ঈদ নেই রাজবাড়ীর বানভাসি জনগণের

  • Update Time : ০৫:২৪:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুলাই ২০২০
  • / 236
মোঃ ইসতিয়াক হোসেন সোয়েব:
ঈদ মানে আনন্দ,ঈদ মানে খুশি।মুসলিম উম্মাহর প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ।প্রতিবছর অনেক আনন্দ নিয়ে আসে ঈদ।ঈদের আগের সপ্তাহ থেকেই সকলের মদ্ধে লক্ষ্য করা যায় ঈদের উচ্ছ্বাস। কিন্তু পুরো দেশবাসী যখন ঈদের আনন্দ উপভোগ করার জন্য তৈরি হচ্ছে ঠিক তখনই দেশের কয়েক অঞ্চলে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা।এসব অঞ্চলের বানভাসি জনগণ দিন কাটাচ্ছে পানি বন্দি অবস্থায়।তেমনি পদ্মাকন্যা খ্যাত রাজবাড়ী জেলাতেও দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা।এতে বন্যা কবলিত অঞ্চলের সাধারণ জনগণের মদ্ধে দেখা দিয়েছে দুর্ভোগ।ফলে সকলের ঈদ থাকলেও তাদের ঈদ নেই।
.
নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ।ভৌগলিক অবস্থানের কারণে নদীমাতৃক এ দেশটিকে প্রতিবছরই ভয়াবহ সব প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হতে হয়।বন্যা, জ্বলোচ্ছ্বাস,ঘূর্ণিঝড় একের পর একটা দুর্যোগ লেগেই থাকে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা দেয় ভয়াবহ বন্যা।তেমনি এবারও দেশের উওর,উত্তর পূর্ব এবং মধ্যাঞ্চলে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা।পদ্মাকন্যা রাজবাড়ীতেও নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা।এতে রাজবাড়ী জেলা সদর সহ গোয়ালন্দ,পাংশা,কালুখালি উপজেলার প্রায় ৬০হাজার মানুষ দিন কাটাচ্ছে পানিবন্দি অবস্থায়।অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে আশ্রয় নিয়েছে রাস্তার উপরে।পানিবন্দি অবস্থায়  অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে।
.
এ ছাড়া  বন্যার পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নদীর স্রোত।এতে নদীর পাড়ের সাধারণ জনগণের মদ্ধে দেখা দিয়েছে ভাঙণ আতঙ্ক।গতবছর নদী ভাঙনে রাজবাড়ী জেলার অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়।নদীতে বিলীন হয়ে যায় কৃষকের ফসলি জমি,বসতভিটা ইত্যাদি।এছাড়া মাথার উপর কোভিড-১৯ বা করোনার প্রকোপ তো রয়েছেই।ইতোমদ্ধে রাজবাড়ী জেলায় কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে।কোভিড-১৯ প্রকোপে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ধস নেমেছে।কোভিড-১৯  প্রকোপের কারণে জেলার মদ্ধে অনেকের কাজ বন্ধ, অনেকেই বেকার।এছাড়া জেলার বেশিরভাগ মানুষের কাজ থাকলেও তেমন আয় নেই।এমন অবস্থায় বন্যা পরিস্থিতি তাদের দুর্ভোগ আরও কয়েকগুন বাড়িয়ে দিয়েছে।
.
এ ছাড়া বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি এবং খাবার সংকট।এছাড়া বন্যায় নষ্ট হয়ে গেছে কৃষকের ফসলি জমি,মাছের ঘেড় ইত্যাদি।এই মুহূর্তে এসব অঞ্চলের সাধারণ জনগণের দরকার জরুরি ভিত্তিতে সহযোগিতা। ঈদের আগে বন্যা পরিস্থিতি ঠিক হবার কোনো সম্ভাবনা নেই। ফলে এসব অঞ্চলের জনগণদেরকে ঈদ পানি বন্দী অবস্থাতেই কাটাতে হবে।এমন অবস্থায় সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ ঈদ উৎযাপন করলেও ঈদ নেই  রাজবাড়ীর বানভাসি  সাধারণ জনগণের।
 .
লেখক: শিক্ষার্থী,আন্তজার্তিক সম্পর্ক বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
.
