সৌদির সঙ্গে আগামীকাল চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে ঈদ

  • Update Time : ০৩:২৪:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই ২০২০
  • / 168
চাঁদপুর প্রতিনিধিঃ
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের ৪০ গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ আগামীকাল শুক্রবার (৩১ জুলাই) পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন।
.
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জসহ ৪০ গ্রামে এদিন ঈদ উদযাপিত হবে।হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফে সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদের নামাজের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের নামাজে ইমামতি করবেন সাদ্রা দরবার শরিফের পীর মাওলানা আরিফ চৌধুরী। এরপর ভিন্ন ভিন্ন সময়ে আরও কয়েকটি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

১৯২৯ সালে বাংলাদেশে আগাম ঈদের প্রচলন করেন সাদ্রা দরবার শরিফের তৎকালীন পীর মরহুম ইসহাক চৌধুরী। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দীর্ঘ ৯২ বছর ধরে এসব গ্রামে আগাম ঈদ উদযাপিত হয়।

শুক্রবার যেসব গ্রামে ঈদ উদযাপন হবে

হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বেলচো, জাঁকনি, প্রতাপপুর, বলাখাল, মনিহার, গোবিন্দপুর ও দক্ষিণ বলাখাল। ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, সেনাগাঁও, বাসারা উভারামপুর, উটতলী, মুন্সিরহাট, মূলপাড়া, গল্লাক, আইটপাড়া, বদরপুর, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, পাইকপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, কাইতাড়া, নুরপুর, শাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা ও চরদুখিয়া। পাঁচআনি কচুয়া উপজেলার উজানি গ্রাম ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার দশআনি ও মোহনপুর গ্রাম। একই সঙ্গে শাহরাস্তি উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে শুক্রবার ঈদুল আজহা উদযাপন করা হবে।

সাদ্রা দরবার শরিফের বর্তমান গদিনশীন পীরজাদা মাওলানা আবু জাহের আরিফ চৌধুরী বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সময়ের ব্যবধান মাত্র ছয় ঘণ্টা। ছয় ঘণ্টা ব্যবধানের জন্য রোজা ও ঈদ পালনে বাংলাদেশে একদিন অথবা দুদিন ব্যবধান হতে পারে না। তাই একসঙ্গে ঈদ করাই উত্তম।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


সৌদির সঙ্গে আগামীকাল চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে ঈদ

Update Time : ০৩:২৪:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই ২০২০
চাঁদপুর প্রতিনিধিঃ
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের ৪০ গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ আগামীকাল শুক্রবার (৩১ জুলাই) পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন।
.
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জসহ ৪০ গ্রামে এদিন ঈদ উদযাপিত হবে।হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফে সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদের নামাজের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের নামাজে ইমামতি করবেন সাদ্রা দরবার শরিফের পীর মাওলানা আরিফ চৌধুরী। এরপর ভিন্ন ভিন্ন সময়ে আরও কয়েকটি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

১৯২৯ সালে বাংলাদেশে আগাম ঈদের প্রচলন করেন সাদ্রা দরবার শরিফের তৎকালীন পীর মরহুম ইসহাক চৌধুরী। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দীর্ঘ ৯২ বছর ধরে এসব গ্রামে আগাম ঈদ উদযাপিত হয়।

শুক্রবার যেসব গ্রামে ঈদ উদযাপন হবে

হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বেলচো, জাঁকনি, প্রতাপপুর, বলাখাল, মনিহার, গোবিন্দপুর ও দক্ষিণ বলাখাল। ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, সেনাগাঁও, বাসারা উভারামপুর, উটতলী, মুন্সিরহাট, মূলপাড়া, গল্লাক, আইটপাড়া, বদরপুর, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, পাইকপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, কাইতাড়া, নুরপুর, শাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা ও চরদুখিয়া। পাঁচআনি কচুয়া উপজেলার উজানি গ্রাম ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার দশআনি ও মোহনপুর গ্রাম। একই সঙ্গে শাহরাস্তি উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে শুক্রবার ঈদুল আজহা উদযাপন করা হবে।

সাদ্রা দরবার শরিফের বর্তমান গদিনশীন পীরজাদা মাওলানা আবু জাহের আরিফ চৌধুরী বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সময়ের ব্যবধান মাত্র ছয় ঘণ্টা। ছয় ঘণ্টা ব্যবধানের জন্য রোজা ও ঈদ পালনে বাংলাদেশে একদিন অথবা দুদিন ব্যবধান হতে পারে না। তাই একসঙ্গে ঈদ করাই উত্তম।