গণপরিবহনসহ যেসব বিষয়ে নতুন আদেশ
- Update Time : ১১:৪৭:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ অগাস্ট ২০২০
- / 156
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
করোনার বিস্তার রোধ এবং পরিস্থিতির উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশে ‘সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে নিয়ন্ত্রণের’ মেয়াদ আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে সরকার।
সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এক অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক স্মারকে বিষয়টি জানা যায়।
স্মারকে দেশের সার্বিক কার্যাবলি এবং জনসাধারণের চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আরোপে ১০টি বিষয়ের কথা বলা হয়েছে।
স্মারকে বলা হয়, আগামীকাল ৪ আগস্ট থেকে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এ নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত থাকবে এবং সাপ্তাহিক ছুটি এ নিয়ন্ত্রণের অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
স্মারকে আরো বলা হয়, রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত অতীব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (প্রয়োজনীয় ক্রয়-বিক্রয়, কর্মস্থলে যাতায়াত, জরুরি পরিষেবা, ঔষধ ক্রয়, চিকিৎসাসেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) বাসস্থানের বাইরে আসা-যাবে না।
বাসস্থানের বাইরে সব সময় মাস্ক পরতে হবে এবং পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এছাড়া হাটবাজার, দোকানপাট ও শপিংমলে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালন করতে হবে এবং রাত ৮টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গণপরিবহনসহ সব ধরনের যান স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে চলাচল করবে। এছাড়া রাজনৈতিক সব কার্যক্রম, অর্থাৎ সভা-সমাবেশ বন্ধ থাকবে। ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে অনুষ্ঠান আয়োজনে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক সময় সময় প্রদত্ত নির্দেশনা প্রতিপালনপূর্বক মসজিদে জামায়াতে নামাজ আদায় ও অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থনা পরিচালনা করা যাবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রণীত ‘কোভিড-১৯ সংযমন (কনটেইনমেন্ট) ব্যবস্থা বাস্তবায়ন কৌশল/গাইড’ অনুসরণ করে অধিকতর সংক্রমিত এলাকা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সেখানে সর্বসাধারণের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির সরবরাহ/প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ বিষয়ে সুস্পষ্ট অনুমোদন ও নির্দেশনা প্রদান করবে। সিটি করপোরেশন এলাকায় সিটি করপোরেশন এবং অন্যান্য এলাকায় জেলা প্রশাসন এ-সংক্রান্ত কার্যাবলির সার্বিক সমন্বয় করবে।
এছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যাংক-বিমা, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্পকারখানা ও সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে বলে স্মারকে জানানো হয়েছে।
কোভিড-১৯-এর বিস্তার রোধে স্থানীয় সরকার বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রচারণা ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে।