রিজেন্ট গ্রুপের এমডি মাসুদ পারভেজের তথ্যের ভিত্তিতেই সাহেদের অবস্থান জেনে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে অনেকবারই সে বিভিন্ন উপায়ে ঢাকায় এসেছে এবং ঢাকা ছেড়ে গেছে। গ্রেপ্তারের আগে কুমিল্লা, কক্সবাজার অঞ্চলেও তার উপস্থিতির তথ্য পাওয়া গেছে।
বুধবার, সাহেদকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব সদরদপ্তরে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং এসব তথ্য জানান র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
র্যাব মহাপরিচালক জানান, গ্রেপ্তার হওয়া এমডির কাছ থেকে সাহেদের পালানোর সম্ভাব্য ধারণা পাওয়া গিয়েছিলো, সেই অনুযায়ী ও আমাদের গোয়েন্দা তথ্যে অভিযান পরিচালিত হয়েছে বেশ কয়েকটি। গ্রেপ্তার এড়াতে সাহেদ ঢাকাসহ একেক দিন একেক জায়গায় আত্মগোপনে ছিলো। বিভিন্ন স্থান পরিবর্তনের সাথে সাথে আমরাও ফলো করেছি তাকে। এর মাঝে ঢাকাও এসেছেন কয়েকবার। একেক সময় একেক বাহন ব্যবহার করেছেন, ব্যাক্তিগত, অন্য ট্রান্সপোর্ট, ট্রাক, পায়ে হেঁটে সে তার অবস্থান পরিবর্তন করেছিল।
তিনি আরও জানান, ঢাকায় আনার পর উত্তরায় তার তথ্যে জাল টাকা উদ্ধার করা হয়। আজই তাকে ডিএমপির তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে, বুধবার ভোররাতে সাতক্ষীরার দেবহাটা থানার সাকড়া বাজার এলাকার নবপতি ৩৩ বিজিবির পাশের সীমান্ত থেকে অস্ত্রসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাহেদ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিলো। আজ বুধবার ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভোর ৫টা থেকে সাড়ে ৫টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নদী পেরিয়ে সাহেদ ভারতে পালিয়ে যাবার চেষ্টায় গত কয়েকদিন ধরে সাতক্ষীরাতে অবস্থান করছিলেন।
র্যাব জানায়, যেন কেউ চিনতে না পারে সেজন্য বোরকা পরে নৌকায় করে নদী পার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন সাহেদ। তবে র্যাবের নজরদারির কারণে এমন কিছু করতে পারেননি তিনি। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ সকাল নটার দিকে র্যাবের হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় আনা হয়। এসময় র্যাব কর্মকর্তারা জানান, গোঁফ কেটে চেহারা পালটিয়ে পাগলের বেশ নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন সাহেদ।
করোনা আক্রান্ত রোগীদের সাথে প্রতারণা সহ নানা অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযানের পর থেকেই পলাতক ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. সাহেদ। তাকে ধরতে গত কয়েকদিন ধরেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অনুসন্ধান চালায় র্যাব।
৬-ই জুলাই, সোমবার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে হাসপাতাল দুটিকে সিলগালা করে দেয় র্যাব। এ ঘটনায় ১৭ জনকে আসামী করে করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। বর্তমানে মামলাটি ঢাকা মহানগর উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।