সভ্যতার বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় জ্ঞান-বিজ্ঞানের বাতিঘর বায়তুল হিকমা!

  • Update Time : ১১:৫০:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০২০
  • / 437
মোহম্মদ শাহিন: 
অষ্টম শতাব্দীতে নির্মিত ইসলামের ইতিহাসে প্রথম সাড়া জাগানো ও প্রভাবশালী জ্ঞানচর্চাকেন্দ্র বায়তুল হিকমা-যাকে হাউজ অব উইজডম বা জ্ঞানের ভান্ডার হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়। অনুবাদকেন্দ্র হিসেবে যাত্রাপথ শুরু হলেও ক্রমেই তা গবেষণাকেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং মানমন্দিরে পরিণত হয়েছিল। এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আব্বাসীয় শাসনামলে । খলিফা হারুন-অর-রশিদ আব্বাসীয় রাজধানী বাগদাদে প্রতিষ্ঠা করেন এবং তার পুত্র খলিফা আল-মামুন এটিকে ৮৩০ খিস্টাব্দে পূর্ণতা দান করেন।
.
সিরিয়ান খিস্ট্রান ‘হুনায়ন ইবনে ইসহাক’ কে বায়তুল হিকমার মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।  তৎকালীন সময়ে মুসলিম সভ্যতার রাজধানী বাগদাদ ছিল পৃথিবীর শিক্ষা ও সংস্কৃতির লালনক্ষেত্র। আব্বাসীয় খলিফা আল মুনসুর সেসময় বই’র প্রতি বিশেষ আকৃষ্ট ছিলেন এবং বই সংগ্রহ করতেন, তার-ই ধারাবাহিকতায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হারুন-অর-রশিদ বই সংগ্রহ করে এটিকে একটি লাইব্রেরি হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। তখন এর নাম ছিল “খিজানাতুল হিকমাহ”।
.
পরবর্তীতে মামুনের সময় এর সংগ্রহশালা এতই বৃদ্ধি পায় যে তিনি এই ভবন বিশাল আকারে সম্প্রসারণ করেন এবং বিষয়ভিত্তিক গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করেন।  খলিফা মামুনের সময়েই  সারাবিশ্বে বায়তুল হিকমার খ্যাতি অগ্নিদীপ্তভাবে ছড়িয়ে পড়ে। সারাবিশ্বের বিদ্বান ব্যক্তিদের তীর্থক্ষেত্র হিসেবে এটি পরিচিত লাভ করে। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে বিভিন্ন ধর্মের, বিভিন্ন জাতির পন্ডিতদের সম্মেলন ঘটেছিল এই প্রতিষ্ঠানে। মামুনের সময়ে বায়তুল হিকমার তিনটি বিভাগ ছিল। যথা-ক) গ্রন্থাগার খ) শিক্ষায়তন এবং গ) অনুবাদ কেন্দ্র।
.
জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার এই বুদ্ধিবৃত্তিক কেন্দ্রে বহু অনুবাদক, বিজ্ঞানী, দার্শনিক, লেখক এবং বুদ্ধিজীবী ব্যক্তিবর্গের সমাগম ঘটেছিল এখানে। এখানে কাজ করতেন এমন বিশেষ উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ হলো-জাফফার মুহাম্মাদ ইবনে মুসা ইবনে শাকির, এ্যারিস্টটলের রচনাবলীর অনুবাদক আরবদের দার্শনিক রূপে পরিচিত আল-কিন্দি, হিপোক্রিটাসের অনুবাদক হুনায়ন ইবনে ইসহাক, সাইদ বিন হারুন, সাবিত বিন ফেরা, উমর বিন ফারুখান আল বিবার এবং বিশিষ্ট গণিতবিদ আল খয়ারিজিমিসহ প্রমুখ। এসব মুসলিম পন্ডিতেরা প্রাচীন মেসোপটেমিয়া,  রোমান, চীনা, ভারতীয়, পারসি, মিশরীয়,উত্তর আফ্রিকীয়, গ্রীক এবং বাইজান্টানীয় সভ্যতা হতে বহু মূল্যবান গ্রন্থ সংগ্রহ করেন এবং অনুবাদের মাধ্যমে সঙ্কলন করেন।
.
আরবি ছাড়াও গ্রীক, ফরাসি, আরমাইক, হিব্রু, সিরিয়াক, লাতিন এবং ভারতীয়সহ বিভিন্ন ভাষায় গ্রন্থগুলি অনুবাদ করা হয়। প্রথম দিকে দর্শন ও ধর্মতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা হলেও কালক্রমে বিজ্ঞান, চিকিৎসা, বীজগণিত, ত্রিকোণমিতি, ভূগোল, রসায়ন, পদার্থবিদ্যা, জীববিদ্যার এবং জ্যোতির্বিদ্যার মতো বিষয় নিয়ে গবেষণা করা হতো। বায়তুল হিকমার অন্যতম বিষয় ছিল মানমন্দির এবং মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা। পরবর্তীতে বায়তুল হিকমার সাথে মানমন্দির যুক্ত করা হয় এবং খ্যাতিমান জ্যোতির্বিদ ইয়াহিয়া সহ অনেকেই মানমন্দিরে গবেষণায় নিযুক্ত ছিলেন এবং মহাকাশ পর্যবেক্ষণ করতেন। যা ভারতীয়, গ্রীক এবং পার্সিয়ানদের থেকে অনেকটাই স্বতন্ত্র ছিল। এই সকল মুসলমান ব্যক্তিবর্গের অকান্ত পরিশ্রমে বিশ্বের সামনে উঠে আসে এ্যারিস্টটলের ও হিপোক্রিটাসের মতো দুর্দান্ত দার্শনিক উক্তি এবং পিথাগোরাস, প্লেটো , ইউক্লিড, প্লাটিনাস, গ্যালন, চরক, আর্যভট্ট ও বহ্মগুপ্তের লেখাসহ বহু জ্ঞানীকুলের গ্রন্থ অনুবাদ করা হয় যারা আজকে বিজ্ঞানের দুনিয়ায় উজ্জল মুখ।
.
মুসলমান পন্ডিতেরা যদি সেসময় এসব মূল্যবান গ্রন্থ সংগ্রহ এবং অনুবাদ করে সারা বিশ্বের প্রান্তে না ছড়িয়ে দিত তাহলে আজকের এই সোনালী বিজ্ঞান কালের গর্ভে বিলীন হয়ে যেত। শুধু তাই নয় সারা বিশ্বে এর প্রভাব তৈরিতে খলিফা মামুন অনুবাদকদের উৎসাহিত করার জন্য অনুবাদের বিনিময়ে অনুবাদকর্মের ওজনের স্বর্ণমুদ্রা প্রদান করতেন।
.
১২৫৮ সালে হালাকু খানের বাগদাদ আক্রমণের সময় দীর্ঘ ১২ দিন অবরোধের পর খলিফা মুতাসিম বাধ্য হয়ে মঙ্গোলদের কাছে নত স্বীকার করে। অতঃপর মঙ্গোলরা বাগদাদে প্রবেশ করে নৃঃশস হত্যাকান্ড চালায়।  খলিফাসহ পুরো শহরে মৃত্যুপরীতে রূপান্তর হয়। মঙ্গোলদের হাতে, আব্বাসীয় আমলের দীর্ঘ ৫০০ বছরের বেশি সময় ধরে জ্ঞান-বিজ্ঞান সোনালী ধারা বজায়ের আলোকবর্তিকা বায়তুল হিকমাহ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। কথিত রয়েছে, যদিও পারস্য মনীষি নাসিরুদ্দিন তুসি ৪০ হাজার গ্রন্থ অনত্র সরিয়ে নেন তবুও এত বিপুল পরিমাণ বইয়ের কালিতে টাইগ্রিস নদীর পানি কালো হয়ে যায়। হালাকু খানের হাতে ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ক্ষমতাসীন ৩২ জন খলিফার সবাই সরিসরি বায়তুল হিকমার পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।
.
বায়তুল হিকমাই মুসলিম বিশ্বের জ্ঞান-বিজ্ঞান ও বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে এবং এর মধ্য দিয়েই জ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে গবেষণার আধুনিক ধারণার উদ্ভব ঘটে। বায়তুল হিকমার গবেষণাকর্মকে কেন্দ্র করেই মুসলিম সভ্যতার জ্ঞান চর্চার অনুশীলন এবং পরবর্তীতে ইউরোপীয় রেনেসার সূচনা ঘটে।শুধুমাত্র ইসলামের ইতিহাসে নয় বরং সারা বিশ্বে বায়তুল হিকমাহ-ই ছিল প্রথম এবং সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান।
.
লেখক: শিক্ষার্থী, ২য় বর্ষ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


সভ্যতার বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় জ্ঞান-বিজ্ঞানের বাতিঘর বায়তুল হিকমা!

Update Time : ১১:৫০:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০২০
মোহম্মদ শাহিন: 
অষ্টম শতাব্দীতে নির্মিত ইসলামের ইতিহাসে প্রথম সাড়া জাগানো ও প্রভাবশালী জ্ঞানচর্চাকেন্দ্র বায়তুল হিকমা-যাকে হাউজ অব উইজডম বা জ্ঞানের ভান্ডার হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়। অনুবাদকেন্দ্র হিসেবে যাত্রাপথ শুরু হলেও ক্রমেই তা গবেষণাকেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং মানমন্দিরে পরিণত হয়েছিল। এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আব্বাসীয় শাসনামলে । খলিফা হারুন-অর-রশিদ আব্বাসীয় রাজধানী বাগদাদে প্রতিষ্ঠা করেন এবং তার পুত্র খলিফা আল-মামুন এটিকে ৮৩০ খিস্টাব্দে পূর্ণতা দান করেন।
.
সিরিয়ান খিস্ট্রান ‘হুনায়ন ইবনে ইসহাক’ কে বায়তুল হিকমার মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।  তৎকালীন সময়ে মুসলিম সভ্যতার রাজধানী বাগদাদ ছিল পৃথিবীর শিক্ষা ও সংস্কৃতির লালনক্ষেত্র। আব্বাসীয় খলিফা আল মুনসুর সেসময় বই’র প্রতি বিশেষ আকৃষ্ট ছিলেন এবং বই সংগ্রহ করতেন, তার-ই ধারাবাহিকতায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হারুন-অর-রশিদ বই সংগ্রহ করে এটিকে একটি লাইব্রেরি হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। তখন এর নাম ছিল “খিজানাতুল হিকমাহ”।
.
পরবর্তীতে মামুনের সময় এর সংগ্রহশালা এতই বৃদ্ধি পায় যে তিনি এই ভবন বিশাল আকারে সম্প্রসারণ করেন এবং বিষয়ভিত্তিক গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করেন।  খলিফা মামুনের সময়েই  সারাবিশ্বে বায়তুল হিকমার খ্যাতি অগ্নিদীপ্তভাবে ছড়িয়ে পড়ে। সারাবিশ্বের বিদ্বান ব্যক্তিদের তীর্থক্ষেত্র হিসেবে এটি পরিচিত লাভ করে। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে বিভিন্ন ধর্মের, বিভিন্ন জাতির পন্ডিতদের সম্মেলন ঘটেছিল এই প্রতিষ্ঠানে। মামুনের সময়ে বায়তুল হিকমার তিনটি বিভাগ ছিল। যথা-ক) গ্রন্থাগার খ) শিক্ষায়তন এবং গ) অনুবাদ কেন্দ্র।
.
জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার এই বুদ্ধিবৃত্তিক কেন্দ্রে বহু অনুবাদক, বিজ্ঞানী, দার্শনিক, লেখক এবং বুদ্ধিজীবী ব্যক্তিবর্গের সমাগম ঘটেছিল এখানে। এখানে কাজ করতেন এমন বিশেষ উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ হলো-জাফফার মুহাম্মাদ ইবনে মুসা ইবনে শাকির, এ্যারিস্টটলের রচনাবলীর অনুবাদক আরবদের দার্শনিক রূপে পরিচিত আল-কিন্দি, হিপোক্রিটাসের অনুবাদক হুনায়ন ইবনে ইসহাক, সাইদ বিন হারুন, সাবিত বিন ফেরা, উমর বিন ফারুখান আল বিবার এবং বিশিষ্ট গণিতবিদ আল খয়ারিজিমিসহ প্রমুখ। এসব মুসলিম পন্ডিতেরা প্রাচীন মেসোপটেমিয়া,  রোমান, চীনা, ভারতীয়, পারসি, মিশরীয়,উত্তর আফ্রিকীয়, গ্রীক এবং বাইজান্টানীয় সভ্যতা হতে বহু মূল্যবান গ্রন্থ সংগ্রহ করেন এবং অনুবাদের মাধ্যমে সঙ্কলন করেন।
.
আরবি ছাড়াও গ্রীক, ফরাসি, আরমাইক, হিব্রু, সিরিয়াক, লাতিন এবং ভারতীয়সহ বিভিন্ন ভাষায় গ্রন্থগুলি অনুবাদ করা হয়। প্রথম দিকে দর্শন ও ধর্মতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা হলেও কালক্রমে বিজ্ঞান, চিকিৎসা, বীজগণিত, ত্রিকোণমিতি, ভূগোল, রসায়ন, পদার্থবিদ্যা, জীববিদ্যার এবং জ্যোতির্বিদ্যার মতো বিষয় নিয়ে গবেষণা করা হতো। বায়তুল হিকমার অন্যতম বিষয় ছিল মানমন্দির এবং মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা। পরবর্তীতে বায়তুল হিকমার সাথে মানমন্দির যুক্ত করা হয় এবং খ্যাতিমান জ্যোতির্বিদ ইয়াহিয়া সহ অনেকেই মানমন্দিরে গবেষণায় নিযুক্ত ছিলেন এবং মহাকাশ পর্যবেক্ষণ করতেন। যা ভারতীয়, গ্রীক এবং পার্সিয়ানদের থেকে অনেকটাই স্বতন্ত্র ছিল। এই সকল মুসলমান ব্যক্তিবর্গের অকান্ত পরিশ্রমে বিশ্বের সামনে উঠে আসে এ্যারিস্টটলের ও হিপোক্রিটাসের মতো দুর্দান্ত দার্শনিক উক্তি এবং পিথাগোরাস, প্লেটো , ইউক্লিড, প্লাটিনাস, গ্যালন, চরক, আর্যভট্ট ও বহ্মগুপ্তের লেখাসহ বহু জ্ঞানীকুলের গ্রন্থ অনুবাদ করা হয় যারা আজকে বিজ্ঞানের দুনিয়ায় উজ্জল মুখ।
.
মুসলমান পন্ডিতেরা যদি সেসময় এসব মূল্যবান গ্রন্থ সংগ্রহ এবং অনুবাদ করে সারা বিশ্বের প্রান্তে না ছড়িয়ে দিত তাহলে আজকের এই সোনালী বিজ্ঞান কালের গর্ভে বিলীন হয়ে যেত। শুধু তাই নয় সারা বিশ্বে এর প্রভাব তৈরিতে খলিফা মামুন অনুবাদকদের উৎসাহিত করার জন্য অনুবাদের বিনিময়ে অনুবাদকর্মের ওজনের স্বর্ণমুদ্রা প্রদান করতেন।
.
১২৫৮ সালে হালাকু খানের বাগদাদ আক্রমণের সময় দীর্ঘ ১২ দিন অবরোধের পর খলিফা মুতাসিম বাধ্য হয়ে মঙ্গোলদের কাছে নত স্বীকার করে। অতঃপর মঙ্গোলরা বাগদাদে প্রবেশ করে নৃঃশস হত্যাকান্ড চালায়।  খলিফাসহ পুরো শহরে মৃত্যুপরীতে রূপান্তর হয়। মঙ্গোলদের হাতে, আব্বাসীয় আমলের দীর্ঘ ৫০০ বছরের বেশি সময় ধরে জ্ঞান-বিজ্ঞান সোনালী ধারা বজায়ের আলোকবর্তিকা বায়তুল হিকমাহ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। কথিত রয়েছে, যদিও পারস্য মনীষি নাসিরুদ্দিন তুসি ৪০ হাজার গ্রন্থ অনত্র সরিয়ে নেন তবুও এত বিপুল পরিমাণ বইয়ের কালিতে টাইগ্রিস নদীর পানি কালো হয়ে যায়। হালাকু খানের হাতে ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ক্ষমতাসীন ৩২ জন খলিফার সবাই সরিসরি বায়তুল হিকমার পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।
.
বায়তুল হিকমাই মুসলিম বিশ্বের জ্ঞান-বিজ্ঞান ও বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে এবং এর মধ্য দিয়েই জ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে গবেষণার আধুনিক ধারণার উদ্ভব ঘটে। বায়তুল হিকমার গবেষণাকর্মকে কেন্দ্র করেই মুসলিম সভ্যতার জ্ঞান চর্চার অনুশীলন এবং পরবর্তীতে ইউরোপীয় রেনেসার সূচনা ঘটে।শুধুমাত্র ইসলামের ইতিহাসে নয় বরং সারা বিশ্বে বায়তুল হিকমাহ-ই ছিল প্রথম এবং সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান।
.
লেখক: শিক্ষার্থী, ২য় বর্ষ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।