যত্রতত্র ময়লা ফেললে জরিমানার নির্দেশ দিলেন চসিক প্রশাসক

  • Update Time : ১২:৫৪:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২০
  • / 147
.

নগরের দোকানদারদের দোকানের ময়লা যত্রতত্র ফেললে তাদের জরিমানা করার নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

এছাড়াও ডোর টু ডোর ময়লা সংগ্রহ করে সেকেন্ডারি স্টেশনে যে ময়লা জমানো হয় তা তেরপাল দিয়ে ঢেকে দিতে এবং পরিস্কার করার পর সেখানে ব্লিচিং পাউডার ও মশার ওষুধ ছিটিয়ে দেওয়ারও নির্দেশনা দেন তিনি।

রোববার (১৬ আগস্ট) নগরভবনের কেবি আবদুচ ছাত্তার মিলনায়তনে পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তা ও দায়িত্বশীলদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ নির্দেশনা দেন।

এ সময় সুজন বলেন, আগামী সেপ্টেম্বর থেকে পাইলট প্রকল্প হিসেবে রেয়াজ উদ্দিন বাজার ও ফলমুন্ডির প্রতিটি দোকানে ময়লা বস্তায় রাখার জন্য চসিক লিখিত কালো বস্তা বিতরণ করা হবে।

তিনি আরো বলেন, কোথাও খোলা ময়লা আমি দেখতে চাই না। ডাম্পিং স্টেশনের কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ডাম্পিং স্টেশনে নিয়মিত ব্লিচিং পাউডার ও মশার ওষুধ ছিটিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত রাখতে হবে।

প্রশাসক সুজন বলেন, চসিকের মূল চালিকাশক্তি হলো দুটি। একটি পরিচ্ছন্ন ও অন্যটি প্রকৌশল বিভাগ। চলমান বর্ষা মৌসুমে নগরবাসীর ভোগান্তি কমাতে প্রকৌশল ও পরিচ্ছন্ন বিভাগকে সম্মিলিত পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন করে ভরাট নালা-নর্দমার মাটি আবর্জনা অপসারণ করে পানি নিষ্কাষনের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। প্রয়োজনে রাত-দিন কাজ করতে হবে । খাল-ছড়া ও নালা-নর্দমার ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে হবে।

চসিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বলেন, যারা ভাল কাজ করবেন তাদেরকে বেস্ট পারফরমান হিসেবে পুরস্কৃত করা হবে। একই সঙ্গে দায়িত্ব অবেহেলা করলে শাস্তি ভোগ করতে হবে।

চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহার সভাপতিত্বতে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিক সচিব আবু সাহেদ চৌধুরী, প্রশাসকের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী, উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরীসহ পরিচ্ছন্ন জোন প্রধান, পরিদর্শক ও সুপারভাইজাররা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


যত্রতত্র ময়লা ফেললে জরিমানার নির্দেশ দিলেন চসিক প্রশাসক

Update Time : ১২:৫৪:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২০
.

নগরের দোকানদারদের দোকানের ময়লা যত্রতত্র ফেললে তাদের জরিমানা করার নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

এছাড়াও ডোর টু ডোর ময়লা সংগ্রহ করে সেকেন্ডারি স্টেশনে যে ময়লা জমানো হয় তা তেরপাল দিয়ে ঢেকে দিতে এবং পরিস্কার করার পর সেখানে ব্লিচিং পাউডার ও মশার ওষুধ ছিটিয়ে দেওয়ারও নির্দেশনা দেন তিনি।

রোববার (১৬ আগস্ট) নগরভবনের কেবি আবদুচ ছাত্তার মিলনায়তনে পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তা ও দায়িত্বশীলদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ নির্দেশনা দেন।

এ সময় সুজন বলেন, আগামী সেপ্টেম্বর থেকে পাইলট প্রকল্প হিসেবে রেয়াজ উদ্দিন বাজার ও ফলমুন্ডির প্রতিটি দোকানে ময়লা বস্তায় রাখার জন্য চসিক লিখিত কালো বস্তা বিতরণ করা হবে।

তিনি আরো বলেন, কোথাও খোলা ময়লা আমি দেখতে চাই না। ডাম্পিং স্টেশনের কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ডাম্পিং স্টেশনে নিয়মিত ব্লিচিং পাউডার ও মশার ওষুধ ছিটিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত রাখতে হবে।

প্রশাসক সুজন বলেন, চসিকের মূল চালিকাশক্তি হলো দুটি। একটি পরিচ্ছন্ন ও অন্যটি প্রকৌশল বিভাগ। চলমান বর্ষা মৌসুমে নগরবাসীর ভোগান্তি কমাতে প্রকৌশল ও পরিচ্ছন্ন বিভাগকে সম্মিলিত পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন করে ভরাট নালা-নর্দমার মাটি আবর্জনা অপসারণ করে পানি নিষ্কাষনের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। প্রয়োজনে রাত-দিন কাজ করতে হবে । খাল-ছড়া ও নালা-নর্দমার ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে হবে।

চসিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বলেন, যারা ভাল কাজ করবেন তাদেরকে বেস্ট পারফরমান হিসেবে পুরস্কৃত করা হবে। একই সঙ্গে দায়িত্ব অবেহেলা করলে শাস্তি ভোগ করতে হবে।

চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহার সভাপতিত্বতে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিক সচিব আবু সাহেদ চৌধুরী, প্রশাসকের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী, উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরীসহ পরিচ্ছন্ন জোন প্রধান, পরিদর্শক ও সুপারভাইজাররা।