কমলাপুর স্টেশন পরিদর্শনে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন

  • Update Time : ০৫:৩১:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২০
  • / 172

মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সাময়িক বিরতি দিয়ে ফের শুরু হলো আরও ১৩ জোড়া ট্রেন চলাচল। রোববার (১৬ আগস্ট) সকাল থেকে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন রুটে এই ১৩ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। ট্রেন চলাচলের সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নিতে কমলাপুর স্টেশন পরিদর্শনে এসেছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি কমলাপুর স্টেশনে আসেন। এ সময় তিনি কমলাপুর রেলস্টেশনের ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানো ঢাকা-কিশোরগঞ্জ-ঢাকা রুটে চলাচলকারী কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে যাত্রার সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন। পাশাপাশি স্টেশনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন।

করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ২৪ মার্চ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় কিছু মালবাহী ট্রেন চলাচল অব্যাহত ছিল। গত ৩১ মে প্রথম দফায় আট জোড়া আন্তনগর ট্রেন চালু করা হয়। ৩ জুন দ্বিতীয় দফায় আরও ১১ জোড়া আন্তনগর ট্রেন বাড়ানো হয়। তবে কিছুদিন পর যাত্রী সংকটে দুই জোড়া ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এরই ধারাবাহিকতায় নতুন করে আরও ১২ জোড়া আন্তনগর ও এক জোড়া কমিউটার ট্রেনসহ মোট ১৩ জোড়া ট্রেন নতুন করে চলাচল শুরু করেছে আজ রোববার থেকে। পর্যায়ক্রমে সব রুটের যাত্রীবাহী আন্তনগর ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ-পরিচালক (টিটি) খায়রুল কবির স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ১৬ আগস্ট থেকে ১৩টি ট্রেন চলাচল শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

Rail-(4).jpg

রোববার (১৬ আগস্ট) সকাল থেকে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন রুটে এই ১৩ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

এদিকে রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আন্তনগর ট্রেনের টিকিট আগের মতো অনলাইনে ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। যাত্রার দিনসহ পাঁচ দিন পূর্বে আন্তনগর ট্রেনসমূহের অগ্রিম টিকিট ইস্যু করা যাবে। যাত্রীদের সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কোচের ধারণক্ষমতার শতকরা ৫০ ভাগ টিকিট বিক্রি করা হবে। আন্তনগর ট্রেনে সকল প্রকার স্ট্যান্ডিং টিকিট সম্পন্ন বন্ধ থাকবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র জানায়, বর্তমানের মোট ১৭ জোড়া ট্রেন চলাচল করছে। আজ রেলের বহরে যুক্ত হলো আরও ১৩ জোড়া ট্রেন। সব মিলিয়ে এখন চলাচল করা ট্রেনের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ৩০ জোড়ায়।

১৩ জোড়া ট্রেনগুলোর মধ্যে রয়েছে-রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে পদ্মা এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট-সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস, ঢাকা-মোহনগঞ্জ-ঢাকা রুটে হাওড়া এক্সপ্রেস, ঢাকা-তারাকান্দি-ঢাকা রুটে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, রাজশাহী-চিলাহাটি-রাজশাহী রুটে তিতুমীর এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে মহানগর এক্সপ্রেস, পঞ্চগড়-ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে একতা এক্সপ্রেস, খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে বিজয় এক্সপ্রেস, ঢাকা-নোয়াখালী-ঢাকা রুটে উপকূল এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলাহাটি-খুলনা রুটে সীমান্ত এক্সপ্রেস, গোবরা-রাজশাহী-গোবরা রুটে টঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস। এছাড়া ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার-ঢাকা রুটে জামালপুর কমিউটার ট্রেন চালানো হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


কমলাপুর স্টেশন পরিদর্শনে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন

Update Time : ০৫:৩১:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২০

মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সাময়িক বিরতি দিয়ে ফের শুরু হলো আরও ১৩ জোড়া ট্রেন চলাচল। রোববার (১৬ আগস্ট) সকাল থেকে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন রুটে এই ১৩ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। ট্রেন চলাচলের সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নিতে কমলাপুর স্টেশন পরিদর্শনে এসেছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি কমলাপুর স্টেশনে আসেন। এ সময় তিনি কমলাপুর রেলস্টেশনের ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানো ঢাকা-কিশোরগঞ্জ-ঢাকা রুটে চলাচলকারী কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে যাত্রার সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন। পাশাপাশি স্টেশনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন।

করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ২৪ মার্চ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় কিছু মালবাহী ট্রেন চলাচল অব্যাহত ছিল। গত ৩১ মে প্রথম দফায় আট জোড়া আন্তনগর ট্রেন চালু করা হয়। ৩ জুন দ্বিতীয় দফায় আরও ১১ জোড়া আন্তনগর ট্রেন বাড়ানো হয়। তবে কিছুদিন পর যাত্রী সংকটে দুই জোড়া ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এরই ধারাবাহিকতায় নতুন করে আরও ১২ জোড়া আন্তনগর ও এক জোড়া কমিউটার ট্রেনসহ মোট ১৩ জোড়া ট্রেন নতুন করে চলাচল শুরু করেছে আজ রোববার থেকে। পর্যায়ক্রমে সব রুটের যাত্রীবাহী আন্তনগর ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ-পরিচালক (টিটি) খায়রুল কবির স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ১৬ আগস্ট থেকে ১৩টি ট্রেন চলাচল শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

Rail-(4).jpg

রোববার (১৬ আগস্ট) সকাল থেকে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন রুটে এই ১৩ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

এদিকে রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আন্তনগর ট্রেনের টিকিট আগের মতো অনলাইনে ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। যাত্রার দিনসহ পাঁচ দিন পূর্বে আন্তনগর ট্রেনসমূহের অগ্রিম টিকিট ইস্যু করা যাবে। যাত্রীদের সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কোচের ধারণক্ষমতার শতকরা ৫০ ভাগ টিকিট বিক্রি করা হবে। আন্তনগর ট্রেনে সকল প্রকার স্ট্যান্ডিং টিকিট সম্পন্ন বন্ধ থাকবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র জানায়, বর্তমানের মোট ১৭ জোড়া ট্রেন চলাচল করছে। আজ রেলের বহরে যুক্ত হলো আরও ১৩ জোড়া ট্রেন। সব মিলিয়ে এখন চলাচল করা ট্রেনের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ৩০ জোড়ায়।

১৩ জোড়া ট্রেনগুলোর মধ্যে রয়েছে-রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে পদ্মা এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট-সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস, ঢাকা-মোহনগঞ্জ-ঢাকা রুটে হাওড়া এক্সপ্রেস, ঢাকা-তারাকান্দি-ঢাকা রুটে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, রাজশাহী-চিলাহাটি-রাজশাহী রুটে তিতুমীর এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে মহানগর এক্সপ্রেস, পঞ্চগড়-ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে একতা এক্সপ্রেস, খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে বিজয় এক্সপ্রেস, ঢাকা-নোয়াখালী-ঢাকা রুটে উপকূল এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলাহাটি-খুলনা রুটে সীমান্ত এক্সপ্রেস, গোবরা-রাজশাহী-গোবরা রুটে টঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস। এছাড়া ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার-ঢাকা রুটে জামালপুর কমিউটার ট্রেন চালানো হবে।