জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারের দাবি ছাত্রলীগের

  • Update Time : ০৭:১২:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অগাস্ট ২০২০
  • / 143

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে প্রত্যক্ষ মদদের অভিযোগে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারের দাবি জানিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
.
সোমবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের উদ্যোগে আয়োজিত সভায় এ দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
.
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন এর সঞ্চলনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের নামে পাকিস্তানের সঙ্গে গুপ্তচরবৃত্তি করেছেন। পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের গাড়িতে লাল সবুজের পতাকা তুলে দিয়ে ত্রিশ লাখ শহীদ এবং দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সঙ্গে বেঈমানি করেছেন। যুদ্ধাপরাধী এবং জাতির পিতার হত্যাকারীদের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য জিয়াউর রহমানকে মরণোত্তর বিচারের আওতায় আনতে হবে। এটা এখন সময়ের সর্বস্তরের মানুষের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
.
তিনি বলেন, আগস্ট হত্যার পরিকল্পনাকারীদের পরামর্শে খুনি মোশতাক কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে জাতির পিতার হত্যার বিচার বন্ধ করে রেখেছিল। পরবর্তীকালে জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশসহ সব অবৈধ ও অসাংবিধানিক বিষয়কে বৈধতা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের পথ রুদ্ধ করে রেখেছিল। এরপর প্রায় দুই যুগ ধরে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার বন্ধ ছিল। এছাড়া খুনি মাজেদের কথাতেও পরিষ্কার যে জিয়া এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল। ফলে তার মরণোত্তর বিচার করতে হবে।
.

এ সময় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ১৯৭৫ সালে নির্মম হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে শেষ করতে চেয়েছিল স্বাধীনতা বিরোধীরা। কিন্তু তারা জানত না যে বঙ্গবন্ধু শুধু ওই ৬ ফুট দেহের মধ্যেই ছিলেন না, ৫৬ হাজার বর্গমাইলের প্রতিটি ইঞ্চি, বাংলার প্রতিটি মানুষের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু বিদ্যমান। ফলে তাকে হত্যা করেই তাকে শেষ করে সব শেষ করা যায়নি।
.
তিনি বলেন, আমরা জানি বঙ্গবন্ধুর খুনি খুনি রশিদ, ফারুক, হুদা, ডালিম, নূর, শাহরিয়ার, মাজেদ এরা সবাই সেনাবাহিনীর সদস্য ছিল।বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করতে কে তাদের মদদ দিয়েছিলো?উৎসাহিত করেছিলো? সম্প্রতি খুনি মাজেদ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানিয়েছেন জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে কি ভাবে জড়িত ছিলেন।
.
জিয়াউর রহমান কি ভাবে তাদেরকে মদদ দিয়েছেন, কি ভাবে তাদেরকে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন এবং সহযোগিতা করেছিলেন তাও বলেছেন।এতে প্রমাণিত হয় জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ মদদের বিষয়। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। কিন্তু জিয়াউর রহমান সেই বিচারের আওতায় আসেননি। এত বড় নৃশংস কাণ্ডে যিনি জড়িত তার মরণোত্তর বিচার হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
.
এ সময় ডাকসুর হল সংসদের নেতৃবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয়, হল ও বিভিন্ন ইউনিটের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
.
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তাঁর তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেলসহ পরিবারের অধিকাংশ সদস্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে কতিপয় বিপথগামী সেনা সদস্যের বুলেটের নির্মম আঘাতে শহীদ হন। জাতির পিতার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সে সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।
.
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারের দাবি ছাত্রলীগের

Update Time : ০৭:১২:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অগাস্ট ২০২০

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে প্রত্যক্ষ মদদের অভিযোগে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারের দাবি জানিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
.
সোমবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের উদ্যোগে আয়োজিত সভায় এ দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
.
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন এর সঞ্চলনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের নামে পাকিস্তানের সঙ্গে গুপ্তচরবৃত্তি করেছেন। পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের গাড়িতে লাল সবুজের পতাকা তুলে দিয়ে ত্রিশ লাখ শহীদ এবং দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সঙ্গে বেঈমানি করেছেন। যুদ্ধাপরাধী এবং জাতির পিতার হত্যাকারীদের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য জিয়াউর রহমানকে মরণোত্তর বিচারের আওতায় আনতে হবে। এটা এখন সময়ের সর্বস্তরের মানুষের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
.
তিনি বলেন, আগস্ট হত্যার পরিকল্পনাকারীদের পরামর্শে খুনি মোশতাক কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে জাতির পিতার হত্যার বিচার বন্ধ করে রেখেছিল। পরবর্তীকালে জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশসহ সব অবৈধ ও অসাংবিধানিক বিষয়কে বৈধতা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের পথ রুদ্ধ করে রেখেছিল। এরপর প্রায় দুই যুগ ধরে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার বন্ধ ছিল। এছাড়া খুনি মাজেদের কথাতেও পরিষ্কার যে জিয়া এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল। ফলে তার মরণোত্তর বিচার করতে হবে।
.

এ সময় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ১৯৭৫ সালে নির্মম হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে শেষ করতে চেয়েছিল স্বাধীনতা বিরোধীরা। কিন্তু তারা জানত না যে বঙ্গবন্ধু শুধু ওই ৬ ফুট দেহের মধ্যেই ছিলেন না, ৫৬ হাজার বর্গমাইলের প্রতিটি ইঞ্চি, বাংলার প্রতিটি মানুষের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু বিদ্যমান। ফলে তাকে হত্যা করেই তাকে শেষ করে সব শেষ করা যায়নি।
.
তিনি বলেন, আমরা জানি বঙ্গবন্ধুর খুনি খুনি রশিদ, ফারুক, হুদা, ডালিম, নূর, শাহরিয়ার, মাজেদ এরা সবাই সেনাবাহিনীর সদস্য ছিল।বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করতে কে তাদের মদদ দিয়েছিলো?উৎসাহিত করেছিলো? সম্প্রতি খুনি মাজেদ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানিয়েছেন জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে কি ভাবে জড়িত ছিলেন।
.
জিয়াউর রহমান কি ভাবে তাদেরকে মদদ দিয়েছেন, কি ভাবে তাদেরকে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন এবং সহযোগিতা করেছিলেন তাও বলেছেন।এতে প্রমাণিত হয় জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ মদদের বিষয়। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। কিন্তু জিয়াউর রহমান সেই বিচারের আওতায় আসেননি। এত বড় নৃশংস কাণ্ডে যিনি জড়িত তার মরণোত্তর বিচার হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
.
এ সময় ডাকসুর হল সংসদের নেতৃবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয়, হল ও বিভিন্ন ইউনিটের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
.
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তাঁর তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেলসহ পরিবারের অধিকাংশ সদস্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে কতিপয় বিপথগামী সেনা সদস্যের বুলেটের নির্মম আঘাতে শহীদ হন। জাতির পিতার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সে সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।
.