করোনা রোধে মসজিদের মাইকে নিয়মিত সচেতনামূলক নির্দেশনা প্রচারের অনুরোধ
- Update Time : ০১:১০:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুন ২০২০
- / 200
নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয় থেকে নিয়মিতভাবে মাইকে সচেতনামূলক নির্দেশনা প্রচারের অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সোমবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো: সাখাওয়াৎ হোসেন সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে জানানো হয়, দেশের সর্বত্র মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ বিস্তার অব্যাহত রয়েছে। এ মহামারি সংক্রমণ বিস্তার রোধে সরকার এবং পাশাপাশি বেসরকারি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান এরইমধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রচারণা ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, দেশের সব মসজিদ থেকে প্রতিদিন ও জুমা’র খুতবার সময় মসজিদের মাইকে এবং অনুরূপভাবে অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয় থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে করণীয় সর্ম্পকে প্রচার করা হলে সাধারণ জনগণ এ বিষয়ে উদ্বুদ্ধ হয়ে আরো সচেতন হবে।
এতে বলা হয়, বর্ণিত অবস্থায় দেশের সব মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ের মাইক থেকে নিয়মিতভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে নিম্নবর্ণিত ঘোষণা আবশ্যিকভাবে প্রচারের জন্য স্থানীয় প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ও খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদ ও উপাসনালয়ের পরিচালনা কমিটিকে অনুরোধ করা হলো।
ঘোষণাসমূহ:
আতঙ্কিত না হয়ে মহান আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন এবং করোনা মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দোয়া করুন। অনুরুপভাবে অন্যান্য ধর্মের অনুসারীরাও মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা করুন।
কিছুক্ষণ পর পর সাবান ও পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড যাবৎ দুই হাত ভালভাবে পরিষ্কার করুন।
ঘরের বাহিরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরুন এবং চলাফেরা ও সব কাজে সামাজিক দুরত্ব দুরত্ব বজায় রাখুন।
অপরিষ্কার হাতে নাক, মুখ ও চোখ স্পর্শ করবেন না এবং যেখানে সেখানে কফ, থুতু ও ময়লা আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন।
হাচিঁ- কাশির সময় টিস্যু অথবা কাপড় ব্যবহার করুন বা বাহুর ভাজে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন।
ঘরে থাকুন এবং একান্ত জরুরি প্রয়োজনে ঘরের বাহিরে যেতে হলে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করুন।
নিয়মিতভাবে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করুন।
করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। কোনো প্রকার লুকোচুরি করবেন না। করোনা আক্রান্ত অধিকাংশ রোগীই চিকিৎসার পর সুস্থ্য হয়ে যান।
করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সদ্ব্যবহার করুন।
নিয়মিত শরীরচর্চা অথবা শারীরিক পরিশ্রম করুন।
গুজব রটাবেন না, গুজবে কান দেবেন না এবং গুজবে বিচলিত হবেন না।
করোনা মহামারি সংক্রমণ রোধে সরকারের নির্দেশিত বিধি-নিষেধ এবং স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করুন।
বিজ্ঞপ্তিতে স্থানীয় প্রশাসনকে এ জরুরি বিজ্ঞপ্তি ব্যাপকভাবে প্রচারের জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে।