একজন মানবিক ইউএনও সাজিয়া তাহের
- Update Time : ০৫:০৮:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০২০
- / 132
কমল পাটোয়ারি,ছাগলনাইয়া প্রতিনিধিঃ
করোনা কালীন সময়েও ছুটে বেড়াচ্ছেন রাস্তা- ঘাট ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম ধরতে। কি গরম আর কি বর্ষা। মাঠ-ঘাট সব এক করে ফেলেছে তার কর্মজজ্ঞ দিয়ে। করোনা কালীন সময়ে সরকারের পাশাপাশি নিজ অর্থায়নে ত্রাণ ও আর্থিক সহায়তা নিয়ে দাড়িয়েছেন অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের পাশে।
মঙ্গলবার (৩০ জুন) সকালে ফেনী ছাগলনাইয়া পৌরসভার দক্ষিণ সতর গ্রামের দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হওয়া শিশু শিক্ষার্থী মোঃ শাহরিয়ার ইসলাম ফয়সালের (১৩) বর্তমান অবস্থার একটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তুলেধরেন স্থানীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম চৌধুরী।
“সাহায্যের আবেদন” শিরোনামে পোস্ট করা ভিডিওটি ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া তাহের’র নজরে পড়ার সাথে সাথেই তিনি নিউজ সংগ্রকারী সাংবাদিকের সাথে যোগাযোগ করে ছেলেটির চিকিৎসার জন্য কত টাকা প্রয়োজন জিজ্ঞেস করেন এবং তিনি ছেলেটির বাড়ীতে গিয়ে দেখে আসবেন বলে জানান।
বিকেল সাড়ে তিনটায় মানবিক ইউএনও সাজিয়া তাহের সেই ছেলের বাড়ীতে গিয়ে উপস্থিত হন এবং তাত্ক্ষণিক নগদ ১০ হাজার টাকা প্রদান করেন। এছাড়াও তাদের জন্য কিছু খাদ্য সামগ্রী পৌছাবেন ও উন্নত চিকিৎসার বিষয়ে সহায়তা করবেন বলেও জানান। একজন ইউএনও ছেলের অসুস্থতার খবর পেয়ে বাড়ীতে আসাতে আবেগে আপ্লুত হয় শিশু ফয়সালের মা রুজিনা বেগম। ইউএনওর এমন মানবিকতায় ধন্যবাদ জানায় শিশুটির মা রুজিনা বেগম।
উল্লেখ্য, শিশু শাহরিয়ার ইসলাম ফয়সাল ছাগলনাইয়া পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ সতর হাকিল আলী ফকির বাড়ীর ওমান প্রবাসী মোঃ সেলিম ও রুজিনা আক্তারের মেঝ ছেলে। ফয়সালের মা জানান, জন্মের পর থেকেই ফয়সালের শরীরে এক্সিমার লক্ষন দেখাদেয়। শরীর বিভিন্ন স্থানের এক্সিমা ছড়িয়ে পড়লেও মাথার অংশ ছাড়া অন্য স্থানের এ রোগ নিরাময় হয়।
গত দুই মাস আগে সমস্ত মাথার চুলে জড় বেধে যায়। এক পর্যায়ে মাথার মধ্যখানে একটি চিদ্র হয়েযায় এবং ভেতর পোকা দেখাযায়। মাথার ভেতরে পোকা চলাচল করাতে মানবেতর জীবনযাপন করছে ফয়সাল। মাথার চিদ্রে পোকার চলাচলে অনেক সময় রক্তাক্ত হয়েযায় শোয়ার বিচানা। বর্তমানে বৈশ্বিক মহামারী করোনা পরিস্থিতির কারনে ফয়সালকে ভালো ডাক্তার কিংবা উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদানও সম্ভব হচ্ছেনা। তবে, স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে মাঝে মাঝে ড্রেসিং করানো হচ্ছে।
ড্রেসিং করার সময় মাথার চিদ্র থেকে ১৫/২০ টি করে পোকাও বের হচ্ছে বলে জানান ফয়সালের মা। অন্যদিকে করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ফয়সালের প্রবাসী বাবা মোঃ সেলিম ছেলের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী টাকা পাঠাতে পারছেননা। মির্জার বাজার ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে পড়ুয়া মেধাবী ছাত্র ফয়সালের চিকিৎসার জন্য টাকা জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে তার পরিবার।
প্রবাসে থেকেও বাবা ছেলের চিকিৎসা খরব কিংবা পারিবারিক দৈনন্দিন খরচের টাকা পাঠাতে নাপেরে অসহায় হয়ে পড়েছেন। অন্যদিকে পাশে থেকেও টাকার অভাবে ছেলের উন্নত চিকিৎসা করাতে নাপেরে চরম কষ্টে দিন কাটছে মা রুজিনা আক্তারের। এমন পরিস্থিতিতে মেধামী শিশু শিক্ষার্থী ফয়সালের চিকিৎসা সেবা প্রদানে সাহায্যের হাত বাড়াতে যদি কেউ এগিয়ে আসতে চান তাহলে নিম্নে দেয়া ব্যাংক একাউন্ট কিংবা বিকাশ নাম্বারে আর্থিক সহায়তা পাঠাতে অবরোধ করেছেন ফয়সালের পরিবার।
ব্যাংক একাউন্ট নং-
রুজিনা আক্তার (ফয়সালের মা)
পুবালী ব্যাংক, ছাগলনাইয়া শাখা
হিসাব নং- ২৩০৮১০১০৮৩১৯৬
বিকাশ নাম্বার- ০১৮৬৫৭৫৮২১২ (ফয়সালের পরিবারের ব্যক্তিগত বিকাশ নাম্বার)