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ঈদ নেই রাজবাড়ীর বানভাসি জনগণের

Update Time : ০৫:২৪:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুলাই ২০২০
মোঃ ইসতিয়াক হোসেন সোয়েব:
ঈদ মানে আনন্দ,ঈদ মানে খুশি।মুসলিম উম্মাহর প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ।প্রতিবছর অনেক আনন্দ নিয়ে আসে ঈদ।ঈদের আগের সপ্তাহ থেকেই সকলের মদ্ধে লক্ষ্য করা যায় ঈদের উচ্ছ্বাস। কিন্তু পুরো দেশবাসী যখন ঈদের আনন্দ উপভোগ করার জন্য তৈরি হচ্ছে ঠিক তখনই দেশের কয়েক অঞ্চলে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা।এসব অঞ্চলের বানভাসি জনগণ দিন কাটাচ্ছে পানি বন্দি অবস্থায়।তেমনি পদ্মাকন্যা খ্যাত রাজবাড়ী জেলাতেও দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা।এতে বন্যা কবলিত অঞ্চলের সাধারণ জনগণের মদ্ধে দেখা দিয়েছে দুর্ভোগ।ফলে সকলের ঈদ থাকলেও তাদের ঈদ নেই।
.
নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ।ভৌগলিক অবস্থানের কারণে নদীমাতৃক এ দেশটিকে প্রতিবছরই ভয়াবহ সব প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হতে হয়।বন্যা, জ্বলোচ্ছ্বাস,ঘূর্ণিঝড় একের পর একটা দুর্যোগ লেগেই থাকে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা দেয় ভয়াবহ বন্যা।তেমনি এবারও দেশের উওর,উত্তর পূর্ব এবং মধ্যাঞ্চলে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা।পদ্মাকন্যা রাজবাড়ীতেও নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা।এতে রাজবাড়ী জেলা সদর সহ গোয়ালন্দ,পাংশা,কালুখালি উপজেলার প্রায় ৬০হাজার মানুষ দিন কাটাচ্ছে পানিবন্দি অবস্থায়।অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে আশ্রয় নিয়েছে রাস্তার উপরে।পানিবন্দি অবস্থায়  অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে।
.
এ ছাড়া  বন্যার পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নদীর স্রোত।এতে নদীর পাড়ের সাধারণ জনগণের মদ্ধে দেখা দিয়েছে ভাঙণ আতঙ্ক।গতবছর নদী ভাঙনে রাজবাড়ী জেলার অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়।নদীতে বিলীন হয়ে যায় কৃষকের ফসলি জমি,বসতভিটা ইত্যাদি।এছাড়া মাথার উপর কোভিড-১৯ বা করোনার প্রকোপ তো রয়েছেই।ইতোমদ্ধে রাজবাড়ী জেলায় কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে।কোভিড-১৯ প্রকোপে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ধস নেমেছে।কোভিড-১৯  প্রকোপের কারণে জেলার মদ্ধে অনেকের কাজ বন্ধ, অনেকেই বেকার।এছাড়া জেলার বেশিরভাগ মানুষের কাজ থাকলেও তেমন আয় নেই।এমন অবস্থায় বন্যা পরিস্থিতি তাদের দুর্ভোগ আরও কয়েকগুন বাড়িয়ে দিয়েছে।
.
এ ছাড়া বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি এবং খাবার সংকট।এছাড়া বন্যায় নষ্ট হয়ে গেছে কৃষকের ফসলি জমি,মাছের ঘেড় ইত্যাদি।এই মুহূর্তে এসব অঞ্চলের সাধারণ জনগণের দরকার জরুরি ভিত্তিতে সহযোগিতা। ঈদের আগে বন্যা পরিস্থিতি ঠিক হবার কোনো সম্ভাবনা নেই। ফলে এসব অঞ্চলের জনগণদেরকে ঈদ পানি বন্দী অবস্থাতেই কাটাতে হবে।এমন অবস্থায় সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ ঈদ উৎযাপন করলেও ঈদ নেই  রাজবাড়ীর বানভাসি  সাধারণ জনগণের।
 .
লেখক: শিক্ষার্থী,আন্তজার্তিক সম্পর্ক বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
.