কিশোর নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, গ্রেফতার ৪ জন

  • Update Time : ০২:১০:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ অগাস্ট ২০২০
  • / 160

 নিজস্ব প্রতিবেদক:

গল্পটি মোঃ সিয়াম, শুভ, আরমান, নাহিদ, সাজেদুল ইসলাম নাসিম ও আশিকুর রহমান পাপ্পুর। এরা সকলে শেরপুর পৌরসভার একই এলাকার বাসিন্দা এবং একে অপরের পূর্ব পরিচিত। উল্লেখ্য যে, আশিকুর রহমান পাপ্পু উক্ত ঘটনার ভিকটিম আর অন্যান্যরা ঘটনার আসামি।

আসামি শুভর বান্ধবী দিবা। দিবাকে আগে থেকেই পছন্দ করতো পাপ্পু। এক পর্যায়ে দিবাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বসে পাপ্পু। তাতেই বাধে যতো বিপত্তি।

দিবাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়ার কথা জানতে পারে শুভ। রাগে ক্ষোভে ফেটে পরে সে। ঠিক করে পাপ্পুকে এর জন্য চরম শিক্ষা দিতে হবে। সহযোগী অন্যান্য বন্ধুদের সাথে পরিকল্পনাও করে ফেলে সে। ঘটনার দিন ভিকটিম পাপ্পু আসামি শুভর দাদীর জানাজা শেষে নিজ বাড়ীর উদ্দেশ্যে ফিরছিলো। ঐ সময় শুভ দরকারি কথা আছে বলে পাপ্পুকে কাছাকাছি একটি পুরাতন ভবনের ২য় তলায় নিয়ে যায়। সেখানে পৌঁছার সাথে সাথে আগে থেকেই ওত পেতে থাকা বাকী অভিযুক্তরা পাপ্পুকে ঘিরে ফেলে। পাপ্পু কাকুতি মিনতি করে মাফ চায় তাদের কাছে। কিন্তু অভিযুক্তরা সেদিকে কর্নপাত না করে ভিকটিমকে কিল ঘুষি চড় থাপ্পর লাথি মারতে থাকে।

সবকিছু মোবাইল ফোনে ভিডিও করে নাসিম। এক পর্যায়ে ভিকটিমের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। লোকজনকে আসতে দেখে আসামিরা ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

তবে এখানেই ক্ষান্ত দেয়নি অভিযুক্তরা। তারা তাদের মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। বিষয়টি পুলিশের নজরে আসলে শেরপুর জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম পিপিএম এর নির্দেশনায় আসামিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে পুলিশ। তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে মোঃ সিয়াম (১৭), শুভ (১৭), আরমান (১৬), নাসিম (১৫) কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামিদেরসহ পলাতক আসামিকে অভিযুক্ত করে একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


কিশোর নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, গ্রেফতার ৪ জন

Update Time : ০২:১০:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ অগাস্ট ২০২০

 নিজস্ব প্রতিবেদক:

গল্পটি মোঃ সিয়াম, শুভ, আরমান, নাহিদ, সাজেদুল ইসলাম নাসিম ও আশিকুর রহমান পাপ্পুর। এরা সকলে শেরপুর পৌরসভার একই এলাকার বাসিন্দা এবং একে অপরের পূর্ব পরিচিত। উল্লেখ্য যে, আশিকুর রহমান পাপ্পু উক্ত ঘটনার ভিকটিম আর অন্যান্যরা ঘটনার আসামি।

আসামি শুভর বান্ধবী দিবা। দিবাকে আগে থেকেই পছন্দ করতো পাপ্পু। এক পর্যায়ে দিবাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বসে পাপ্পু। তাতেই বাধে যতো বিপত্তি।

দিবাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়ার কথা জানতে পারে শুভ। রাগে ক্ষোভে ফেটে পরে সে। ঠিক করে পাপ্পুকে এর জন্য চরম শিক্ষা দিতে হবে। সহযোগী অন্যান্য বন্ধুদের সাথে পরিকল্পনাও করে ফেলে সে। ঘটনার দিন ভিকটিম পাপ্পু আসামি শুভর দাদীর জানাজা শেষে নিজ বাড়ীর উদ্দেশ্যে ফিরছিলো। ঐ সময় শুভ দরকারি কথা আছে বলে পাপ্পুকে কাছাকাছি একটি পুরাতন ভবনের ২য় তলায় নিয়ে যায়। সেখানে পৌঁছার সাথে সাথে আগে থেকেই ওত পেতে থাকা বাকী অভিযুক্তরা পাপ্পুকে ঘিরে ফেলে। পাপ্পু কাকুতি মিনতি করে মাফ চায় তাদের কাছে। কিন্তু অভিযুক্তরা সেদিকে কর্নপাত না করে ভিকটিমকে কিল ঘুষি চড় থাপ্পর লাথি মারতে থাকে।

সবকিছু মোবাইল ফোনে ভিডিও করে নাসিম। এক পর্যায়ে ভিকটিমের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। লোকজনকে আসতে দেখে আসামিরা ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

তবে এখানেই ক্ষান্ত দেয়নি অভিযুক্তরা। তারা তাদের মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। বিষয়টি পুলিশের নজরে আসলে শেরপুর জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম পিপিএম এর নির্দেশনায় আসামিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে পুলিশ। তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে মোঃ সিয়াম (১৭), শুভ (১৭), আরমান (১৬), নাসিম (১৫) কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামিদেরসহ পলাতক আসামিকে অভিযুক্ত করে একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।