সম্প্রতি লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীনের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত ১৫ জুন দুদেশের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের সেনাবাহিনীতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। উভয়পক্ষ সীমান্তে তাদের সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে, যা নতুন করে সংঘর্ষের আশংকা তৈরি করছে।
সংঘাতের কারণে বাংলাদেশ নীতি পরিবর্তন করেনি ভারত-চীন
- Update Time : ১১:২৯:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুলাই ২০২০
- / 147
বড় আকারে বিরোধ শুরু হলে এবং বাংলাদেশের ওপর চাপ এলে কি করা উচিৎ—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যে চাপই আসুক আমাদের সহ্য করতে হবে। এটি এমন একটি সংঘাত যেখানে আমাদের কোনও পক্ষ নেওয়া চলবে না। দুটি দেশই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দুটি দেশই পৃথিবীতে শক্তিশালী। কোনও অবস্থায় আমাদের পক্ষ অবলম্বন করা চলবে না। এখানে ভারসাম্য রক্ষা করেই চলতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল নীতি ধরে রাখতে হবে। প্রতিবেশীদের মধ্যে একটা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। হয়তো একটা গুলিও চলবে না কিন্তু সেনা সমাবেশ হচ্ছে। এর সঙ্গে পাকিস্তান সীমান্তে যদি একটি ঝামেলা হয় তবে এটি দ্বিপক্ষীয় না থেকে আঞ্চলিক বিরোধে রূপ নিতে পারে। তবে এর মানে এই নয় যে আমাদের এর মধ্যে জড়িত হতে হবে। আমাদের মূল নীতি হলো আলোচনা ও সংলাপের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি। এর পক্ষে শক্তভাবে অবস্থান নিতে হবে আমাদের।’
কেন এই বিরোধ—এমন প্রশ্নে এম তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এটা বলা মুশকিল কারণ। বিষয়টি অত্যন্ত জটিল। চীনের শীর্ষ নেতৃত্বে দ্বন্দ্ব আছে। কারণ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ক্ষমতা সুসংহত করতে চান, অনেকেই এর বিরোধিতা করছেন। হয়তো এই সমস্যার মাধ্যমে তারা মনোযোগ অন্যদিকে সরাতে চায়। আবার চীন যেহেতু চাপিয়ে দিয়েছে তাই ভারতের জন্য এর জবাব দেওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের এক সাবেক রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ভারত চায় আমরা তাদের সঙ্গে সবসময় থাকবো। চীনের দিকে বেশি ঝুঁকে যাওয়া তারা পছন্দ করবে না। আবার চীনও চাইবে আমাদের সঙ্গে আরও বেশি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রক্ষা করতে। আমরা ভারতের দ্বারা বেশি প্রভাবিত হই এটাও তারা চাইবে না। ভারসাম্যটা কোথায় হবে সে বিষয়ে সবদিক বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন।’
চীন ও ভারত তাদের নীতি পরিবর্তন করেনি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ওই নীতিটা হচ্ছে বাংলাদেশকে কিছুটা প্রভাবিত করা। কে কতদূর প্রভাবিত করতে চাইছে সেটাই দেখার বিষয়।’ পর্দার অন্তরালে এক রকম এবং প্রকাশ্যে আরেক রকম আলোচনা হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে তারা কোনও সমর্থন চায়নি। এখন পর্যন্ত বিরোধটি দ্বিপক্ষীয় স্তরেই আছে।’
Tag :
Please Share This Post in Your Social Media
- সর্বশেষ
- পাঠক প্রিয়