করোনা নিয়ে রাজনীতি ও ভবিষ্যৎ পরিণাম

  • Update Time : ১২:০০:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই ২০২০
  • / 254

 

নাফিসা সাদিক নাহিন:

কভিড-১৯ বা নোভেল করোনা ভাইরাস এর কবলে আজ গোটা বিশ্ব বিপর্যস্ত। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে মহামারী আকার ধারণ করেছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান নগরীতে প্রথম করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। ২০২০ সালের ১১ই মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে মহামারী বলে স্বীকৃতি দেয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২টি বৃহৎ সদস্য রাষ্ট্র হলো- চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। ডব্লিউএইচও এর অর্থ তহবিলের একটি বড় যোগানদাতা দেশ হল যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি প্রতি বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ প্রদান করে, অন্যদিকে চীন প্রদান করে ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে সদস্য পদ বাতিল করার ঘোষণা দেন।

করোনা মহামারী কে কেন্দ্র করে ডব্লিউএইচও এর কার্যক্রম কে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন ট্রাম্প। তিনি দাবি করেন করোনা মোকাবেলায় সঠিক পরামর্শ দিতে ব্যর্থ হয়েছে সংস্থাটি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার বদলে ভুল-ভ্রান্তি মূলক তথ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও গোটা বিশ্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে । মার্কিন প্রশাসনের এক উর্ধ্বতন কর্মকতা জানান-“সংস্কারে ব্যর্থ হওয়ায় সংস্থাটি ত্যাগ করছে যুক্তরাষ্ট্র।”

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে চীন কেন্দ্রিক বলে দাবি করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। বর্তমানে চীন নাকি সংস্থাটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে।গত ১৪ এপ্রিল হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে ‘চীন কেন্দ্রিক’ বলে আখ্যা দেন ট্রাম্প। ১৪ মে ট্রাম্প ডব্লিউএইচও কে তহবিল প্রদান বন্ধ করেন এবং ৭ জুলাই সংস্থা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।

চীনের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগটি অস্বীকার করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আদহানম। করোনা নিয়ে রাজনীতি না করে দু’দেশকে একসঙ্গে মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই এর আহ্বান করেন আদহানম। ডব্লিউএইচও থেকে বেরিয়ে আসার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের অনেক গবেষক ও বিশ্লেষকরা ভালো চোখে দেখছেন না।প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তকে তারা সমর্থন করেন নি।তারা মনে করেন ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্ত মহামারীতে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন-“এই মুহূর্তে মহামারী মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক নেতৃত্ব ও সমন্বয় প্রয়োজন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সরিয়ে দিলে, কোনো বৈশ্বিক সমন্বয় ও নেতৃত্ব ছাড়া এই মহামারী আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।” বৈশ্বিক অসমন্বয় ও নেতৃত্বহীনতা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জন্য এই মুহুর্তে বিপজ্জনক। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস মার্কিন প্রেসিডেন্টের অর্থায়ন বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় বলেন,”এখন ডব্লিউএইচও এর অর্থায়ন কমানোর সঠিক সময় নয়,মহামারিতে এমন সিদ্ধান্ত ভয়াবহ মোড় নিতে পারে”।

করোনা রাজনীতি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জাও লিজিয়ান বলেন,”চীনের উহান শহরে নয়,করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি যুক্তরাষ্ট্রে হয়ে থাকতে পারে”। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অবশ্য চীনের উহান নগরীকেই করোনার উৎপত্তি স্থল বলে চিহ্নিত করে।করোনা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভুল কার্যক্রমের জন্য ট্রাম্প এমন সিদ্ধান্ত নিলেন নাকি চীনের প্রতি প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে ট্রাম্প এর এহেন সিদ্ধান্ত তা পরিষ্কার নয়।যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন(এফবিআই) দাবী করে-“চীন সরকারের গুপ্তচরবৃত্তি ও চুরি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় আকারের দীর্ঘমেয়াদী হুমকি।”

চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও কূটনৈতিক টানাপোড়েন থেকেও করোনা রাজনীতির জন্ম হতে পারে। মহামারি তে করোনা নিয়ে দুই দেশের এমন রাজনীতির প্রভাব কতটা ভয়াবহ হবে তা নিয়ে চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা।যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও বিষয়টি ভালো হবে না। কারণ সদস্যপদ বাতিলের সাথে সাথে ডব্লিউএইচওর সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে দেশটি। সম্প্রতি ইউনেস্কো থেকে সদস্যপদ বাতিল ও গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক চুক্তি গুলো থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে এককেন্দ্রিক ও বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসা, জাতিসংঘ থেকেও নিজেকে সরিয়ে নেয়ার আলামত কিনা তা ভাববার বিষয়।অবশ্য চীন এর মতো সুযোগ সন্ধানী ও কৌশলি রাষ্ট্র এটিকে বড় সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করতে পারে।শুধু তাই নয়, করোনা রাজনীতি স্বয়ং যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে।যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধী দলীয় নেতা অর্থাৎ ডেমক্রেটিক দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে আসার বিষয়টি ভালো চোখে দেখছেন না।

তিনি নির্বাচনে জিতলে পুনরায় ডব্লিউএইচও এর সাথে যুক্তরাষ্ট্র কে যুক্ত করবেন বলে ঘোষণা দেন।করোনা রাজনীতির ফলাফল কোনদিকে মোড় নিবে তা অজানা। মহামারিকালীন এবং পরবর্তীতে এর কতোটা প্রভাব পড়বে তা এখন শুধু দেখার অপেক্ষায়।

লেখক: শিক্ষার্থী,রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


করোনা নিয়ে রাজনীতি ও ভবিষ্যৎ পরিণাম

Update Time : ১২:০০:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই ২০২০

 

নাফিসা সাদিক নাহিন:

কভিড-১৯ বা নোভেল করোনা ভাইরাস এর কবলে আজ গোটা বিশ্ব বিপর্যস্ত। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে মহামারী আকার ধারণ করেছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান নগরীতে প্রথম করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। ২০২০ সালের ১১ই মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে মহামারী বলে স্বীকৃতি দেয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২টি বৃহৎ সদস্য রাষ্ট্র হলো- চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। ডব্লিউএইচও এর অর্থ তহবিলের একটি বড় যোগানদাতা দেশ হল যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি প্রতি বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ প্রদান করে, অন্যদিকে চীন প্রদান করে ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে সদস্য পদ বাতিল করার ঘোষণা দেন।

করোনা মহামারী কে কেন্দ্র করে ডব্লিউএইচও এর কার্যক্রম কে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন ট্রাম্প। তিনি দাবি করেন করোনা মোকাবেলায় সঠিক পরামর্শ দিতে ব্যর্থ হয়েছে সংস্থাটি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার বদলে ভুল-ভ্রান্তি মূলক তথ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও গোটা বিশ্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে । মার্কিন প্রশাসনের এক উর্ধ্বতন কর্মকতা জানান-“সংস্কারে ব্যর্থ হওয়ায় সংস্থাটি ত্যাগ করছে যুক্তরাষ্ট্র।”

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে চীন কেন্দ্রিক বলে দাবি করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। বর্তমানে চীন নাকি সংস্থাটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে।গত ১৪ এপ্রিল হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে ‘চীন কেন্দ্রিক’ বলে আখ্যা দেন ট্রাম্প। ১৪ মে ট্রাম্প ডব্লিউএইচও কে তহবিল প্রদান বন্ধ করেন এবং ৭ জুলাই সংস্থা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।

চীনের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগটি অস্বীকার করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আদহানম। করোনা নিয়ে রাজনীতি না করে দু’দেশকে একসঙ্গে মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই এর আহ্বান করেন আদহানম। ডব্লিউএইচও থেকে বেরিয়ে আসার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের অনেক গবেষক ও বিশ্লেষকরা ভালো চোখে দেখছেন না।প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তকে তারা সমর্থন করেন নি।তারা মনে করেন ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্ত মহামারীতে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন-“এই মুহূর্তে মহামারী মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক নেতৃত্ব ও সমন্বয় প্রয়োজন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সরিয়ে দিলে, কোনো বৈশ্বিক সমন্বয় ও নেতৃত্ব ছাড়া এই মহামারী আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।” বৈশ্বিক অসমন্বয় ও নেতৃত্বহীনতা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জন্য এই মুহুর্তে বিপজ্জনক। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস মার্কিন প্রেসিডেন্টের অর্থায়ন বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় বলেন,”এখন ডব্লিউএইচও এর অর্থায়ন কমানোর সঠিক সময় নয়,মহামারিতে এমন সিদ্ধান্ত ভয়াবহ মোড় নিতে পারে”।

করোনা রাজনীতি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জাও লিজিয়ান বলেন,”চীনের উহান শহরে নয়,করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি যুক্তরাষ্ট্রে হয়ে থাকতে পারে”। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অবশ্য চীনের উহান নগরীকেই করোনার উৎপত্তি স্থল বলে চিহ্নিত করে।করোনা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভুল কার্যক্রমের জন্য ট্রাম্প এমন সিদ্ধান্ত নিলেন নাকি চীনের প্রতি প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে ট্রাম্প এর এহেন সিদ্ধান্ত তা পরিষ্কার নয়।যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন(এফবিআই) দাবী করে-“চীন সরকারের গুপ্তচরবৃত্তি ও চুরি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় আকারের দীর্ঘমেয়াদী হুমকি।”

চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও কূটনৈতিক টানাপোড়েন থেকেও করোনা রাজনীতির জন্ম হতে পারে। মহামারি তে করোনা নিয়ে দুই দেশের এমন রাজনীতির প্রভাব কতটা ভয়াবহ হবে তা নিয়ে চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা।যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও বিষয়টি ভালো হবে না। কারণ সদস্যপদ বাতিলের সাথে সাথে ডব্লিউএইচওর সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে দেশটি। সম্প্রতি ইউনেস্কো থেকে সদস্যপদ বাতিল ও গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক চুক্তি গুলো থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে এককেন্দ্রিক ও বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসা, জাতিসংঘ থেকেও নিজেকে সরিয়ে নেয়ার আলামত কিনা তা ভাববার বিষয়।অবশ্য চীন এর মতো সুযোগ সন্ধানী ও কৌশলি রাষ্ট্র এটিকে বড় সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করতে পারে।শুধু তাই নয়, করোনা রাজনীতি স্বয়ং যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে।যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধী দলীয় নেতা অর্থাৎ ডেমক্রেটিক দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে আসার বিষয়টি ভালো চোখে দেখছেন না।

তিনি নির্বাচনে জিতলে পুনরায় ডব্লিউএইচও এর সাথে যুক্তরাষ্ট্র কে যুক্ত করবেন বলে ঘোষণা দেন।করোনা রাজনীতির ফলাফল কোনদিকে মোড় নিবে তা অজানা। মহামারিকালীন এবং পরবর্তীতে এর কতোটা প্রভাব পড়বে তা এখন শুধু দেখার অপেক্ষায়।

লেখক: শিক্ষার্থী,রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।