কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে সেনা কর্মকর্তা নিহত হওয়ার ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) সকাল ৯টায় কক্সবাজার শহরের হিলটাউন সার্কিট হাউজে বৈঠক করেন কমিটির সদস্যরা। বৈঠক চলে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত।
বৈঠকে অংশ নেন তদন্ত দলের প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, কমিটির সদস্য সেনাবাহিনীর রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মনোনীত প্রতিনিধি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সশস্ত্র বিভাগের লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ সাজ্জাদ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মনোনীত প্রতিনিধি অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ জাকির হোসেন এবং কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাজাহান আলি।
বৈঠকের পর তদন্ত কমিটির প্রধান জানান, নিয়ম অনুসারে প্রথম দিনের বৈঠকে তারা কর্ম-পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে বলেও জানান তিনি। বৈঠকের পর প্রয়োজনীয় তথ্য ও সাক্ষ্য নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত উচ্চপর্যায়ের এই কমিটি।
এদিকে, সিনহা রাশেদ নিহতের ঘটনায় তার মা’কে ফোন করে সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) সকালে সিনহা রাশেদের মায়ের মোবাইলে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় সিনহার পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেন তিনি। সিনহার মা নাসিমা আক্তার ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচারের দাবি জানান। পরে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে জানিয়ে নাসিমা আক্তারকে বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান গত শুক্রবার (৩১ জুলাই) রাতে কক্সবাজার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। একে সরাসরি হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করছেন সিনহার স্বজনরা। এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও বিচারের দাবি করেছেন তারা। সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেয়ার পর বিশ্ব ভ্রমণের পরিকল্পনা করছিলেন মেজর সিনহা রাশেদ। ভ্রমণ বিষয়ক একটি ইউটিউব চ্যানেল বানানোর কাজও চলছিলো তার। এরই অংশ হিসেবে সিনহা কক্সবাজারে ভিডিও তৈরির কাজে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।