টিকটক হাতছাড়া করতে নারাজ চিন, নয়া মোর চিন-আমেরিকা যুদ্ধে

  • Update Time : ০৩:৩৪:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অগাস্ট ২০২০
  • / 248
আমেরিকায় চিনের শর্ট ভিডিও অ্যাপ টিকটককে নিষিদ্ধ করা হবে বলে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রসঙ্গত, শনিবার টিকটক নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, “আমরা হয়তো আরও অন্য কিছু কাজও করব। বেশ কয়েকটি বিকল্প রয়েছে, কিন্তু অনেক কিছুই ঘটছে, তাই আমরা কী হবে তা দেখব। তবে টিকটকের বদলে আমরা অনেক বিকল্পের সন্ধানে রয়েছি।”
 
ইতিমধ্যে টিকটক কিনতে উদ্যোগী হয় মাইক্রোসফট। আর তাতেই শুর পাল্টেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন সেপ্টেম্বরের ১৫-র আগে যদি টিকটক মার্কিন সংস্থার কাছে বিক্রি না হয় তবে তা নিষিদ্ধ হওয়া থেকে কেউ আটকাতে পারবে না। ফলে আমেরিকার উপর খাপ্পা হয়েছে চিন। এদিকে শুধু চিনা অ্যাপ নয়, চিনের উপর ডিজিটাল স্ট্রাইকের পরিধি বাড়াতে সব রকম প্রস্তুতি সেরে রাখছে আমেরিকা। মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেও এই বিষয়ে এদিন জানান, আসন্ন দিনগুলিতে চিনা মালিকানাধীন সকল সফটওারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়ে ভাবছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এত কিছুর মধ্যেও টিকটক কেনার জন্য জোর দরাদরি চলছে মাইক্রোসফট ও টিকটকের মধ্যে। আর এই বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গেও আলোচনা করছেন মাইক্রোসফটের প্রধান সত্য নাডেল্লা।
 
চিনের বক্তব্য, আমেরিকা জোর করে টিকটকের মালিকানা পেতে চাইছে। এই ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে লড়াই অনিবার্য। কারণ চিন আত্মসমর্পণ করে না। পাশাপাশি চিনের আরো হুমকি দিয়েছে, বেজিং চাইলে আমেরিকার এরূপ পদক্ষেপের প্রতিশোধ নিতে অনেক পাল্টা পদক্ষেপ নিতে পারে যা ওয়াশিংটনের জন্য ভীষণ ক্ষতিকারক হবে। ইতিমধ্যে, আমেরিকায় টিকটকের অপারেশন কিনে নেওয়ার বিষয়ে মাইক্রোসফট বাইটডান্সের সঙ্গে আলোচনা করছে। ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই তারা টিকটক কিনে নিতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
 
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ল্যারি কুডলো টিকটকের মালিকানা বদলের বিষয় নিয়ে ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন। কয়েকদিন আগেই চিনকে আক্রমণ করে পম্পেও মার্কিন সেনেটে বলেছিলেন, চিনা কমিউনিস্ট পার্টির নজরদারি রুখতে টিকটকের মতো চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ ও ৫জি সম্প্রসারণে চিনা কোম্পানিকে বর্জন করা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হিসাবে কাজ করতে পারে। বলা বাহুল্য, চিন আর আমেরিকার মধ্যে টিকটক নিয়ে একরকম লড়াই শুরু হয়েছে।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


টিকটক হাতছাড়া করতে নারাজ চিন, নয়া মোর চিন-আমেরিকা যুদ্ধে

Update Time : ০৩:৩৪:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অগাস্ট ২০২০
আমেরিকায় চিনের শর্ট ভিডিও অ্যাপ টিকটককে নিষিদ্ধ করা হবে বলে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রসঙ্গত, শনিবার টিকটক নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, “আমরা হয়তো আরও অন্য কিছু কাজও করব। বেশ কয়েকটি বিকল্প রয়েছে, কিন্তু অনেক কিছুই ঘটছে, তাই আমরা কী হবে তা দেখব। তবে টিকটকের বদলে আমরা অনেক বিকল্পের সন্ধানে রয়েছি।”
 
ইতিমধ্যে টিকটক কিনতে উদ্যোগী হয় মাইক্রোসফট। আর তাতেই শুর পাল্টেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন সেপ্টেম্বরের ১৫-র আগে যদি টিকটক মার্কিন সংস্থার কাছে বিক্রি না হয় তবে তা নিষিদ্ধ হওয়া থেকে কেউ আটকাতে পারবে না। ফলে আমেরিকার উপর খাপ্পা হয়েছে চিন। এদিকে শুধু চিনা অ্যাপ নয়, চিনের উপর ডিজিটাল স্ট্রাইকের পরিধি বাড়াতে সব রকম প্রস্তুতি সেরে রাখছে আমেরিকা। মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেও এই বিষয়ে এদিন জানান, আসন্ন দিনগুলিতে চিনা মালিকানাধীন সকল সফটওারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়ে ভাবছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এত কিছুর মধ্যেও টিকটক কেনার জন্য জোর দরাদরি চলছে মাইক্রোসফট ও টিকটকের মধ্যে। আর এই বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গেও আলোচনা করছেন মাইক্রোসফটের প্রধান সত্য নাডেল্লা।
 
চিনের বক্তব্য, আমেরিকা জোর করে টিকটকের মালিকানা পেতে চাইছে। এই ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে লড়াই অনিবার্য। কারণ চিন আত্মসমর্পণ করে না। পাশাপাশি চিনের আরো হুমকি দিয়েছে, বেজিং চাইলে আমেরিকার এরূপ পদক্ষেপের প্রতিশোধ নিতে অনেক পাল্টা পদক্ষেপ নিতে পারে যা ওয়াশিংটনের জন্য ভীষণ ক্ষতিকারক হবে। ইতিমধ্যে, আমেরিকায় টিকটকের অপারেশন কিনে নেওয়ার বিষয়ে মাইক্রোসফট বাইটডান্সের সঙ্গে আলোচনা করছে। ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই তারা টিকটক কিনে নিতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
 
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ল্যারি কুডলো টিকটকের মালিকানা বদলের বিষয় নিয়ে ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন। কয়েকদিন আগেই চিনকে আক্রমণ করে পম্পেও মার্কিন সেনেটে বলেছিলেন, চিনা কমিউনিস্ট পার্টির নজরদারি রুখতে টিকটকের মতো চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ ও ৫জি সম্প্রসারণে চিনা কোম্পানিকে বর্জন করা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হিসাবে কাজ করতে পারে। বলা বাহুল্য, চিন আর আমেরিকার মধ্যে টিকটক নিয়ে একরকম লড়াই শুরু হয়েছে।