সাহেদকে ডিবিতে হস্তান্তর
- Update Time : ১১:১৮:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জুলাই ২০২০
- / 145
বুধবার (১৫ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় র্যাব হেডকোয়ার্টারে নানা প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার সাহেদ করিমের বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনের পর বিকেলে গ্রেফতার সাহেদকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়।
র্যাব ডিজি বলেন, প্রতারণার অভিযোগে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমসহ প্রতিষ্ঠানের ১৭ জনের বিরুদ্ধে র্যাব বাদী হয়ে যে মামলাটি দায়ের হয়েছিল, সেটি বর্তমানে ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করছে। আমরা গ্রেফতার সাহেদ করিমকে সেখানেই হস্তান্তর করব।
তিনি বলেন, সাহেদ করিমের উত্তরার অপর একটি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে এক লাখ ৪৬ হাজার টাকার জালনোট উদ্ধার করেছে র্যাব। এছাড়া সাহেদ বালু ব্যবসায়ী, পাথর ব্যবসায়ী ও রিকশা চালকদের ভুয়া লাইসেন্স দিয়েও প্রতারণা করে আসছিলেন। সাহেদ দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে সুকৌশলে ছবি তুলে বিভিন্ন প্রতারণার কাজে ব্যবহার করতেন।
বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় ১১ নম্বর সেক্টরের ২০ নম্বর রোডের ৬২ নম্বর বাসায় গ্রেফতার সাহেদ করিম ও রিজেন্টের এমডি মাসুদ পারভেজ গাজীকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে এই জালনোট উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার সাহেদ নিজেকে সুশীল ও ক্লিন ইমেজের ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করলেও প্রকৃতপক্ষে তিনি চতুর, ধুরন্ধর লোক। সাহেদ এমএলএম কোম্পানির নামে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তার নামে দেশের বিভিন্ন থানায় অনেক মামলা রয়েছে। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখছি তার বিরুদ্ধে অর্ধশত মামলা থাকার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। সেগুলো যাচাই বাছাই করে দেখছি।
তিনি বলেন, সম্প্রতি গ্রেফতার সাহেদ রিজেন্ট হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার নামে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
গ্রেফতার সাহেদ পলাতক ছিলেন নয়দিন। এসময় তিনি কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জাবাবে র্যাব ডিজি বলেন, সাহেদের বিরুদ্ধে যে পরিমাণে প্রতারণার মামলা রয়েছে, তা থেকে বোঝা যায় তিনি কী ধরণের প্রতারক। তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থান পরিবর্তন করেছেন। আমরাও তাকে ফলো করেছি। ফলো করতে পেরেছি বলেই আমরা আজ সফল হয়েছি।
তিনি বলেন, গ্রেফতার এড়াতে সাহেদ বিভিন্ন সময় ঢাকা ছেড়েছেন এবং আবার ঢাকায় এসেছেন। এক্ষেত্রে তিনি নিজের ব্যক্তিগত গাড়ি, পাবলিক পরিবহন এমনকি ট্রাকে করেও বিভিন্ন স্থানে গিয়েছেন। তিনি একেক সময় একেক ধরনের যানবাহন ব্যবহার করেছেন। সর্বশেষ সাতক্ষীরা সীমান্ত এলাকায় নৌকা দিয়ে পার হওয়ার সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়।