিকদের অর্থ পরিশোধে কত সময় লাগবে তা এখনই জানাতে পারছে না তারা।

ব্রিটেনে লকডাউনজনিত পরিস্থিতির কারণে এবং জরুরি নয় এমন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় পোশাক বিক্রি কমে আসা এই বিপর্যয়ের মূল কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। ব্রিটেনে করোনার তীব্র প্রাদুর্ভাবের কারণে দফায় দফায় লকডাউন, লাখ লাখ মানুষের কর্মহীনতার কারণে গত বড়দিন ও নতুন বছরেও অন্যান্য বছরের তুলনায় কেনাকাটার পরিমাণ ছিল কম।