বিশ্বে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো একদিনে দুই লাখের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ২ লাখ ৯ হাজার ২৮ জন।
শনিবার ইংল্যান্ডের সেলুনগুলো খুলে দেয়ার পর দেখা গেছে চুল কাটানোর জন্য দির্ঘ লাইন।সাধারণ মানুষ জানায়, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে তারা খুশি।
কেবল সেলুন নয়, খুলে দেয়া হয়েছে পাব রেস্তোরা ও সিনেমাহলগুলো। দরজা খুলেছে লাইব্রেরি, কমিউনিটি সেন্টার, যাদুঘর, থিম পার্কসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলোর। সর্বোচ্চ ৩০ জন সমবেত হওয়ার শর্তে আয়োজন করা যাবে বিয়ের অনুষ্ঠানও। উপাসনালয়গুলোতে সামাজিক দূরত্ব মেনে করতে পারবেন প্রার্থনা। তবে, সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণের অনুরোধ জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
এদিকে, কাতালোনিয়ায় স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ বাড়ায়, লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে দুইলাখ মানুষকে। সংকমণ বাড়ায় লকডাউন করা হয়ে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের ৯টি টাওয়ার বন্ধ রাখা হয়েছে।
টানা তৃতীয় দিন, যুক্তরাষ্ট্রে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫০ হাজারেরও বেশি। শুক্রবার সর্বোচ্চ ৫৭ হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। ৩৭টি রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়ায়, মিয়ামি ও লসএঞ্জেলস তাদের সৈকত বন্ধ ঘোষণা করেছে।
করোনা শনাক্ত ১৫ লাখ ছাড়ানো ব্রাজিলে কোভিড-১৯ এ মৃত্যু ৬২ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। রোগী সংখ্যায় শুক্রবার ইতালিকে টপকে গেছে মেক্সিকো। পেরু, চিলিতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কয়েকদিনের মধ্যেই ৩ লাখ ছাড়াতে যাচ্ছে।
দুই মাস পর জাপানে দৈনিক সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে দুইশরও বেশি। অকারণে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে জনগণকে সতর্ক করেছে টোকিও গভর্নর।
লকডাউন শিথিলের পর থেকে ভারতেও নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। দেশটিতে শুক্রবার থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ২২ হাজারেরও বেশি মানুষের দেহে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। সংক্রমণ বাড়তে থাকায় আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের নিষেধাজ্ঞা ৩১শে জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়েছে দেশটি।
গত ডিসেম্বরে চীন থেকে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে কোভিড নাইন্টিন। মাত্র ছয় মাসে এতে প্রাণ হারায় পাঁচ লাখের বেশি মানুষ। আর আক্রান্ত হয়েছে এক কোটি ১২ লাখের বেশি। এরমধ্যে ১১ লাখ আক্রান্ত হয়েছে মাত্র ছয়দিনে।