ভারী বর্ষণে নীলফামারীর নদীগুলোর ভাঙ্গন অব্যাহত
- Update Time : ০৪:১৩:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুন ২০২০
- / 118
মশিয়ার রহমান, নীলফামারী থেকে :
ভারী বর্ষণে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার চারালকাটা ও যমুনেশ্বরী নদীর ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। আজ ররিবার এলাকাবাসী জানায় নদীর ভাঙ্গন এখন গ্রামের দিকে সরে আসছে। ফলে যে কোন সময় বেশ কিছু বসতবাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যেতে পারে।
.
নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন নীলফামারী জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী। তিনি কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের তেলীপাড়া, ময়দানপাড়া, রূপালী কেশবা গ্রামে নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন।
.
এছাড়া তিনি উপজেলার অন্যান্য ভাঙ্গন এলাকার খোজখবর নেন ও জরুরী ভিত্তিতে নদী ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপস্থিত কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
.
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ আজাহারুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আবুল কালাম বারী পাইলট, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আরিফুজ্জামান, পানি উন্নয়ন বোর্ড সৈয়দপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষ্ণ কমল চন্দ্র সরকার, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মোফাখখারুল ইসলাম প্রমুখ।
এদিকে জেলার ডিমলা উপজেলায় তিস্তা নদীর অববাহিকায় কিছু কিছু ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। যারফলে পার্শ্ববর্তী এলাকার অনেক পরিবারের বসতবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার উপক্রম। আজ রবিবার ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের কিসামত ছাতনাই মৌজা পরিদর্শন করেছেন।
.
এসময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেজবাহুর রহমান ও খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিথনসহ ইউপি সদস্যেগন সঙ্গে ছিলেন। এসময় তিনি বলেন, তিস্তা অববাহিকার সার্বিক পরিস্থিতি আমরা সর্বদা নজরদারি করছি । ভাঙ্গন ও বন্যা কবলিত পরিবারের মানুষজনকে শুকনো খাবার ও অর্থ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে । গতকাল ঝুনাগাছ চাপানীর ছাতুনামা ও ভেন্ডাবাড়ী গ্রামের কিছু গৃহহীন পরিবারকে অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে । আমরা সরকারিভাবে ত্রাণের জন্য চাহিদা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতেছি।
.
টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ময়নুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে আমার চরখড়িবাড়ি এলাকায় স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বালির বাঁধটির প্রায় ২শ মিটার ভেঙে গিয়েছে। প্রায় ৭০০ পরিবার পানি বন্দী ও অনেক পরিবারের ঘরবাড়ি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
.
অনেকের খেতের ফসল ও বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ঝুনাগাছ চাপানীর চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান জানান, আমার ইউনিয়নের ছাতুনামা ও ভেন্ডাবাড়ি এলাকায় বেশকিছু পরিবারের ঘরবাড়ি নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। তাদেরকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পুনর্বাসন ব্যবস্থা করার জন্য আমি আমার ফেসবুক টাইমলাইনে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি । উল্লেখ্য যে, আজ ২৮ জুন তিস্তার পানি কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে এসে বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে মর্মে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড নিশ্চিত করেছে। দ্রুত পানি নিস্কাষনের জন্য ব্রিজের জলকপাট খোলা রাখা হয়েছে ।
Tag :