গোপালগঞ্জ
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গোপালগঞ্জে ঈদের জামাত হয়েছে মসজিদে। শনিবার (১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টায় কেন্দ্রীয় কোর্ট মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জেলার প্রধান এ ঈদের জামাতে ইমামতি করেন ইমাম হাফিজুর রহমান। সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) কাজী শহিদুল ইসলাম। এরপর সকাল ৮-১০টা পযর্ন্ত গোপালগঞ্জ ছালেহিয়া কামিল মাদ্রাসা জামে মসজিদ, থানাপাড়া জামে মসজিদ, পুলিশ লাইন মাঠে, বেদগ্রাম জামে মসজিদ, গেটপাড়া জামে মসজিদ, মোহাম্মদপাড়া জামে মসজিদ ও পাওয়ার হাউজ জামে মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদে যার যার সুবিধামতো সময়ে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি মসজিদে একের অধিক জামাতের আয়োজন করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা আর আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হচ্ছে। করোনার কারণে স্বাস্থ্য বিধিমেনে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে সকাল ৭টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে জেলা কোন্দ্রীয় জামে মসজিদে। সেখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ্-দৌলা খানসহ, সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক নেতারা নামাজ আদায় করেন।
ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার সিনিয়র মুয়াদ্দিস মাওলানা নোমান আল হাবিবি। ঈদের নামাজ আদায় শেষে দেশ জাতি এবং মুসলিম উম্মার জন্যে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
নামাজ শেষে এমপি বলেন, সমগ্র দেশবাসীকে যেন মহান আল্লাহতালা করোনা মুক্ত করেন আজকের দিনে মহান আল্লাহতালার কাছে এটাই আমার প্রার্থনা। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। পাশাপাশি শোকের মাস আগস্ট শুরু হয়েছে। আজকের দিনে তাদের বিদেহী আত্নার মাগফেরাত কামনা করছি।
এছাড়া সকাল ৭-৮টার মধ্যে, টেংকেরপাড় জামে মসজিদ, জেলা জামিয়া ইউনুছিয়া ইসলামীয়া মাদ্রাসা মসজিদ, পীরবাড়ী দারুল ওলুম ইসলামীয়া মাদ্রাসা মসজিদ, মেড্ডা বাসষ্ট্যান্ড জামে মসজিদ, ভাদুঘর শাহী জামে মসজিদ, শেরপুর জামে মসজিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল জামে মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের নামাজ আদায় শেষে প্রত্যেকেই পশু কোরবানি করেন।ময়মনসিংহ
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ময়মনসিংহে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের নির্দেশনা মেনে সকালে জেলার প্রতিটি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুসল্লিরা জায়নামাজসহ মাস্ক পরে মসজিদে আসেন। ঈদুল আজহার খুতবা শেষে খতিবরা দেশ ও জাতির শান্তি কামনা করেন।
নাটোর
নাটোরে মসজিদে মসজিদে ঈদের জামাত হয়েছে। ইসলামী ফাউন্ডেশনের তথ্যমতে জেলায় এবার তিন হাজারের অধিক মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্রতি মুসল্লিরা নিজ জায়নামাজসহ নামাজে উপস্থিত হলেও অনেকের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি।
সদর উপজেলার ভাটোদাঁড়া জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ছে। মসজিদে মুসল্লিদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। নামাজ পড়ান ইমাম আইউব আলী। নামাজে দেশ, জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হয়। পাশাপাশি করোনা মুক্তি আর বন্যার সমস্যা দূর করতেও দোয়া করা হয়। এসময় বিশ্ব মুসলিম ও মানবতার কল্যাণ কামনায় দোয়া করা হয়।।
জেলার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় শহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে। এখানে সকাল ৭টায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার পর পৌনে ৮টা ও সাড়ে ৮টায় আরও দুটি জামাত হয়।
বগুড়া
বগুড়া শহরের স্টেশন রোডে বায়তুর রহমান সেন্ট্রাল মসজিদে শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে। নামাজে ইমামতি করেন খতিব মাওলানা মুফতি আবদুল কাদের। সোয়া ৮টায় দ্বিতীয় জামায়াতে ইমামতি করেন পেশ ইমাম মাওলানা আবদুল্লাহ।
জেলা ইমাম-মোয়াজ্জিন সমিতির সভাপতি মাওলানা মুফতি আবদুল কাদের জানান, করোনার কারণে এবারও ঈদগাহে নামাজ হয়নি। বগুড়া কেন্দ্রীয় বড় মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় প্রথম ও সোয়া ৮টায় দ্বিতীয় জামায়া হয়েছে। এছাড়া জেলার অন্যান্য মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে আদায় করা হবে।
কিশোরগঞ্জ
করোনার কারণে এবছর সম্পূর্ণ ভিন্ন আবহে কিশোরগঞ্জে ঈদুল আজহার জামাত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ২৭০ বছরের প্রাচীন দেশের সবচেয়ে ঐতিহাসিক শোলাকিয়া মাঠে এ বছর জামাত হয়নি। শুধু শোলাকিয়ায় নয়, জেলার কোনও খোলা জায়গায় বা ঈদগাহে ঈদের জামাতের আয়োজন করা হয়নি।
শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত না হলেও জেলা শহরে ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে প্রধান জামাত হয়েছে। এতে ইমামতি করেন শায়খুল হাদিস মাওলানা শামসুল ইসলাম। শনিবার সকাল ৮টা ও ৯টায় এ মসজিদে দু’টি জামাত হয়। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন।
নামাজে শেষে করোনা দুর্যোগ থেকে মানবজাতিকে উদ্ধারের জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। তাছাড়া মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয় মোনাজাতে।
একইসঙ্গে জেলা শহরের ঐতিহাসিক শহীদি মসজিদে অনুষ্ঠিত ঈদ জামাতেও বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশ নেন। এছাড়াও জেলার সব মসজিদে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামাত হয়। প্রত্যেকটি মসজিদে একাধিক জামাতের আয়োজন করা হয়। শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী বলেন, ঈদের দিন লাখো মানুষ শোলাকিয়ায় নামাজ আদায় করতেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সংক্রমণরোধে শোলাকিয়ার খোলা মাঠে ঈদ উল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি। শুধু মুসুল্লিদের জীবনের ঝুঁকি ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে শোলাকিয়ার ঈদের জামাত বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া জেলার অন্যান্য জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেছেন।