অশ্রুহীন চোখে বুকফাটা আর্তনাদ

  • Update Time : ১২:১১:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুন ২০২০
  • / 374
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

খুলেছে কর্মস্থল। তাই অনেকে ফিরছিলেন ঢাকায়। কিন্তু ফেরা আর হলো না। বুড়িগঙ্গার শ্যামবাজারে লঞ্চের সাথে ডুবে যায় প্রাণ, ডুবে যায় স্বপ্ন। স্বজন হারানোদের আর্তনাদ আর আহাজারি তাই থামছেই না। অনেকে হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরছেন প্রিয়জনের মরদেহের সন্ধানে। আপনজনকে হারানোর বেদনা যেমন আছে তেমনি নানা অব্যবস্থাপনার অভিযোগ করে, দোষীদের বিচার দাবি জানান তারা।

অশ্রুহীন চোখে বুকফাটা আর্তনাদ। গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ থেকে ছুটি কাটিয়ে কলিজার টুকরা ছোটবোন আর প্রিয় মাকে নিয়ে কর্মস্থল রাজধানীতে ফিরছিলেন রিফাত। মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে রিফাত বেঁচে গিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু পানির অতল গহ্বরে হারিয়ে ফেলেছেন মা আর স্নেহের ছোটবোনটিকে।


সদরঘাটের শ্যামবাজারে লঞ্চডুবির ঘটনায় এমন অনেকে হারিয়েছেন পরিবারের একাধিক সদস্য। তাদের কান্না আর আহাজারিতে ভারাক্রান্ত সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের চারপাশের পরিবেশ।

নিয়তির এমন নিষ্ঠুর খেলায় স্বজন হারানোর এই মানুষগুলোর দাবি, বিচার যেন হয় নদীর পানিতে ত্রাস চালান এসব অদক্ষ চালকের।

হাসপাতালের মর্গ যখন স্বজনের আহাজারিতে ব্যথিত, তখনো করোনা সংক্রণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিল অপ্রয়োজনে আসা উৎসুক জনতা।

লঞ্চডুবির ঘটনায় বেঁচে ফেরা যাত্রীরা জানান, ডুবে যাওয়া লঞ্চটিতে ছিল না কোনো লাইফ জ্যাকেট কিংবা সুরক্ষা উপকরণ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


অশ্রুহীন চোখে বুকফাটা আর্তনাদ

Update Time : ১২:১১:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুন ২০২০
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

খুলেছে কর্মস্থল। তাই অনেকে ফিরছিলেন ঢাকায়। কিন্তু ফেরা আর হলো না। বুড়িগঙ্গার শ্যামবাজারে লঞ্চের সাথে ডুবে যায় প্রাণ, ডুবে যায় স্বপ্ন। স্বজন হারানোদের আর্তনাদ আর আহাজারি তাই থামছেই না। অনেকে হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরছেন প্রিয়জনের মরদেহের সন্ধানে। আপনজনকে হারানোর বেদনা যেমন আছে তেমনি নানা অব্যবস্থাপনার অভিযোগ করে, দোষীদের বিচার দাবি জানান তারা।

অশ্রুহীন চোখে বুকফাটা আর্তনাদ। গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ থেকে ছুটি কাটিয়ে কলিজার টুকরা ছোটবোন আর প্রিয় মাকে নিয়ে কর্মস্থল রাজধানীতে ফিরছিলেন রিফাত। মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে রিফাত বেঁচে গিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু পানির অতল গহ্বরে হারিয়ে ফেলেছেন মা আর স্নেহের ছোটবোনটিকে।


সদরঘাটের শ্যামবাজারে লঞ্চডুবির ঘটনায় এমন অনেকে হারিয়েছেন পরিবারের একাধিক সদস্য। তাদের কান্না আর আহাজারিতে ভারাক্রান্ত সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের চারপাশের পরিবেশ।

নিয়তির এমন নিষ্ঠুর খেলায় স্বজন হারানোর এই মানুষগুলোর দাবি, বিচার যেন হয় নদীর পানিতে ত্রাস চালান এসব অদক্ষ চালকের।

হাসপাতালের মর্গ যখন স্বজনের আহাজারিতে ব্যথিত, তখনো করোনা সংক্রণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিল অপ্রয়োজনে আসা উৎসুক জনতা।

লঞ্চডুবির ঘটনায় বেঁচে ফেরা যাত্রীরা জানান, ডুবে যাওয়া লঞ্চটিতে ছিল না কোনো লাইফ জ্যাকেট কিংবা সুরক্ষা উপকরণ।