আরও এক আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

  • Update Time : ০৪:৩০:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুন ২০২০
  • / 246

দেশে ব্যবসার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লাইসেন্স পেল ব্যাংকবহির্ভূত নতুন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ‘স্ট্রাটেজিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড’।

রোববার (৭ জুন) নতুন এ আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিয়ে সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ। এ নিয়ে দেশে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) সংখ্যা দাঁড়াল ৩৫টিতে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ এর ৪(১) নং ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা বলে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ‘স্ট্রাটেজিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড’কে বাংলাদেশে অর্থায়ন ব্যবসা পরিচালনার জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটি লাইসেন্সের জন্য আবেদন করলে গত ১২ জানুয়ারি কোম্পানি গঠন ও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়ার জন্য লেটার অব ইনটেন্ট দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষে এবার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদন প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রয়োজনীয় শর্ত পরিপালনসাপেক্ষে ব্যবসা করার জন্য চূড়ান্ত লাইসেন্স দেয়ার বিষয়ে পর্ষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়া আবেদনে স্ট্রাটেজিক ফাইন্যান্সের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে আঞ্জুমান আরা শহীদকে। তিনি পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সারাফাতের স্ত্রী।

নতুন এ আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির মোট মূলধনের ৫০ শতাংশের মালিকানায় থাকবেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। বিদেশি সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানগুলো এ শেয়ার ধারণ করবে। মোট শেয়ারের দুই শতাংশ নিয়ে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন আঞ্জুমান আরা শহীদ। অবশিষ্ট ৪৮ শতাংশ শেয়ার থাকছে একাধিক প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে।

ফলে এখন থেকে প্রতিষ্ঠানটির বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করতে আর কোনো বাধা রইল না। লাইসেন্স দেয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে তাগাদা দেয়া হবে, দ্রুত বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে আসার জন্য। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায়িক পরিকল্পনায় উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী তিন বছরে দেশে স্বল্প সুদে বিনিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করবে তারা।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে একটি এনবিএফআইয়ের পরিশোধিত মূলধন হতে হবে কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকা। ২০১২ সালের পূর্বে যা ছিল ৫০ কোটি টাকা এবং ২০০৯ সালের পূর্বে ছিল ২৫ কোটি টাকা। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দুটির মালিকানায় রয়েছে রাষ্ট্র। একটি হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত এক ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি। ১৫টির উদ্যোক্তা হচ্ছেন বেসরকারি খাতের ও ১৫টি জয়েন্ট ভেঞ্চারে। এরমধ্যে ২৩টি দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


আরও এক আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

Update Time : ০৪:৩০:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুন ২০২০

দেশে ব্যবসার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লাইসেন্স পেল ব্যাংকবহির্ভূত নতুন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ‘স্ট্রাটেজিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড’।

রোববার (৭ জুন) নতুন এ আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিয়ে সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ। এ নিয়ে দেশে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) সংখ্যা দাঁড়াল ৩৫টিতে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ এর ৪(১) নং ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা বলে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ‘স্ট্রাটেজিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড’কে বাংলাদেশে অর্থায়ন ব্যবসা পরিচালনার জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটি লাইসেন্সের জন্য আবেদন করলে গত ১২ জানুয়ারি কোম্পানি গঠন ও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়ার জন্য লেটার অব ইনটেন্ট দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষে এবার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদন প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রয়োজনীয় শর্ত পরিপালনসাপেক্ষে ব্যবসা করার জন্য চূড়ান্ত লাইসেন্স দেয়ার বিষয়ে পর্ষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়া আবেদনে স্ট্রাটেজিক ফাইন্যান্সের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে আঞ্জুমান আরা শহীদকে। তিনি পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সারাফাতের স্ত্রী।

নতুন এ আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির মোট মূলধনের ৫০ শতাংশের মালিকানায় থাকবেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। বিদেশি সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানগুলো এ শেয়ার ধারণ করবে। মোট শেয়ারের দুই শতাংশ নিয়ে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন আঞ্জুমান আরা শহীদ। অবশিষ্ট ৪৮ শতাংশ শেয়ার থাকছে একাধিক প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে।

ফলে এখন থেকে প্রতিষ্ঠানটির বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করতে আর কোনো বাধা রইল না। লাইসেন্স দেয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে তাগাদা দেয়া হবে, দ্রুত বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে আসার জন্য। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায়িক পরিকল্পনায় উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী তিন বছরে দেশে স্বল্প সুদে বিনিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করবে তারা।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে একটি এনবিএফআইয়ের পরিশোধিত মূলধন হতে হবে কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকা। ২০১২ সালের পূর্বে যা ছিল ৫০ কোটি টাকা এবং ২০০৯ সালের পূর্বে ছিল ২৫ কোটি টাকা। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দুটির মালিকানায় রয়েছে রাষ্ট্র। একটি হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত এক ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি। ১৫টির উদ্যোক্তা হচ্ছেন বেসরকারি খাতের ও ১৫টি জয়েন্ট ভেঞ্চারে। এরমধ্যে ২৩টি দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত।